পালিয়েছে ঠিকাদার, বিপাকে মেয়র



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
কাজ সম্পূর্ণ করার আগেই টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে ঠিকাদাররা, ছবি: সংগৃহীত

কাজ সম্পূর্ণ করার আগেই টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে ঠিকাদাররা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেয়রের সকল ভালো উদ্যোগ আর প্রচেষ্টা আড়াল হচ্ছে নগরীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তা আর ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায়। প্রত্যাশিত উন্নয়ন ব্যহত হওয়াতে মেয়রের প্রতি বেড়েছে নগরবাসীর ক্ষুব্ধতা। রংপুর সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও ব্রিজের কাজের অগ্রগতি না হতেই পূর্বের মেয়রের আমলে ঠিকাদাররা বিল নিয়ে উধাও হওয়াতে এই জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি বর্তমান পরিষদের।

রংপুর সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি ১৯ ফেব্রুয়ারি। গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শপথ বাক্যপাঠ করে দায়িত্ব গ্রহণ করে নতুন পর্ষদ। রংপুর মহানগরকে নাগরিক বান্ধব স্মার্ট আধুনিক নগরী হিসেবে গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মেয়রসহ কাউন্সিলররা। তবে এই এক বছরেই অনেকের মনে জমাট বেঁধেছে হাজারো প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বর্ষপূর্তিতে নাগরিকদের সাথে মুখোমুখি হবেন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

তারা বলছেন, নগরবাসীর ভোগান্তি আর অভিযোগ শাপলা চত্বর থেকে স্টেশন যাওয়ার রোডটিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নিয়ে। বিগত মেয়রের সময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো বেশির ভাগই টাকা নিয়ে সটকে পড়েন। এ কারণে ওই প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক প্রসস্থকরন-সংস্কার, ড্রেন ও ফুটপাথ নির্মাণে বেধে দেয়া প্রকল্পের সময়সীমা বছর চারেক আগেই শেষ হয়েছে। ব্যস্ততম সড়ক শাপলা চত্বর থেকে স্টেশন রোড, ঘোড়াপীর থেকে রেলক্রসিং হয়ে ঢাকা-কুড়িগ্রাম রোডের সংযোগ সড়কের কাজ শুরুর পর নির্দিষ্ট সময় শেষ হলেও এখনো কাজের কাজ কিছুই হয়নি এই সড়কগুলোর। বর্ষা মৌসুম এসে এই সড়কগুলো হয়ে উঠে গ্রামের ছোট ছোট পানি ভরা খালের মতো। এছাড়াও ৬টি নতুন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও সেগুলোতে নেই কোন নির্মাণ গতি।

উন্নয়ন প্রত্যাশী মানুষের কাছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ব্রিজের কাজে এমন ‘কচ্ছপ মার্কা উন্নয়ন’ যেন বিতৃষ্ণা এনে দিয়েছে। বিশেষ করে বর্তমান পরিষদের ভালো কাজগুলো চাপা পড়ছে প্রলম্বিত এই দুর্ভোগের কাছে।

নগরীর শাপলা চত্বর এলাকার মেহেদী হাসান শরীফ, আমজাদ হোসেন, গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বিগত ৪-৫ বছর ধরে আমাদের এই রাস্তা হবে হবে করেও হচ্ছে না। গত মাসেও কাজ শুরু হবার কথা শোনা গেল। কিন্তু শাপলা থেকে স্টেশন রোডটার কোন সংস্কার হচ্ছে না। বৃষ্টি আসলে অন্য রাস্তা হয়ে ঘুরে যেতে হবে। তখন এই ব্যস্ততম রাস্তাটি খালে পরিণত হয়।

এদিকে, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, ‘কাজ শেষ না করে কীভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাকা তুলে নেয়, এটা আমার বোধগম্য নয়। সিটির সেই প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এতে করে কাজের স্বচ্ছতা তৈরির পাশাপাশি অন্য প্রকৌশলী ও ঠিকাদাররা সতর্ক হবেন।’

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দাতাসংস্থা জাইকার অর্থায়নে সিটি গভারনেন্স প্রজেক্ট-সিজিপি’র আওতায় ২২৮.২৯ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ব্যাচ-২ এর মাধ্যমে ২৪টি প্যাকেজের মধ্যে ১৬টি (চুক্তি মূল্য ১৫৭.১০ কোটি টাকা) কাজ চলমান আছে। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে রাস্তা, বক্স কারভার্ট, আরসিসি গার্ডার, ব্রিজ ও আরসিসি ড্রেন নির্মাণ। দ্রুতগতিতে এসব কাজ এগিয়ে চলছে।

