আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে সেই তারিখ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছে তার প্রেস উইং।
রোববার ( ২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি সেখানে ছিলেন।
এক উপদেষ্টা লন্ডনে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন, সে প্রসঙ্গে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা বা তার দফতর থেকে নির্বাচনের ডেট দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের প্রকৃত তারিখ প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করবেন। ওনার পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। বাকি যারা বলেছেন, তারা হয়তো নিজেদের মতামত দিয়েছেন, তবে সেটা কংক্রিট না।’
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংকট’ শীর্ষক সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এই নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভয়েস ফর বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন এই সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য আলেকজান্ডার চার্লস কার্লাইল সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীরা।
ড. সাখাওয়াত তার বক্তব্যে শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধীদের দমন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সৃষ্ট গণ-অসন্তোষের কথা উল্লেখ করেন। তার মতে, হাসিনার দেশত্যাগের ফলে আরও সহিংস পরিস্থিতি থেকে দেশ রেহাই পেয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। ‘বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারত, যা দেশের জন্য ভালো হতো না।’