ঐক্যফ্রন্টকে ব্যালটের মাধ্যমে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে: জয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সজীব ওয়াজেদ জয়, ছবি: সংগৃহীত

সজীব ওয়াজেদ জয়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে সাম্প্রতিক নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা এখন তাদের বিদেশি প্রভুদের (বিদেশিদের) কাছে নালিশ করছে ও সাহায্য চাইছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যোগাযোগ ও লবিংয়ের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চাইছে যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, যেটা পরিসংখ্যান অনুসারে একেবারেই অসম্ভব।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেছেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি বার্তা২৪-এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

সাম্প্রতিক নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে বাংলাদেশের মানুষ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা এখন তাদের বিদেশি প্রভুদের কাছে নালিশ করছে ও সাহায্য চাইছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যোগাযোগ ও লবিংয়ের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চাইছে যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, যা পরিসংখ্যান মোতাবেক একেবারেই অসম্ভব। আওয়ামী লীগ বিএনপি থেকে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লক্ষ বেশি ভোট পেয়েছে। এতো বড় ব্যবধানের জয় কখনোই কারচুপির মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব না। তারা বলছে ভয়ভীতির কথা, কিন্তু যদি আমরা ধরেও নেই আওয়ামী লীগের বাইরের সকল ভোট বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই যেত, তাহলেও ২ কোটি ২০ লক্ষ ভোটের ব্যবধান থাকতো বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে।

তারপরেও আমাদের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কেউ কেউ বিএনপির এই আন্তর্জাতিক লবিং এর সাথে সমান তালে গলা মিলিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। তাদের অভিযোগগুলোর উত্তর দেয়ার পাশাপাশি আমি নিজেও কিছু কথা বলতে চাই।

তাদের প্রথম অভিযোগ, ভোটার সংখ্যা ছিল অত্যাধিক, তার মানে ভুয়া ভোট দেয়া হয়েছে। এবার ভোট দেয়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ নয়। ২০০৮ সালের 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের' অধীনে নির্বাচনে ভোট দেয়ার হার ছিল ৮৭ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। সেই নির্বাচনটিতেও আওয়ামী লীগ ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছিলো। ২০০১ সালে ভোট দেয়ার হার ছিল ৭৫.৬ শতাংশ আর ১৯৯৬ সালে ছিল ৭৫ শতাংশ। ওই দুইটি নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোট দেয়ার হার সামান্য বেশি ছিল কারণ এক দশকে এটাই ছিল প্রথম অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন।

দ্বিতীয় অপপ্রচার হচ্ছে আওয়ামী লীগ নাকি এবার ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা। আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে ৭২ শতাংশ। মহাজোটের অন্যান্য শরিকরা পেয়েছে ৫ শতাংশের কম ভোট। এই ৭২ শতাংশও আওয়ামী লীগের এর জন্য সর্বোচ্চ না। কারণ ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিলো ৭৩.২ শতাংশ ভোট। সেইবার যেমন স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে আওয়ামী লীগ বিশাল বিজয় পেয়েছিলো, এবারের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের ভোট বাড়ার পেছনে আছে দুইটি সুনির্দিষ্ট কারণ।

প্রথম কারণটি খুবই পরিষ্কার। আওয়ামী লীগ আমলে মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে যেকোনো সময়ের থেকে বেশি। আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি, মাথাপিছু আয় প্রায় তিনগুন বেড়েছে, দারিদ্রের হার অর্ধেক করা হয়েছে, মোটামুটি সবাই এখন শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থসেবা ও বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে ইত্যাদি। বাংলাদেশের মানুষের জন্য যে উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকার করেছে তা এখন দৃশ্যমান।

আমাদের সুশীল সমাজ সবসময়ই বলার চেষ্টা করে বাংলাদেশের ভোটাররা নাকি পরিবর্তন চায়। এইসব ঢালাও কথাবার্তা, যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।এ থেকেই বুঝা যায় আসলে তারা কতটা জনসম্পৃক্ততাহীন। আপনি যদি একজন সাধারণ মানুষ হন, এমনকি ধনী ব্যবসায়ীও হন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতি যেই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সুফল আপনিও পাচ্ছেন। কেউ কেন এমন একটি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে চাইবে যাদের আমলে তার জীবন বা ব্যবসার উন্নতি ঘটেছে?

দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে আমাদের নির্বাচনী প্রচার কিন্তু গত বছর শুরু হয়নি। আমরা ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে আমাদের প্রচারণা শুরু করে দিয়েছিলাম। জনগণের কাছে আমাদের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেয়ার কোনো সুযোগই হাতছাড়া করিনি। আমরা তাদেরকে বুঝিয়েছি যা উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে তা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণেই হচ্ছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক যত উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে তার পেছনে আছে আমাদের দলের ভিশন, পৰিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও পরিশ্রম। যার কৃতিত্ব আমাদের দলীয় মন্ত্রী, সাংসদ, কাউন্সিলর সহ সকলের। যখন আমাদের বিরোধী পক্ষ ও সুশীল সমাজ ব্যস্ত ছিল সমস্যা ও নালিশ নিয়ে, আমরা ব্যস্ত ছিলাম জনগণকে সমস্যার সমাধান দিতে।

সুশীল সমাজের একটি বড় অপপ্রচার হচ্ছে নতুন ভোটাররা রাজনৈতিক দল নিয়ে মাথা ঘামায় না ও তাদের বেশিরভাগই নাকি পরিবর্তন চায়। তারা বুঝতে পারেনি যে এই নতুন ভোটাররা আমাদের আমলের উন্নয়নের মধ্যে বড় হয়েছে যা তাদের জীবনকে করেছে আরো সহজ ও উন্নত। তারা কেন আমাদের ভোট দিবে না?
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547285741413.jpg

২০১৩ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের জন্য আমি জনমত জরিপ করাই। আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন যে এবার কিন্তু সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে কোনো জরিপ আসেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে কিন্তু তারা ঠিকই একের পর এক জরিপ প্রকাশ করছিলো দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগের অবস্থা কত খারাপ। আসলে বাংলাদেশে খুব কম ব্যক্তি বা সংগঠনই সঠিকভাবে জনমত জরিপ করতে পারে। হার্ভার্ডে থাকতে আমি জনমত জরিপের উপর পড়াশুনা করি। জরিপ করতে আমরা যাদের ব্যবহার করি তাদের বাছাই করার আগে আমি নিজে একাধিক গবেষণা সংগঠনের সাথে বসে আলাপ করি। ভুয়া জরিপ করে নিজেদের জনপ্রিয়তা দেখানোর কাজ আমরা করিনা, কারণ আমাদের জন্যই সঠিক তথ্যটি পাওয়া খুবই জরুরি। আমরা জানতে চেষ্টা করি নির্বাচনী লড়াইয়ে আমাদের অবস্থান ও সক্ষমতা, তাই জরিপের ব্যাপারে আমরা খুবই সতর্ক থাকি।

নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে আমাদের জরিপ থেকে আমরা জানতে পারি আওয়ামী লীগ পাবে ৫৭ থেকে ৬৩ শতাংশ ভোট আর বিএনপি পাবে ১৯ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট। তাহলে আমরা ৭২ শতাংশ ভোট কিভাবে পেলাম? আমাদের জরিপের জন্য স্যাম্পল নেয়া হয় ৩০০ আসন থেকে, অর্থাৎ ১০ কোটি ৪০ লক্ষ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে থেকে। কিন্তু ভোট দেয়ার হার কখনোই ১০০ শতাংশ হয় না আর ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়েছিল ২৯৮ টি আসনে। ২৯৮ টি আসনে ১০ কোটি ৩৫ লক্ষ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৮০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন, অর্থাৎ ৮ কোটি ২৮ লক্ষ। আওয়ামী লীগ পেয়েছে প্রায় ৬ কোটি ভোট। ১০ কোটি ৩৫ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ৬ কোটি মানে ৫৮ শতাংশ। অর্থাৎ, আমাদের জরিপের সাথে এই বিষয়টি মিলে যায়।

কিন্তু বিএনপি-ঐক্য ফ্রন্ট কেন এতো কম ভোট পেলো? কিছু যৌক্তিক কারণে। বিএনপির চেয়ারপার্সন দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়ে জেলে আছেন। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনও দণ্ডিত আসামি, আছেন দেশের বাইরে পালিয়ে। তাদের সংগঠনের অবস্থা করুন। তার থেকেও বড় আরেকটি কারণ আছে যা আমাদের সুশীল সমাজ সহজে বলতে চায় না। যেই কারণটি বিএনপির জনপ্রিয়তায় ধসের পেছনে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর বলে আমি মনে করি।

জনমত জরিপগুলো থেকে খেয়াল করেছি যে বিএনপি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যে অগ্নিসন্ত্রাস চালায় তার পর থেকেই তাদের জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ধস নামে। পেট্রল বোমা সন্ত্রাসের আগে জরিপগুলোতে বিএনপি আওয়ামী লীগ থেকে জনপ্রিয়তায় ১০ শতাংশ পিছিয়ে থাকতো। কিন্তু রাজনীতির নামের সন্ত্রাসবাদের কারণে তাদের সাথে আওয়ামী লীগের ব্যাবধান ৩০ শংতাংশ হয়ে যায় আর তারপর থেকেই বাড়তেই থাকে।

এছাড়া তাদের আত্মঘাতী নির্বাচনী প্রচারনার বিষয়টিও আমাদের আমলে নিতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় কমতি ছিল পরিষ্কারভাবেই। তার উপর তারা তারেক রহমানের মাধ্যমে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়। আর মানুষের মনে ভেসে উঠে হাওয়া ভবন আমলের দুর্নীতি ও সহিংসতার দুঃসহ সব স্মৃতি। তারেক রহমান আবার মনোনয়ন দেন একাধিক চিহ্নিত অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের। এর মাধ্যমে কি তাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে না কমবে?

নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের সমর্থকদের তারা ইঙ্গিত দেয় যে তারা নির্বাচন থেকে সরে আসবে। আপনি যদি মনে করেন আপনার দল নির্বাচনেই আসবে না, তাহলে কি আপনি ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত হবেন? এই কারণে তাদের নিজেদের সমর্থকদেরও ভোট দেয়ার হার কম ছিল যার ফলশ্রুতিতে তারা ভোট পায়ও কম।

বিএনপি-ঐক্য ফ্রন্টের বার্তাই ছিল আওয়ামী লীগ খারাপ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেই বার্তা গ্রহণ করেনি কারণ তারা নিজেরাই দেখেছে কিভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে।

ঐক্য ফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেন নিজে নির্বাচনই করেননি। কারণ উনি জানতেন উনি কোনো আসন থেকেই জিততে পারবেন না। কিন্তু তারা আমাদের কিছুটা অবাকও করেছেন। ভোটের লড়াইয়ে প্রথমবারের মতন কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণ ফোরাম একটি নয়, দুইটি আসন থেকে জয়লাভ করে। কারচুপি যদি হতোই তাহলে যে দল আগে কোনো নির্বাচনেই কোনো আসন পায়নি তারা কিভাবে দুইটি আসনে জিতে?

সত্য আসলে বেশি জটিল না। বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে তরুণরা, দেখছে কিভাবে শেখ হাসিনার মতন একজন ডাইনামিক নেত্রী দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই বিরোধীপক্ষের শত অপবাদ, অপপ্রচার ও কাদা ছোড়াছুড়ি কোনো কাজে আসেনি। কারণ দিন শেষে মানুষ তাকেই বেছে নেয় যে তাকে উন্নত জীবন দিতে পারবে।

   

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে বাড়িতে লাগা আগুনে পুড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ মে) ভোর ৫ টার দিকে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্য বেতছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাকী আক্তার।

নিহতরা হলেন- দীঘিনালার মধ্যবেতছড়ির পরিবহন শ্রমিক ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তাদের ৮ বছরের ছেলে মো. হানিফ মিয়া।

স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে ছাদেক মিয়ার মাটির ঘরের টিনের চালে আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা তার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে হানিফ মিয়া আগুনে পুড়ে মারা যায়। খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাকী আক্তার জানান, ভোর রাতে বজ্রপাতে বাড়ির চালে আগুন লেগে মা ও ছেলে পুড়ে মারা গেছে। নিহতের পরিবারকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

;

ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামির সফরে অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিনি। 

জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এই সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন।

ঢাকার এক কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানকে বাংলাদেশে যতটা সম্ভব আনা যায় সেই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থাটির সব প্রধানকে হয়তো আনা সম্ভব হবে না। তবে যতটা আনা যায় বা তারা বাংলাদেশ সফর করেন (সেই চেষ্টা করা হচ্ছে)। আইওএম ডিজি (মহাপরিচালক) দিয়ে সফরটা শুরু হচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি এবং শেষের দিকেও কারও কারও আসার কথা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব, সারা বছর কাউকে না কাউকে আনতে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম। এছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।

অভিবাসনের বাইরে অ্যামির সফরে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন প্রসঙ্গটি গুরত্ব পাবে জানিয়ে এক কূটনীতিক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তো তাদের ফোকাসে থাকবে। আইওএম ডিজি কক্সবাজার যাবেন। তিনি সঙ্গে করে কিছু দাতা নিয়ে আসার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের তহবিলের ব্যাপারটা আছে।

;

যেসব অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আশঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

;

রাজধানীতে দুই হোটেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় আওতাধীন নীলক্ষেত মোড়ে ২টি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

পরে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ব্যারাকের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জিহান রহমান নাবিল বলেন, রাত ১টার পর নীলক্ষেতে আগুনের খবর পেয়েছি। আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ২টি দোকানে আগুন দেখতে পাই। যার একটি বড় এবং আরেকটি ছোট দোকান। তবে দুটি দোকানই ছিল খবারের দোকান। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করা ছাড়া তাৎক্ষণিক বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে দোকান দুটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং আগুনে কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করেই নীলক্ষেত মোড়ের সুলতানী ভোজ ও সিপি ফাইভ স্টার নামের দুইটি হোটেলে আগুন দেখা যায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

 

;