বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিবিএ নেতার কবল থেকে জিপ গাড়ি উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিবিএ নেতা আলাউদ্দিন মিয়ার কাছ থেকে একটি পাজেরো জিপ গাড়ি উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 সোমবার( ১১ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-২৮২৭ গাড়িটি আটক করে দুদক টিম। 

সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মিয়া (অবসরোত্তর ছুটি ভোগরত) নকশা ও পরিদর্শন পরিদপ্তরের স্টেনো টাইপিস্ট পদের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের একটি পাজেরো জিপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে এবং কর্তৃপক্ষকে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করে ব্যবহার করছেন- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামে দুদক।

অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ৩য় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে গাড়িটি ২০০৯ সাল থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটির পেছনে গত ৯ বছরে জ্বালানি তেল, মেরামত এবং গাড়িচালকের বেতন বাবদ প্রায় সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আইনত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কোনোভাবেই ফুল টাইম গাড়ি পাবেন না। এ ধরনের আইন অমান্যতা প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ধ্বংস করার শামিল, যা ছোট দুর্নীতি থেকে বড় দুর্নীতির পথ প্রশস্ত করে। দুদক শিগগিরই এ ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করে আইনানুগ পথে অগ্রসর হবে।

দুদক জানায়, সোমবার গাড়িটি আটকের সময় চালক মো. আবুল হোসেন জনি এবং নিরাপত্তা প্রহরী মো. সামছু মিয়া ঘটনাস্থলে ছিল। অভিযানকালে দুদক টিম জানতে পারে, প্রতিমাসে গাড়িটির জন্য ডিজেল বরাদ্দ হয় ৪৫০ লিটার, যার আর্থিক মূল্য ২৯ হাজার ২৫০ টাকা। এ হারে প্রতি বছরে জ্বালানি বাবদ ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা খরচ হয়। এভাবে সিবিএ নেতা আলাউদ্দিন ২০০৯ সাল থেকে গত ১০ বছরে গাড়িটির জন্য পিডিবি থেকে ডিজেল খরচ তুলেছেন ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। প্রতি মাসের ড্রাইভারের বেতন বাবদ ৪১ হাজার টাকা খরচ হয়। এ পর্যন্ত এ গাড়ির চালককে ৩৭ লক্ষাধিক টাকা বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া গাড়িটির পেছনে প্রতিমাসে ১০ লিটার মবিল এবং মেরামত ব্যয় হয়েছে। দুদক টিম আরো জানতে পারে, গাড়িটির লগ বইয়ে আলাউদ্দিন মিয়া স্বাক্ষর করেন না, করেন পিডিবি’র একজন কর্মচারী।

 

   

উপজেলা নির্বাচন: সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবি পাংশা নাগরিক সমাজের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর পাংশায় সন্ত্রাসমুক্ত, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে পাংশা উপজেলা নাগরিক সমাজের আয়োজনে এয়াকুব আলী চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি উপস্থাপন করা হয়।

মাঝবাড়ি জাহানারা বেগম ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় পাংশা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার চাঁদ আলী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি নিখিল কুমার দত্ত, নাগরিক সমাজের সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক মুক্তার হোসেন এবং মাসুদ রেজা শিশির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, পাংশাতে নির্বাচন মানেই এক আতঙ্কের নাম। নির্বাচনের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়েছে। এরই মাঝে কুষ্টিয়া ও পাবনা থেকে সন্ত্রাসী আনার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। র‌্যাব উপজেলার বলরামপুর থেকে বকুল নামে এক সন্ত্রাসীকে বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত বকুল ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদ হাসান ওদুদের সমর্থক বলে জানতে পেরেছি।

নির্বাচনে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাংশার উন্নয়নে যে ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন, যে প্রার্থী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন বক্তারা। নির্বাচনের দিন ভোটের পরিবেশ যেন সুষ্ঠ ও সুন্দর থাকে সেজন্য নির্বাচনের কমিশনের প্রতি অনুরোধ করেন তারা।

মতবিনিময় সভায় নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দসহ পাংশার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মহিলা লীগ নেত্রীর মোটরসাইকেল শোডাউন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিল্পী রানী রায়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে প্রতীক বরাদ্দের পর তিনি শহরের বিভিন্ন সড়কে সর্মথকদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করেন।

তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেলাই মেশিন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি ২০০৮ এর এর সংশোধনী (২০১৩) অনুযায়ী বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌ-যান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল করা যাবে না কিংবা কোনো শোডাউন করা যাবে না। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ও মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না।

তবে নির্বাচনী আচরণবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমর্থকদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছেন তিনি। এসময় দেখা যায়, শোডাউনের সামনে মোটরসাইকেলে বসে আছে। সর্মথকরা তার পিছনে লাইন ধরে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছেন। এসময়ে তারা উচ্চস্বরে মোটরসাইকেলের হর্ণ বাজায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

এবিষয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিল্পী রানী রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোন ভাবেই কোন প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন করার সুযোগ নেই। কেউ করে থাকলে সেটি অবশ্যই আচরণ বিধি লঙ্ঘন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিবেন৷

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আশিক রেজার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

;

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির ক্যাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আবু সাঈদ বাদশা (৫২) ও মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন (৪৫) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু সাঈদ বাদশা শহরের নতুন কোর্টপাড়া (টালিপাড়া) এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ও মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন উপজেলার হরিপুর শালদাহ এলাকার আব্দুল হাই খানের ছেলে এবং কুষ্টিয়া পৌরসবার সাবেক প্যানেল মেয়র টিটু কমিশনারের ছোট ভাই।

আবু সাঈদ বাদশা পেশায় কনফেকশনারী দোকানদার ছিলেন এবং মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন সাংবাদিকতা করতেন। তিনি কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য ও দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল ও দৈনিক স্বর্ণযুগের উপদেষ্টা ছিলেন।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে একটি কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিলে দু'জনেই গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সাঈদ বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে একজন মারা যায় এবং একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করে। তিনিও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

;

সিলেটে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কানাইঘাটে বোরো ধান কাটাতে গিয়ে বজ্রপাতে এক বর্গাচাষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার দিঘীরপার পূর্ব ইউনিয়নে শফিক হাওরে এ ঘটনা ঘটে ।

নিহত বর্গাচাষী দক্ষিণ কুয়রেরমাটি মৃত আব্দুস সালামের ছেলে বাবুল আহমদ (৪৮)। এছাড়াও বজ্রপাতে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত বাবুল আহমদের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) ও মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদিপ বিশ্বাস (২০)।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাবুল আহমদ স্থানীয় শফিক হাওরে বর্গা জমিতে বোরো ধান কাটতে যান। এ সময় তার সাথে ছিল ভাতিজা ফাহিম আহমদ ও প্রদীপ বিশ্বাস। হঠৎ করে প্রচণ্ড বজ্রপাত এসে তাদের উপর পড়লে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ধানকাটা জমি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত ফাহিম ও প্রদীপ বিশ্বাসকে সিলেট এমওজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহতের মরদেহ কানাইঘাট থানা পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দজল মুমিন চৌধুরী ও ইউপি সদস্য সাহাবউদ্দিন জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন বাবুল আহমদ। দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন নি:স্ব হয়ে গেছে। এই অসহায় পরিবারের পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য তারা আহ্বান করেন। 

;