মৃত প্রায় ঝিনাইদহের খরস্রোতা ১২ নদী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝিনাইদহ, বার্তা২৪.কম
মৃত প্রায় ঝিনাইদহের ১২ নদী। ছবি: বার্তা২৪.কম

মৃত প্রায় ঝিনাইদহের ১২ নদী। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দখল, দূষণ আর নাব্যতা সংকটে মৃত প্রায় ঝিনাইদহের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২টি নদী। নদীর বুকে এখন চলছে কলের লাঙলের ফলা। আর নদীর সঙ্গে জড়িতদের জীবন-জীবিকা ঘুরেছে অন্য পেশায়। বিদায় নিয়েছে মৎস্য সম্পদ। এ পর্যন্ত কোনো সংস্কার না হওয়ায় পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

 

জানা যায়, ঝিনাইদহ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া ওই নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে কালী, কুমার, ডাকুয়া, নবগঙ্গা, বেগবতী, চিত্রা, ফটকি, ভৈরব, কপোতাক্ষ, কোদলা, যমুনা ও বেতনা। নদীগুলো সংস্কার করা হয় না কোনোদিন। এতে উৎস মুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছে এলাকার মানুষ। চাষ করা হচ্ছে ধান, সরিষাসহ নানা ফসল।

শৈলকুপা উপজেলার মৎস্যজীবী নবীনচন্দ্র জানান, শৈলকুপার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালীগঙ্গ নদীতে এক সময় লঞ্চ ও বড় বড় নৌকা চলত। ঢাকা-ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা লঞ্চ যোগে শৈলকুপায় ব্যবসা করতে আসত। নদীতে তখন মাছ পাওয়া যেত। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। সারাদিন মাছ ধরলেও নিজের খচরটাও উঠে না।

 

ঝিনাইদহ শহরের ভুটিয়ারগাতি গ্রামের অসীত সরকার জানান, এক সময় নবগঙ্গা নদীতে মাছ ধরে তার সংসার চলত। এখন তিনি ইজিবাইক চালান। নদীতে মাছ ধরতে গেলে পাওয়া যায় না। নদীগুলো থেকে মাছ বিদায় নিয়েছে। তার মতো নদী তীরবর্তী জেলেরা বেকার হয়ে এখন অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির সংকট দেখা দেয়। তাই নদী পুনঃখননের দাবি জানান তিনি।

ঝিনাইদহ জেলার মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা দেখেছি ও শুনেছি ঝিনাইদহের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো খরস্রোতা ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন নদীগুলোতে পানি থাকে না। যে কারণে নদীগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল যদি নদীগুলো পুনঃখননের ব্যবস্থা করত, তাহলে দখলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি নদীগুলো পুনরায় আগের যৌবন ফিরে পেত।’

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের কাজের মধ্যে রয়েছে ছোট নদী, খাল, জলাশয় পুনঃখনন করা। যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বর্তমানে জেলার ৬টি উপজেলার ৭টি খান পুনঃখনন শুরু হয়েছে। ২য় পর্যায়ে কোদলা, বেগবতী ও ভৈরব নদী খননের প্রস্তাব আমরা পাঠিয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য নদী জরিপ কার্য চলমান রয়েছে। জপির শেষ হলে একটি পরিকল্পনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে।’

তিনি আরও জানান, ঝিনাইদহে যে নদীগুলো রয়েছে তার উৎস্য মুখ পার্শ্ববর্তী মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে। তাই উৎস্য মুখগুলোতেও খনন করা প্রয়োজন।

   

কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কা, বেঁকে গেছে গার্ডার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুতে একটি পণ্যবাহী নৌযান (লাইটার) ধাক্কা দিয়েছে। এতে সেতুর নিচের দিকে থাকা গার্ডার বেঁকে গেছে। তবে দক্ষিণে রেল চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুর তেমন ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সেতুর নগরপ্রান্তে জাহাজের ধাক্কা দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে মেসার্স রোকোনুর মেরিটাইম লিমিটেডের একটি পণ্য পরিবাহী নৌযান সেতুতে ধাক্কা দেয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মেহেদি হাসান জানিয়েছেন, সেতুতে এখন ওয়াকওয়ের কাজ চলছে। জাহাজের ধাক্কায় সেখানে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি সেতুর নিচের দিকে থাকা গার্ডারগুলোও কিছুটা বেঁকে গেছে।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একরাম উল্লাহ ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জাহাজটি নোঙর করা ছিল। কিন্তু তীব্র বাতাস জোয়ারের কারণে ভেসে গিয়ে জাহাজটি সেতুতে গিয়ে ধাক্কা দেয়। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সেতু কেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটি দেখতে রেলওয়ের কর্মর্কতারা পরিদর্শন করেছেন, তারা বলতে পারবেন। জাহাজটি সরিয়ে নিতে উদ্ধারকারী জাহাজ আনা হচ্ছে।

