তিস্তার বুকে দাঁড়িয়ে পানির জন্য কান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
তিস্তার বুকে দাঁড়িয়ে পানির জন্য কান্না। ছবি: বার্তা২৪.কম

তিস্তার বুকে দাঁড়িয়ে পানির জন্য কান্না। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাসদ। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুরের কাউনিয়ায় শুষ্ক তিস্তার বুকে দাঁড়িয়ে এ দাবি জানানো হয়।

বাসদের (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদী ভারতের পানি আগ্রাসী নীতির কারণে তিস্তা নদী আজ মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের উজানে গজল ডোবায় আন্তর্জাতিক নদী আইন অমান্য করে বাঁধ দিয়েছে ভারত। শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য যখন পানি দরকার, তখন তারা পানি আটকে রাখে। আর বর্ষা মৌসুমে পানিতে ভাসিয়ে দেয়।

দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চললেও সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় হচ্ছে না। এমন অভিযোগ তুলে ধরে বাসদ নেতারা বলেন, তিস্তা নদী উত্তরবঙ্গের জীবনরেখা। এই নদীকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য কৃষি ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। হাজার হাজার জেলে পরিবার নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। নদীতে সারা বছর মানুষ নৌকায় যাতায়াত করতে পারত, শুষ্ক মৌসুমেও নদীতে ১৪০০ কিউসেক পানি থাকত। এখন এসব যেন গল্প।

বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- জেলা সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু, রোকনুজ্জামান রোকন, আবু রায়হান বকসি প্রমুখ।

মানববন্ধন থেকে তিস্তায় অবিলম্বে পানি দিয়ে উত্তরাঞ্চলের প্রাণ প্রকৃতি ও কৃষি বাঁচাতে সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

   

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের মতো বিএনপি উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্তকে আত্মহননমূলক রাজনীতি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা বিএনপির উপজেলা নির্বাচন বর্জন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে যারা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত তারা দেশের সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে আমার প্রশ্ন- কোনো নির্বাচনেই যদি অংশ নিতে না পারেন, তবে আর কেন বিএনপির রাজনীতি করবেন।

উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হলেও বিএনপি কেন ঢাকা শহরে লিফলেট বিতরণ করছে- এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এগুলো তাদের লোক-দেখানো কর্মসূচি। কখন যে তারা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করতে দূতাবাসগুলোতে চলে যায়, সেটিই দেখার বিষয়, কারণ তারা তো কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে ধর্না দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা নিয়ে মন্তব্য চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ইউরোপজুড়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে, হচ্ছে। আর আমরা দেখেছি, আমাদের এখানে হিরো আলমকে বা কোনো মেয়র পদপ্রার্থীকে কেউ ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়, আর তাদের ওখানে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ যেভাবে বলপ্রয়োগ করছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, শিক্ষকরাও রেহাই পাচ্ছেন না- এ নিয়ে তারা কি বলবেন সেটিই আমার প্রশ্ন।

;

সরকারের চলতি মেয়াদে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর টার্গেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার চলতি মেয়াদে আগামী ৫ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর কুটনৈতিক তৎপরতায় স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার ৮৭ জন কর্মী বিদেশে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জনে উন্নীত হয়েছে। বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। অধিকহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, জনশক্তি রপ্তানীতে অসখ্য দালালচক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে। এসব দালাল চক্র দমনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সতর্ক রয়েছে। বিদেশগামী কর্মীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে দেশের সব বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ চলছে। ভিসা দালাল ও মানবপাচার সংক্রান্ত কোনো গুরুতর অভিযোগ এ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হলে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।

এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় ভিজিলেন্স টাস্কফোর্স কমিটি (ভিটিএ) অভিযান পরিচালনা করছে। আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার অপরাধে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্ট, মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যক্তি ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ দণ্ড প্রদান করছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, কোন দেশে কত জন বৈধ কর্মী কাজ করছেন তার কোনো ডাটা বেইজ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই, এটা তৈরিতে কাজ চলছে। তিনি আরো জানান, বিদেশগমন ও আগমনকালে কর্মীদের সাময়িক অবস্থানের জন্য ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সন্নিকটে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য মাহবুব উর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রবাসে মৃত প্রতিটি কর্মীর পরিবারকে ৩ লাখ টাকা হারে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রবাসে মৃত ৬ হাজার ১৮৮ জন কর্মীর পরিবারকে ১৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৮ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রবাসে কোনো কর্মী মারা গেলে বিমান বন্দরেই তার স্বজনের হাতে মরদেহ পরিবহন ও দাফনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ বাবদ ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৪ হাজার ১৪৩ জনকে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অসুস্থ কর্মী দেশে আনা, হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার্থে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। ২০১২-১৩ অর্থ-বছরে ৪২৩ জন আহত ও অসুস্থ কর্মীকে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রবাসে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণকারী কর্মীর মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন, ইন্স্যুরেন্স ও সার্ভিস বেনিফিট আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া ও ওয়ারিশদের নিকট বিতরণ; ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন, ইন্স্যুরেন্স ও সার্ভিস বেনিফিট হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরে এক হাজার ৪৬১ জন প্রবাসী কর্মীর অনুকূলে ৯৪ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ৮১৬ টাকা আদায় করে তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।

;

হকার উচ্ছেদ বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বংশাল, কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, সদরঘাট ও কামরাঙ্গীচর এলাকায় ফুটপাত থেকে বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন ও উচ্ছেদ হওয়া হকাররা।

বুধবার (৮মে) রাজধানীর লালবাগ উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে লালবাগ ডিসি বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতারা।

জীবন-জীবিকা রক্ষায় হকারদের ১০ দফা দাবিগুলো হলো- পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা চলবে না। হকারদের অর্থনৈতিক অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধ করে হকারদের নিকট থেকে রাজস্ব আদায় করতে হবে। হকারদের উপর মামলা-গ্রেফতার দমন-পীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত হকারদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। দখলকৃত সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে হকারদের বরাদ্দ দিতে হবে। হকারদের পুনর্বাসনের জন্য ৫ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় বাজেটে হকারদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে। হকার্স মার্কেটগুলোতে প্রকৃত হকারদের নামে বরাদ্দ দিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. ফিরোজ মোল্লা, বংশাল থানা হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা সালাউদ্দীন, কোতোয়ালি থানার সভাপতি কায়ুম, সূত্রাপুর থানার সাধারণ সম্পাদক নাদিম, মহিলা সম্পাদিকা শাহিনা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের বংশাল, কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, সদরঘাট ও কামরাঙ্গীচর এলাকায় নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ ও মালামাল ধ্বংস করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এর ফলে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ লাখো মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় ক্ষতি নিয়ে এসেছে।

তারা বলেন, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, দিন আনে দিন খায় এই অসহায় হকাররা কি করবে? কোথায় যাবে? পরিবারের ভরণ-পোষণ দিতে পারছে না, বৃদ্ধ মা-বাবার ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারছে না, বাড়ি ভাড়া বকেয়া, সমিতির কিস্তি বকেয়ার হয়রানি হতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে ফুটপাতের হকারদের বিরুদ্ধে চলছে এক নির্মম ও নিষ্ঠুর অভিযান। উচ্ছেদের নামে প্রতিদিন ব্যাপক ভাঙচুর, মালামাল নষ্ট, লুটপাট চালানো হচ্ছে। হাজার হাজার স্বল্প পুঁজির হকার মালামাল হারিয়ে, রুটি-রুজির জায়গা থেকে বিতাড়িত হয়েছে। এই মানুষগুলো সর্বশান্ত অবস্থায় পরিবার, পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

;

খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়।

বুধবার (৮ মে) খুলনার ডুমুরিয়ার থুকড়া এলাকার আনন্দ আশ্রয় ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার-কে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবহার ও প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান না করার অপরাধে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৩৫ হাজার টাকা এবং সিটি বাইপাস রোড এলাকার খুলনা রিজিওনাল ক্যান্সার হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটকে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবহার করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় খুলনা ডুমুরিয়া থানার থুকড়া ও সিটি বাইপাস এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ঔষধ, ডাব, তরমুজ, বিদেশি ফল, ডিম, ডায়াগনস্টিক, হসপিটাল ও ফ্যানের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয়। তাছাড়া সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করে।

তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি, ক্যাব খুলনার সদস্য জেড. এন. সুমন, আনসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

;