কুয়াশার চাদরে মোড়ানো ঠাকুরগাঁও
সীমান্তবর্তী জেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও। আর হিমালয়ের কাছাকাছি এই জেলার অবস্থান হওয়ায় এখানে শীতের প্রকোপ একটু বেশিই। তবে হাড় কাঁপানো শীতে এখানের জনজীবন এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গত কিছুদিন ধরে দিনের বেলায় রোদ থাকলেও সন্ধ্যার মধ্যে পাল্টে যায় আবহাওয়ার চিত্র। তখন হিমেল হাওয়ার পাশাপাশি বাড়তে থাকে কুয়াশা। আর এই ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলার প্রায় অনেকটা সময় সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। এমন দৃশ্য দেখে যেন মনে হচ্ছে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে আছে এই ঠাকুরগাঁও।
গত কয়েকদিন ধরে সকালের দিকেও যানবাহনগুলোর হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করছে চালকরা। রাতভর টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন কেউ বের হচ্ছে না।
এই শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। পাশাপাশি বিপাকে পড়েছে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে শীতে কষ্ট পাচ্ছে গবাদি পশুও। কেউ কেউ আবার খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই শীত পড়তে থাকে। শীতের মৌসুমে এখন পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন প্রায় ৭ ডিগ্রি।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘এই ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের প্রকোপ একটু বেশি। দিন দিন শীত বাড়ছেই। ইতোমধ্যে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ১৯ হাজার ও ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ৬ হাজার কম্বল পেয়েছি। সেগুলো বিতরণ করাও শুরু হয়েছে। আমরা প্রতি রাতেই জেলা প্রশাসনের একটি টিম বের হয়ে এই শীতবস্ত্রগুলো বিতরণ করি।’