‘আমাদের এখন চাল কেনারও ক্ষমতা নাই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এমপিওভুক্ত করণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা / ছবি: বার্তা২৪

এমপিওভুক্ত করণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি স্থায়ীকরণ বা এমপিওভুক্ত করণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধিভুক্ত সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড এক্সেস এনহ্যান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের শিক্ষকরা।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে তারা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত প্রণোদনার মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। যার মাধ্যমে ২৫০টি উপজেলার ২ হাজার ১০০টি মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার ২০০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শর্ত ছিল প্রকল্প শেষে তারা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে স্থায়ী হবেন। কিন্তু চার বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও তাদের চাকরি স্থায়ী হচ্ছে না।

আন্দোলনরত গণিত শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও আমাদের চাকরি কেন স্থায়ী হচ্ছে না, তা আমরা জানতে চাই। এদিকে আমাদের চাকরি স্থায়ী তো হচ্ছেই না তারপও আবার দীর্ঘ ১৩ মাস যাবত আমাদের বেতন নাই। আমরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে যাচ্ছি, কিন্তু আর কত? আমাদের অনেকের এখন ঘরে চাল কেনারও ক্ষমতা নাই।’

অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষক (এসিটি) অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র মো. আতিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পাশের হার বৃদ্ধি ছাড়াও কোচিং বাণিজ্য বন্ধ, ঝড়ে পরা ও বাল্যবিবাহ রোধে আমদের এসিটির অবদান প্রশংসনীয়। তাই সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আমাদের এসিটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কিন্তু প্রকল্পে নিয়োগকালে আমাদের স্থায়ীকরণের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কোনো বাস্তবায়ন তো নেই বরং আমরা বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই বকেয়া বেতনসহ আমাদের চাকরি স্থায়ী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।’

উল্লেখ্য, সেকায়েপ ম্যানুয়েলে এসিটি শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে এবং এমপিওভুক্ত করণের জন্য তথ্য চেয়ে মাওশির নোটিশ দেওয়া আছে।

   

বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মুখ ও মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত নারীর নাম আনজু খাতুন (৩১)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ঘাগোয়া ইনিয়নের মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

নিহত আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একটি বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ তাকে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কারন উদঘাটনের চেষ্টা করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

;

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম। সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা ২৪ কমকে জানান, সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার বুড়িমারী স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীসহ ২ জন পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারী যাওয়ার সময় উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাটগামী পাকা রাস্তায় পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

আহতরা হলেন উপজেলার একই ইউনিয়নের স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক ছেলে ওলিউর রহমান অলু (৪০) ও আব্দুল খলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, পাটগ্রামে থেকে আসার পথে কল্লাটারী উচা ব্রিজে কয়েকজন লোককে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একজন মারা গেছেন আর দুজন মোটরসাইকেলসহ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে দুজন আহত হয়েছেন।

;

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;