হাসপাতালে উপস্থিতির বিষয়ে ডাক্তারদের সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রোগীরা হাসপাতালে যাবে আর ডাক্তার থাকবে না এই বিষয়ে আর ছাড় দেয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, আমরা আশা করবো, প্রধানমন্ত্রী যে আশা করেছেন আমাদের ডাক্তার ও নার্সরা তা পূরণ করবেন।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর হোটেল কন্টিনেন্টালে শিপ-আইচি মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত 'বাংলাদেশে অসংক্রামক ব্যাধি বৃদ্ধি, প্রতিকার ও প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জাপান ও বাংলাদেশের সম্ভাব্য সহযোগিতা' শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনগুলোতে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আরও উন্নয়ন করতে চাই। তদারকি বৃদ্ধি করা হবে, ম্যানেজমেন্ট উন্নত করতে চাই। শীঘ্রই নতুন ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ সম্পন্ন করবো। যদি প্রয়োজন হয় নার্স নিয়োগ দিবো। কিন্তু কখনোই আমারা কম্প্রোমাইজ করবো না। কাজের বিষয়ে আমাদের যে দায়িত্ব আছে আমরা সকলে তা পালন করবো।
ড. জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে ক্যানসার বেড়ে যাচ্ছে, কিডনির রোগ বেড়ে যাচ্ছে। মুখের ও গলায় ক্যানসার হচ্ছে, এগুলোর জন্য অনেকগুলো হাসপাতাল তৈরি করব। এগুলো হবে নন কমিউনিকেবল ডিজিসের জন্য। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে ক্যানসার হাসপাতাল হবে। প্রতিটি বিভাগে একটি করে কিডনি হাসপাতাল হবে এবং প্রতিটি জেলা হাসপাতালে একটি করে কিডনি ইউনিট স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি যেসব ইনস্টিটিউট রয়েছে এগুলোকে পুরোদমে চালু করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করবো, আমাদের যারা ডাক্তার ও নার্স আছেন, তারা স্বাস্থ্যখাতে ভালো ভুমিকা রাখবেন। সরকারি ও বেসরকারি উভয়টিতেই তারা ভালো ভুমিকা রাখবেন, তাদের উপস্থিতি ভালো হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী আমাদের দফতরে এসেছিলেন, তিন ঘণ্টা ছিলেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন, ডাক্তাররা যাতে তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন। এবং নার্সরাও যাতে তাদের কাজ ঠিকমতো করেন।
তিনি বলেন, তবে প্রাইভেট হাসপাতালকে খেয়াল রাখতে হবে অনেক সময় অভিযোগ আসে, দাম বেশি রাখে। বিভিন্ন ধরনের যে চার্জ আছে সে চার্জগুলো বেশি। আশা করবো তারা চার্জ এমন ভাবে রাখবে যাতে দেশের রোগীরা এ্যাফোর্ট করতে পারে। তাদের যেন বিদেশে যেতে না হয়।
শিপ-আইচি মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে জাপান ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য হাসপাতাল সম্পর্কে জানান।
নির্মিতব্য জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত আছে শিপ হেলথকেয়ার হোল্ডিংস এবং আইচি মেডিকেল গ্রুপ, বাংলাদেশ। সম্প্রতি, জাইকা এই যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে আশুলিয়ায় একটি মাল্টি-স্পেশাল ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড এর ৬৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপিত হবে। ২০১৭ সালের মে মাসে হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং ২০১৯ সাল নাগাদ প্রথম পর্যায়টি চালু হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে কার্ডিয়াক সেন্টার, কিডনি সেন্টার, ট্রমা সেন্টার, প্রজনন কেন্দ্র, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ও নিউরো সেন্টার স্থাপন করা হবে।