আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের যোগসূত্র হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি। বিজয়ের পর আমরা সরকার গঠন করেছি। সরকারের দৃষ্টিতে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক সমান। আমরা সবার জন্য কাজ করব।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভাষণ।

তিনি বলেন, সরকারি সেবাখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় জীবনের সর্বত্র আইনের শাসন সমুন্নত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করব। জাতীয় সংসদ হবে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু। একাদশ সংসদে বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা নিতান্তই কম। তবে, সংখ্যা দিয়ে আমরা তাঁদের বিবেচনা করব না। সংখ্যা যত কমই হোক, সংসদে যেকোন সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব/আলোচনা/সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। আমি বিরোধীদলের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা ২০২০-২০২১ সালে মুজিব বর্ষ এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করব। বাঙালি জাতির এই দুই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা দেশকে আর্থ-সামাজিক খাতে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আর এর কৌশল হিসেবে আমরা ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করছি। পাশাপাশি, জলবায়ুর ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জনের জন্য আমরা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ নামে শতবর্ষের একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমরা ইতোমধ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলো সম্পৃক্ত করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজও শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- আমাদের এই পররাষ্ট্র নীতিই বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের মূল হাতিয়ার। এই নীতির সফল বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যে কোন সময়ের চাইতে সুদৃঢ় এবং গভীর।

   

চট্টগ্রাম কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার বালুচড়ায় তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি আবুল কাশেম (৭০) মৃত্যুবরণ করেছেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম।

আবুল কাশেম নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার বালুচড়া এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। গত ১৭ এপ্রিল তাকে হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত।

ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম বলেন, আজ ভোরে কয়েদি আবুল কাশেম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতাল থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওয়ান-স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী মৌজার ৩৬ শতক সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে আবুল কাশেম এবং ইউসুফের সঙ্গে সাইফুল ইসলাম এবং তার ভাইবোনদের বিরোধ চলে আসছিল। ২০০৪ সালের ২৯ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাইফুলের বাড়িতে দেয়াল টপকিয়ে ঢুকে পড়েন নাছির, ফয়েজ মুন্না, দেলোয়ার, আবুল কাশেম এবং ইউসুফ। তাদের গুলিতে খুন হন সাইফুল আলম, মো. আলমগীর ও মনোয়ারা বেগম।

এ ঘটনায় সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ইউসুফ, কাশেম, নাছির ও ফয়েজ মুন্নাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এরমধ্যে র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন নাছির ও ফয়েজ মুন্না। ২০১৭ সালের ৫ জুলাই নাছির ও ফয়েজ মুন্নাকে মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয় এবং ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল এ মামলায় চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন শিকদার আবুল কাশেম ও ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।

;

তিন লাখ টাকা জরিমানা, সংসদে গ্রাম আদালত বিল পাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরআগে বিলটির উপর আনীত জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নিষ্পত্তি করেন স্পিকার।

মঙ্গলবার (৭ মে) সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদে পাস হওয়া গ্রাম আদালত বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষের মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোন নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ, সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। চার জন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

বিলের তফসিলে সাত ধরনের দেওয়ানি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো, কোনো চুক্তি রশিদ বা অন্য কোনো দলিল মূল্যে প্রাপ্য অর্থ আদায়। কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা। স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা। কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবর দখল, বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা। গবাদি পশু অনাধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা। কৃষি শ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা এবং স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো স্ত্রীর বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের মামলা। এসব বিষয় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে।

;

বিদেশে চাকরির প্রলোভনে পাচার, গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদেশে চাকরির প্রলোভনে পাচার, গ্রেফতার ৩

বিদেশে চাকরির প্রলোভনে পাচার, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

কিরগিজস্থানে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এরপর কাজের নামে সেসব মানুষকে পাচার করে দিতো চক্রটি। এমনই মানবপাচার চক্রের সাথে জড়িত ট্রাভেল এজেন্সির মালিকসহ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

মঙ্গলবার (০৭ মে ) সিআইডির মুখপাত্র পুলিশ সুপার আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইব্রাহীম মল্লিক নাহিদ (৩৫), শারমিন হোসেন লাবনী (৩৬) ও আরিফুর রহমান সাদী (২৪)।

এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ১টি আইফোনসহ ৫টি স্মার্ট ফোন এবং ১টি বাটন ফোন জব্দ করা হয়।

আজাদ রহমান বলেন, একটু ভালো জীবনযাপনের আশায়, পরিবারের সদস্যদের সুখে রাখতে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় বাংলাদেশ থেকে জীবিকার সন্ধানে পৃথিবীর উন্নত দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন এদেশের বহু মানুষ। একটা সুন্দর জীবনের জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো এ সকল মানুষের অনেকেই মানব পাচারকারী দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে হয়েছে এখন সর্বসান্ত ও নিঃস্ব। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে সিআইডি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সিআইডির একটি চৌকস টিম সোমবার (০৬ মে) মানব পাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত 'জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল' নামের প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ইব্রাহীম মল্লিক নাহিদসহ চক্রের ৩ সদস্যকে রাজধানীর পল্টন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, রিকশা চালক মোহাম্মদ সোনা মিয়া ইউটিউবে "জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল" নামক প্রতিষ্ঠানের প্রচারিত বিজ্ঞাপনে দেখতে পান, ৫ লাখ টাকায় কার ওয়াশের ওয়ার্কিং ভিসায় কিরগিজস্তানে লোক নেওয়া হবে। যেখানে বেতন হবে ৬০ হতে ৬৫ হাজার টাকা এবং খাওয়া নিজের, থাকা কোম্পানির। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে তিনি "জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল" এর নয়াপল্টন ঢাকাস্থ অফিসে যোগাযোগ করেন এবং কিরগিজস্তানে যাওয়ার জন্য গরু, রিকশা, ঘর বিক্রি করে উক্ত টাকা প্রদান করেন। তার সাথে ফরিদপুরের মো. আকাশ শেখ (২১) ও মো. আকতার সরদার (২৩) ও কিরগিজস্তানে যাওয়ার জন্য টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে ওই প্রতিষ্ঠান হতে তাদেরকে কিরগিজস্থানের ভিসা ও বিমান টিকিট প্রদান করা হয়। তারা ভিসার কপি ও বিমান টিকিট নিয়ে গত ৭ এপ্রিল কিরগিজাস্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন পুলিশ অনলাইনে তাদের ভিসার তথ্য না পেলে তাদের যাত্রা স্থগিত করে।

পরে তারা "জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল" এর সাথে যোগাযোগ করে সদুত্তর না পেয়ে পল্টন থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করে। সিআইডি মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করার পর আসামি "জান্নাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল" ট্রাভেল এজেন্সির মালিক ইব্রাহীম মল্লিক নাহিদ এবং চক্রের অন্য ২ সদস্যদের গ্রেফতার করে।

তিনি বলেন, মামলা তদন্তকালে জানা যায় আসামিরা ইতঃপূর্বে যাদের অভিবাসী কর্মী হিসেবে কিরগিজস্তান প্রেরণ করেছে তাদের অধিকাংশই সেখানে মানব পাচারের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

;

রাত পোহালেই ১৩৯ উপজেলায় ভোট, ইসির যত প্রস্তুতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজয়ী হয়েছেন।

ইসি জানায়, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ উপজেলার তিন পদে সবাই নির্বাচিত হয়েছে। তাই ওই পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। উপজেলাগুলো হলো- নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ,বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম ও মাদারীপুর জেলার শিবচর। যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবনের তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রেখেছে ইসি।

ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা

গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি। সেই হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন।

উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি'র ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুইদিন মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবেন।

ইসি জানায়, ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ জন বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ এবং পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জন ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ জন সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুই হাজার ৬৪৮ জন ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা

নির্বাচনের দিন ভোট হওয়া উপজেলাগুলোতে যান চলাচলে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী, আজ রাত ১২টা থেকে আগামীকাল বুধবার অর্থাৎ ভোট গ্রহণের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

মোট ভোট কেন্দ্র

প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল জানান, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। স্থানীয় সরকারের ভোট হওয়ায় মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি।

সিইসি জানান, মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সব সময় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেনো ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়-সে বার্তাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে কিছু উপজেলায় তফসিল ঘোষণার মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এদিকে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৮ মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;