তবে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিশান দত্ত জানিয়েছেন জাহাজের ধাক্কায় সেতুর বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জাহাজটি সরানোর পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা জানা যাবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পরিদর্শনে যাওয়া কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণের পর বোঝা যাবে ক্ষতি কতটা।

১৯৩১ সালে কালুরঘাট রেলসেতুটি নির্মিত হয়। এরপর ১৯৬২ সালে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম এই সেতুটি। সেতুটির মেয়াদ অনেক আগে ফুরিয়ে গেলেও সংস্কার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট সেতুটির বড় ধরনের সংস্কারকাজ শুরু হয়। বর্তমানে কালুরঘাট সেতু দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে তিন জোড়া ট্রেন চলাচল করছে।

;

‘সিন্ডিকেট করে কৃষিপণ্যের মূল্য বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
‘সিন্ডিকেট করে কৃষিপণ্যের মূল্য বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা’

‘সিন্ডিকেট করে কৃষিপণ্যের মূল্য বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা’

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আলুসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। সিন্ডিকেট করে কৃষিপণ্যের মূল্য বাড়ালে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বৈশ্বিক যুদ্ধাবস্থায় খাদ্য উৎপাদন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে সেচের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আসন্ন ঝড়-বৃষ্টির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বোরোর কাটা ধান যেন নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে কৃষি বিভাগকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। একইসাথে তীব্র তাপদাহে পানের বরজে আগুন লাগার বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন

অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে জিরো টলারেন্স থাকবে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, অবৈধ স্থাপনায় বিদ্যুৎ ও পানির মত পরিষেবা প্রদান করা যাবে না এবং অবৈধ স্থাপনাগুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি ইভটিজিং, মাদক গ্রহণ ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ যেন মাঝে মাঝে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তল্লাশি করেন সে জন্য শিক্ষা দফতরকে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়াও সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার চুরির বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন এবং নজরদারি বাড়ানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা, আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কুরবানিকৃত পশুর চামড়া অক্ষত রাখার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন বিভাগীয় কমিশনার।

রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকগণসহ বিভাগীয় দফতরসমূহের দফতর প্রধানগণ সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

;

‘সংবাদপত্রে সংবেদনশীল শব্দ ব্যবহার করা অতীব জরুরি’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রমশই বিভিন্ন শব্দ বিবর্তিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, সময়ের বিবর্তনে মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন ঘটছে। এখন কোনো শব্দ ছয় মাস থাকবে কি না তা কেউই বলতে পারে না। কখনো-কখনো শব্দের বিকৃত রূপ মানুষের মুখে উচ্চারিত হয়- এটা শোভনীয় নয়। এক্ষেত্রে সংবাদপত্রে সংবেদনশীল শব্দ ব্যবহার করা অতীব জরুরি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজশাহী মহানগরীর স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংবেদনশীল সংবাদ প্রচারে সাংবাদিকদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

যে কোনো ধরনের সংবেদনশীল সংবাদ প্রচারে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো সংবাদ যখন লেখা হয়, তখন এর শব্দগুলো সাংবাদিকরাই প্রথমে ব্যবহার করে এবং পরে তা জনগণের কাছে প্রচারিত হয়। আর সেটা পড়েই সবাই বুঝতে পারে যে, কেমন সংবাদ লেখা হয়েছে।

