সৈয়দ আশরাফের দাফন বনানীতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
সদ্য প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ছবি: সংগৃহীত

সদ্য প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রশাসনমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদ্য প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জানাজা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণপ্লাজা, তাঁর জন্মস্থান কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।

রোববার (৬ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের এই নেতার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় আনা হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সযোগে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবেও বলেও আওয়ামী লীগের দফতর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দ। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ ২১ বেইলি রোডস্থ তাঁর সরকারি বাসভবনে নেয়া হবে। সেখান থেকে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।

পরদিন রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে এবং দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

মরহুমের তৃতীয় নামাজে জানাজা দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।এরপর বাদ আছর বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।

   

বিমানের পরিত্যক্ত ব্যাগে মিলল প্রায় ৩ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে পরিত্যক্ত একটি ব্যাগ থেকে ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে সৌদি রিয়াল ও ইউএস ডলার ছিল। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকার শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইট থেকে এসব বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। ওই ফ্লাইটটি শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে ৭টার কিছু সময় পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি বলেন, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে আসা বিজি-১৪৭ ফ্লাইটে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া একটি ব্যাগ থেকে বেশকিছু বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রিয়াল ও ইউএস ডলার রয়েছে। যা আনুমানিক ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার সমমূল্যের। মূলত ওই ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে এসেছিল। পরে ফ্লাইটটি দুবাইয়ের উদ্দেশে শাহ আমানত বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. আকরাম হোসেন জানান, ব্যাগটি স্ক্যানিং করে ১ হাজার ৮৭৫ পিস ৫০০ সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০০ পিস ১০০ মার্কিন ডলার (১১ লাখ টাকা) পাওয়া যায়। এ অভিযানে বিমান বাংলাদেশ সিকিউরিটি ও এপিবিএন কাস্টমসকে সহযোগিতা করে। বৈদেশিক মুদ্রাগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য ডিএম মূল্যে আটক করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে একই বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক এ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি করে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্য এবং বাংলাদেশি ২৭ লাখ টাকা।

;

প্রভাব দেখিয়ে সিগন্যাল ক্রসিং অমান্য, আটক ভুয়া পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রভাব দেখিয়ে সিগন্যাল ক্রসিং অমান্য, আটক ভুয়া পুলিশ

প্রভাব দেখিয়ে সিগন্যাল ক্রসিং অমান্য, আটক ভুয়া পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রভাব খাটিয়ে সিগন্যাল অমান্য করে এগিয়ে যেতেই দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মকর্তার জেরার মুখে পড়ে মো. আসিফ ইকবাল। পরিচয় জানতে চাইলে জানান তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। গতিবিধি সন্দেহজনক হলে আইডিকার্ড দেখতে চান দায়িত্বরত সার্জেন্ট। কিন্তু তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন এবং পালানোর চেষ্টা করেন। প্রমাণ মেলে তিনি একজন ভুয়া পুলিশ সদস্য।

এমনই এক ভুয়া এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগ। আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম মো. আসিফ ইকবাল।

মঙ্গলবার (৭ মে) ডিএমপির ট্রাফিক-শেরেবাংলা নগর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তারেক সেকান্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘটনাটি আজ সকালে রাজধানীর উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের সামনে। প্রতিদিনের মতো উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ে দায়িত্বপালন করছিলেন পুলিশ সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সকাল অনুমান দশটার দিকে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের উত্তর সিগন্যাল চলার সময় পশ্চিম সিগন্যালের লেকরোড থেকে সিগন্যাল অমান্য করে এক ব্যক্তি তার মোটরসাইকেল নিয়ে সামনে এগিয়ে আসলে দায়িত্বরত সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ তার গতিরোধ করেন। সিগন্যাল অমান্য করা সেই ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেন, তিনি একজন এসআই। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হলে সার্জেন্ট তার পুলিশ আইডি কার্ড দেখতে চান, কিন্তু তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন এবং পালানোর চেষ্টা করেন। তখন দায়িত্বরত সার্জেন্ট মোটরসাইকেলসহ সেই ব্যক্তিকে আটক করে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের তদারকি অফিসার পুলিশ পরিদর্শক শহর ও যানবাহন মো. ইসমাইল করিমের নিকট নিয়ে যান।

সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, পরবর্তী সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে এভাবে অনেকদিন ধরেই ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করছেন। পরবর্তীতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মো. আসিফ ইকবালকে গ্রেফতার করে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ শেরেবাংলা নগর থানায় প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

‘দেশে ফিরলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিলো’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৭ সালের ৭ মে শতবাধা অতিক্রম করে দেশে ফিরেছিলাম। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, এমনকি আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি দেশে ফিরলে বিমানবন্দরেই আমাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিলো।

মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনির্ধারিত এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন। কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শতবাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিলো আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করবো। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিলো। এ কথা বলা হয়েছিলো, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দিবে। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই আসবো।

সরকার প্রধান বলেন, সব এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিলো, আমাকে বোডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাবো, উঠতে দেওয়া হয়নি। সেদিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরবো। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তখন বলা হয়েছিলো কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আমাদের নেতা-কর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, আমার প্লেন না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয়, আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় কালেভদ্রে দু’একজন আমার কাছে আসতে পারতো। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দি করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেব আমাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেফতার করে। আমি, মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে একসঙ্গে নিয়ে যায় কখনো কন্ট্রোলরুমে সারারাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেফতার, সরাসরি গুলি, বোমা, গ্রেনেড সবকিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞা জানাতে, দলের নেতা-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।

;

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে আইওএম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করেছে। ওই অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেয়ার সময় হাছান মাহমুদ এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবারই প্রথম তাদের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাইরে বাংলাদেশের রাজধানীতে আয়োজিত হলো।

বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ব্রিডিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয় আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ এ সময় বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এই সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আইওএম বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।

আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

পাশাপাশি তিনি অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ধ্বনাত্মক দিকের কথাও তুলে ধরেন। এমি পোপ বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণ-ভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।

ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অভ ডেলিগেশন ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং অস্ট্রেলিয়ার এক্টিং হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন এবং বাংলাদেশে আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসসাত্তার ইসোয়েভ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

;