হঠাৎ চট্টগ্রাম ভূমি অফিসে ভূমি মন্ত্রী
হঠাৎ করে চট্টগ্রাম ভূমি অফিস পরিদর্শনে আসেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি।
পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা ভালো হয়ে গেছেন। তবে ভূমি অফিসের নিম্নস্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে প্রচুর ঝামেলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেশ কিছু অভিযোগের তদন্তে আচমকা চট্টগ্রাম ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ভূমি মন্ত্রী।
ভূমি অধিগ্রহেণে জটিলতা ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগের খবরে চট্টগ্রাম ভূমি অফিসে আসেন। পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী ভূমি অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম তদারকি করেন এবং কর্মকর্তাদের কোনো অভিযোগ সহ্য করা হবে না মর্মে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এ সময় মন্ত্রী ভূমি অফিসের সেবা নিতে অপেক্ষমান কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে চট্টগ্রামের এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযানের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব কর্মকর্তাদের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সম্পদের তথ্য বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
হঠাৎ পরিদর্শনে এসে পরমেশ্বর চাকমা নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিসের কাগজপত্র বাসায় নিয়ে যাওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সামনে তাকে শাসিয়ে ভালো হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্পর্শকতার ও গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজপত্র বাসায় নিয়ে যান কেন, কোনোভাবেই কাগজপত্র বাসায় নেওয়া যাবে না। দিনের কাজ দিনে শেষ করতে হবে।
হঠাৎ পরিদর্শনের বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, আমি প্রতিমন্ত্রীর থাকার সময় তিন বছর আগে এখানে এসেছি, সে হিসেবে আজকের ভিজিটটা অনেক বেটার দেখছি। অভিয়াসলি আমার ডিসি, এডিসি, এলডি কাজ করছেন, ওপরের লেভেলে নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু এখনও সমস্যা রয়ে গেছে নিচের দিকে বিশেষ করে কানুনগো ও সার্ভেয়ারদের মাঝে সমস্যা রয়ে গেছে।
এক্ষেত্রে মানুষের হয়রানি এবং কষ্ট লাগবে করণীয় নির্ধারণে একটি পদ্ধতি বের করেছি। সমস্যা বেশি চেক বিতরণে। ক্ষতিগ্রস্থদের চেক দিচ্ছি, কিন্তু কেন, কিভাবে ওই চেক দালালদের হাতে চলে যাচ্ছে; বুঝতে পারছি না। এক্ষেত্রে ইএফটিসি (ইলেকট্রনিক ফ্রান্ড ট্রান্সফার) আওতায় লেনদেনের প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত বিষয় যাচাই-বাছাই করে কাজ শুরু করব।
মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ কাজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন জাবেদ বলেন, আমি তিন ধাপে কাজের পরিকল্পনা নিয়েছি। মন্ত্রলাণয়ের যোগদান থেকে ৯০দিনের মধ্যে ঝটিকা সফরে বিভিন্ন অফিসের কার্যক্রমের পরিদর্শনে যাব। দ্বিতীয় ধাপে মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইলেশনে মনোযোগ দেব। তৃতীয় ধাপে যদি আগামী পাঁচ ববছর আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকি, তাহলে এই মন্ত্রণালয়কে টপ ফাইভে নিয়ে যাব।
মন্ত্রণালয়ের হয়রানি এবং কাজ গুছিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন ছাড়াও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।