একজন হিজড়াকে হিজড়া বলতে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু পরিচিতির জন্য নাম পরিবর্তন করলেই কোনো উপকার হবে না, সম্পদের ভাগ নিশ্চিত করতে হবে। সম্পদ ভাগের ক্ষেত্রে সবার কথা উল্লেখ থাকলেও একজন হিজড়া কী পাবে? সেটা কোথাও উল্লেখ নেই। তিনি সমাজের বঞ্চিত এমন সব জনগোষ্ঠীর মানুষের নিবৃত দুঃখ-বেদনা নিয়ে কাজ করার কথা বলেন।

নিজামুল হক নাসিম বলেন, পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ব্লাস্ট। তিনি সংস্থাটির সূচনালগ্ন থেকেই পাশে আছেন বলে জানান। এছাড়া সংবেদনশীল শব্দ ব্যবহারে চিন্তা-চেতনার পরিধি আরও বৃদ্ধি করার জন্য তিনি সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (বিএলএএসটি-ব্লাস্ট) আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ব্লাস্টের রাজশাহী ইউনিটের পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট অসিত কুমার সান্যালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ব্লাস্টের রাজশাহী ইউনিটের পরিচালনা কমিটির ইউনিট উপদেষ্টা ও সদস্য মো. আব্দুস সামাদ, ব্লাস্টের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাতসহ ব্লাস্টের কর্মকর্তাগণ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সভায় বক্তারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অগ্রগণ্য ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা সবসময় প্রান্তিক পর্যায়ের অবহেলিত মানুষের বস্তুনিষ্ঠ খবরা-খবর তুলে আনার জন্য সাংবাদিকদের তৎপর চেতনা জাগ্রত রাখার তাগিদ দেন। তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে সংবেদনশীল শব্দ ব্যবহারে আরও বেশি খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন। এ সময় ব্লাস্ট-এর প্রান্তিক জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা করেন বক্তারা।

;

১৫ শতাংশ শ্রমিক সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে: আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো কারখানায় ১৫ শতাংশ শ্রমিক সম্মতি দিলেই সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে বিধান রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, আমরা কোনো দরকষাকষির মধ্যে নেই। দেখেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সারা বিশ্বের শ্রমিকদের একটি সংগঠন। এখানে সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এটা নিয়ে সবসময় তাদের বক্তব্য থাকে, তাদের সাথে আমরা এখন বসেছি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের শ্রম আইন সংশোধন করেছি। এটা গত পার্লামেন্টে সংশোধিত হয়েছিল, পরে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল। আইনটিতে কিছ ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় পরে ফেরত আনা হয়।

তিনি আরও বলেন, আইনটি যখন প্রণয়ন করা হয়, তখন সারা বিশ্বের সর্বোচ্চ চর্চা হওয়া আইনের ধারা এখানে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। এই চেষ্টায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটা অবদান আছে।

পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে কিছু দেশ ২০১৯ সালে নালিশ করেছিল। সেই নালিশের পরে আমরা বহুবার আইএলও’র পরিচালনা পর্ষদকে বলেছি, শ্রমিকদের অধিকার আমাদের দেশে কেবল রক্ষাই হয়নি, শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক যে নালিশ করা হয়েছে, সেটা শেষ হওয়া উচিত।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলার জন্য তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রম আইনটিকে সংশোধন করছি, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অংশীজন আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা আছে যারা শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলে, তাদের কথা শুনবো। কারণ, আমরা দেখবো, আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী যে শ্রমিক অধিকার রক্ষা করা হয়, তার সঙ্গে অংশীজনদের পরামর্শের কোনো পার্থক্য আছে কিনা।

তিনি বলেন, আমরা কোনো মৌলিক পার্থক্য খুঁজে পাইনি। কিন্তু আমরা এই অধিকার যাতে রক্ষা হয়, সেই চেষ্টা সবসময় করবো। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও সুরক্ষার জন্য যার যার কথা শোনার, সেটা আমরা শুনবো। তারা সেটা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কারিগরি কমিটিতে তুলে ধরবেন। আগামী ১২ মে আইনটি সম্পূর্ণ করার জন্য একটি সভার আয়োজন করবো।

আইএলওর পরামর্শ কী ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা যেসব পরামর্শ দিয়েছে, তা সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) কমিয়ে আনা। আমরা আগে এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু সেটা যেই কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা। কিন্তু এখন সব কারখানার জন্য এই ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড রাখা হয়েছে।

;