মোবাইল রেডিয়েশনের কারণে বন্ধ্যাত্বের হার বাড়ছে
মোবাইল ডিভাইসের দীর্ঘ মেয়াদি উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয়তার ফলে পুরুষদের মাঝে বন্ধ্যাত্বের হারসহ মানবদেহে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ্ শিকদার।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘মোবাইল ডিভাইসের উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর’ শীর্ষক সেমিনার ও তেজস্ক্রিয়তার প্রাথমিক জরিপ প্রকাশকালে এই কথা বলেন তিনি। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘মোবাইল ডিভাইসের রেডিয়েশনের কোনো না কোনো স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকারক দিক আছেই, মোবাইল রেডিয়েশিনের কারণে মানব দেহে জটিল রোগের সৃষ্টি হচ্ছে- যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ কম্পন বেড়ে যাওয়া, ব্রেন ক্যান্সারসহ নানা রোগ।’
‘এই সব রোগ হয়তো একদিনে হয় না, দীর্ঘদিন ধরে মানব দেহে রেডিয়েশনের ফলে এসব রোগের সৃষ্টি হচ্ছে, তাছাড়া মানুষের যে সাভাবিক নড়াচড়া, যে প্রকৃত গতি, তাও রোধ হয়ে যাচ্ছে।’
এ সময় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. এম কামরুজ্জামান তেজস্ক্রিয়তার প্রাথমিক জরিপ প্রকাশ করেন। জরিপে দেখা যায়, দুই বছর যারা দৈনিক ১০ ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাদের ইনসোমনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে বেড়ে গেছে। তাছাড়া যারা দুই মাস দৈনিক ১১ ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তারা মাথাব্যাথা, চোখ ব্যাথাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
যারা এক বছর ধরে দৈনিক ১০ ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন তাদের সবাই হাতব্যাথা বা বাত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
পরিবেশ বাচাও আন্দোলন- পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘শুধু মানবদেহের উপরেই না, আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই মোবাইল রেডিয়েশন পরিবেশের উপরেও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। আমাদের উচিত হবে বেশি মাত্রার রেডিয়েশন স্টেশন ও মোবাইল চিহ্নিত করে তা নিষিদ্ধ করা।’
সেমিনারে আরও উপস্তিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ড. হারুনুর রশিদ, ক্যাব-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মুর্শিদুল হক প্রমুখ।