শীতের কাপড় কেনার টাকা কই?

  • মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

গত কয়েক দিনের মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পর মেহেরপুর অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (৭ জানুয়ারি) এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

বিজ্ঞাপন

এদিকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলেও জনজীবনে এখনো স্বস্তি আসেনি। ভোর থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকছে। এর সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

গাংনী শহরের উপকণ্ঠে পূর্বমালসাদ গ্রামের প্রধান সড়কের পাশে রয়েছে হতদরিদ্র মানুষের বসবাস। তারা সড়কের পাশের জায়গায় অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। এর একজন বাসিন্দা শুকুর আলী ভোর থেকে গাংনী-হাটবোয়ালিয়া প্রধান সড়কের উপরে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/07/1546835513371.jpg

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে শুকুর আলী বলেন, ‘ভ্যান চালিয়ে যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চলে না। শীতের কাপড় কেনার টাকা কই? এখনো সরকারি কোনো শীতবস্ত্র পায়নি। শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছি। কেউ শীতের কাপড় দিলে অনেক উপকার হতো।’

পূর্বমালসাদহ গ্রামের চা দোকানি তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে চায়ের চুলা জ্বালাই। শীতের কারণে এখন ক্রেতা তেমন আসে না।’

জানা গেছে, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে গরমের সময় তীব্র গরম এবং শীতের সময় তীব্র শীত অনুভূত হয়। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এ অঞ্চলে পর পর দুইদিন তাপমাত্রা নেমে যায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ৫ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের তীব্রতা সেভাবে কমেনি।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গণি জানান, প্রতিদিনই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু জেলায় যা চাহিদা সে অনুযায়ী বরাদ্দ নেই। সমাজের বিত্তবানদেরকে হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।