‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হবে’
সকলের প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে বলে জনিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, ‘এখানে যেমন জনগণকে সচেতন হতে হবে তেমনি কৃষিসহ স্বাস্থ্য মান্ত্রণালয়কেও এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হবে।’
রোববার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ফার্স হোটেলে খাদ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত হোটেল রেস্তোরাঁয় গ্রেডিং পদ্ধতি প্রবর্তন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কর্মসূচির আওতায় রাজধানীর ৫৭টি হোটেল রেস্তোরাঁকে মান অনুযায়ী রেটিং ও স্টিকার প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ টি রেস্তোরাঁ ও হোটেলকে এ প্লাস ও ৪০ টি হোটেল ও রেস্তোরাঁকে এ গ্রেডে চিহ্নিত করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে আমরা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছি, সেখানে আমরা ব্যবসায়ীরা কেন লোভকে ত্যাগ করতে পারব না। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের যেমন ইচ্ছাশক্তি লাগবে, আত্মচেতনা লাগবে, তেমনি আত্মশুদ্ধিও লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ যারা নিরাপদ খাদ্য সার্টিফিকেট পেলেন তা চিরস্থায়ী নয়। আমরা আপনাদের প্রতি খেয়াল রাখব, আপনারা যদি মান ধরে রাখতে না পারেন তাহলে আপনাদের লাইসেন্স জব্দ করা হবে।’
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ২০০৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন পাশ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সাল থেকে সেফ ফুড অথরিটি কাজ শুরু করে। এ সেফ ফুড অথরিটি গত তিন বছরে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা বিস্ময়কর। আমি আশা করছি আজকে তারা যে কজটি শুরু করেছে তা দ্রুত পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘খাদ্য নিয়ে আজ আমরা আতঙ্কিত, উদ্বিগ্ন। আজকে যদি আমাদের বাচ্চারা যদি কিছু খেতে বায়না ধরে তাহলে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যাই। কিন্তু আমরা যারা ভেজাল করছি তারা ভুলে যাচ্ছি কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারাও ক্রেতা এবং ভোক্তা। আমরা যদি এইটা মনে রাখি তাহলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি এম রেজাউল করিম সরকারসহ হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিকবৃন্দ।