এদিকে, জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করলেও নিজেদের ঘাড়ে দোষ নিতে নারাজ রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বারবার চুক্তি ভঙ্গের পরও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যর্থতা এবং কাজ শেষ না করেই বিল নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো লাপাত্তা হওয়াতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে ব্যাঘাত হচ্ছে। তবে এই দুর্ভোগ আর থাকবে না। ইতোমধ্যে শাপলা চত্বর থেকে স্টেশন রোডটি নির্মাণে নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সড়কের কাজ শুরু হবে।’

নির্বাহী প্রকৌশলী আজম আলী জানান, বর্তমান মেয়রের বিগত বছরে নগরীতে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, ড্রেন স্ট্রীট লাইট নির্মাণ, পুন:নির্মাণ, উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণে এসেছে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ইতোমধ্যেই ৩০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো ৮৮ কোটি ২ লাখ টাকা। চলমান কাজ শেষ হলে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন কাজগুলো শুরু ও শেষ হলে নগরবাসী রাস্তাঘাট, ড্রেন, অবকাঠামো এবং লাইটিংয়ের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

বরাবরের মতো বিগত মেয়রের ওপর দায় চাপালেন বর্তমান নগর পিতা। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আগের সিটি করপোরেশনের মেয়র কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা কাজটি সঠিকভাবে করতে পারে নাই। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই গত একবছর বিভিন্ন সময় চলমান কাজগুলো টেন্ডার করে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে তা শুরু করেছি। কোনো নোটিশ ছাড়াই আমি নিজেই চলমান কাজগুলো তদারকি করছি। কোন জায়গায় হেরফের হলেই আবারও আমি নতুনভাবে কাজগুলো করে নিচ্ছি।

মেয়র বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন কাজগুলো যত দ্রুত সম্ভব টেন্ডার দিয়ে ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করার ব্যাপারে আমার পরিষদ বদ্ধ পরিকর। নগরবাসীর এই দুর্ভোগ দুর আরও এক বছর সময় লাগবে। এসব কাজ বাস্তবায়ন হলে নগরীর চেহারাই বদলে যাবে। নগরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে।

   

‘জলবায়ু সহনশীল মৎস্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ চলমান’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় এলাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ প্রেক্ষিতে জলবায়ু সহনশীল মৎস্য চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় মৎস্য সম্পদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া, নদীসমূহে লবণাক্ত পানি অনুপ্রবেশের ফলে মিঠাপানির মাছ ও প্রাথমিক উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন ঘটছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মাছের আবাসস্থল, বিচরণক্ষেত্র, অভিপ্রায়ণ ও প্রজনন প্রভাবিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে, বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ ও দেশীয় মাছের বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা পরিচালনা করে আসছে।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট হতে মৎস্য সম্পদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নির্ণয়ের জন্য সম্প্রতি ‘Effect of Climate Change on the Ecology and Biodiversity of Inland Open Water Fishes’ শীর্ষক একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আন্ধারমানিক, গলাচিপা, পায়রা, পশুর, ময়ুর, ডাকাতিয়া, শিবসা, রায়মঙ্গল ও বলেশ্বর নদীর নিম্নাঞ্চলেও লবণাক্ততা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মিঠাপানির নদ-নদীর নিম্নাঞ্চলে মাঝে-মধ্যে লোনাপানির মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এ প্রেক্ষিতে, উপকূলীয় অঞ্চলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ উপকূলীয় ঘেরে চাষ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দেশে মিঠাপানির জলাশয়ে ২৬১ প্রজাতির মাছ আছে। আইইউসিএন ২০১৫ সালে ৬৪ প্রজাতির দেশীয় মাছকে বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করে। দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছসমূহ সুরক্ষায় দেশে প্রথম বারের মতো ২০২০ সালে ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে লাইভ জীন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত এ লাইভ জীন ব্যাংকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির মাছকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃতি থেকে কোন মাছ হারিয়ে গেলে এই লাইভ জীন ব্যাংকে সংরক্ষিত মাছকে হ্যাচারিতে কৃত্রিম উপায়ে পোনা উৎপাদন করে জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া যাবে এবং চাষাবাদ করা যাবে।

এতে করে প্রকৃতি থেকে কোন মাছ হারানোর ঝুঁকি আর থাকবে না। এছাড়াও ইনস্টিটিউট থেকে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে জাতীয় চাহিদার নিরিখে গবেষণা পরিচালনা করে এ যাবত পর্যন্ত ৩৯টি বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন এবং চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।

;

দেশে বিচারাধীন মামলা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার: আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ৬৪ জেলায় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫টি বলে সংসদে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসব মামলার মধ্যে ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪টি দেওয়ানি এবং ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪টি ফৌজদারি মামলা।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ কে আবদুল মোমেনের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।

আইনমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক লাখ ১০ হাজার ৫৪৮টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী জানান, মামলার জট কমাতে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত আইন তৈরির কার্যক্রমও শেষ করে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলার জট বেড়েছে সঠিক এবং তার সাথে সাথেও কিন্তু আমরা আদালত তৈরি করে বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়েছি। যেটা আগে কখনো হয়নি, সেটা হচ্ছে- আগে কখনো বিচারকের পদ শুন্য হওয়ার আগে বাংলাদেশ জুটিশিয়াল সার্ভিস ক্যাডারে পরীক্ষা নিয়ে এটা রিজার্ভ বিচারকের ব্যবস্থা ছিলো না। এখন কিন্তু আমরা সেটা করি যাতে কোনো বিচারক অবসরে গেলে সেই পদটা যেনো খালি না থাকে, তড়িৎ যেন আমরা সেখানে বিচারক দিতে পারি। দ্বিতীয় যেটা করা হচ্ছে, বিচারকের পদ সৃজন এবং আদালত সৃজন দুইটার জন্যই আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখেছি এবং সেইখানে ১৭৮টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটা আসলে আমর মনে হয় মালার জট কমানোর চেষ্টা করবে। মামলার জট কমানোর জন্য অন্যান্য চেষ্টাও হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্ট বিভাগে অন্ততপক্ষে বিচারপতি ছিলেন ১০০ জন, এখন সেটা কমে এসছে, অবসরে গেছেন অনেকে, আপিল বিভাগে গেছেন অনেকে। সেই ক্ষেত্রে এখন নেমে এসেছে ৮৪ জনে। রাষ্ট্রপতি তার সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে খুব শিগগিরই হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। বিচাপতি নিয়োগের জন্য আইন যেটা করার সেটাও কিন্তু আমরা শেষ করে এনেছি। হাইকোর্টেও বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে যে আইনটা সেটার জন্য স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ করার জন্য খুব শিগগিরি একটা সময় ও তারিখ দেওয়া হবে।

;

রাজধানীতে ঝড়

বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে নারীর মৃত্যু, আহত ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে পাশের টিনশেড বাড়িতে থাকা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭জন।

রোববার (৫ মে) রাত ১১টার দিকে ঝড় ও বৃষ্টির সময় ঢাকা উদ্যান হাউজিং এলাকায় নির্মাণাধীন ১৬ তলা ভবনের ১০ তলা থেকে কাঁচা দেয়ালের বেশ কিছু ইট ধসে পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- রুহান (৪), রাহাত (৭), রাফি (৯), রুমা (৩০), লুৎফা (৩৫), লিমা (৩০) ও ফারুক (৪৫)।

তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা জানান, নির্মাণাধীন ভবনের পাশে টিনশেড ঘরে নিম্ন আয়ের কয়েকটি পরিবার বসবাস করেন। দুর্ঘটনার পর কয়েকজনকে উদ্ধার করে সোহরোওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রেশমা নামে ৪০ বছর বয়সী এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় টিনশেড ঘরের কয়েকটি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে মাহফুজুল হক বলেন, আহতদের মধ্যে দুইজনকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

;

১ আগস্ট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করছে ইউএস-বাংলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১ আগস্ট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

১ আগস্ট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

মুসলিম উম্মাহর পবিত্র নগরী মক্কার প্রবেশদ্বার জেদ্দায় আগামী ১ আগস্ট থেকে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সপ্তাহের প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালিত হবে। আজ মে ০৬, ২০২৪, সোমবার থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সকল বিক্রয় মাধ্যমে ঢাকা-জেদ্দা রুটের টিকেট বিক্রয় শুরু হয়েছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার বিকাল ৫টা ১৫মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং জেদ্দায় স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে অবতরণ করবে। পুনরায় জেদ্দা থেকে রাত ১১টা ১০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৮টা ৫৫ অবতরণ করবে।

এছাড়া মঙ্গলবার ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটে ও রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিটে উড্ডয়ন করে যথাক্রমে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ও ১০টা ৫মি মিনিটে জেদ্দায় অবতরণ করবে। পুনরায় মঙ্গলবার ও রবিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে জেদ্দা থেকে উড্ডয়ন করে বুধবার ও সোমবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।

সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে জেদ্দার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে এবং জেদ্দা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় সকাল ৬টা ২৫মিনিটে পৌঁছাবে।

ঢাকা থেকে জেদ্দার নূন্যতম ভাড়া ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ে ৫৮,৬০৫ টাকা এবং রিটার্ণ ভাড়া ৯৬, ০৩৭ টাকা। এছাড়া জেদ্দা থেকে ঢাকার ওয়ানওয়ের নূন্যতম ভাড়া ৮৯৩ সৌদি রিয়েল এবং রিটার্ণ ভাড়া ১,৬১১ সৌদি রিয়েল।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওমরাহ হজ্ব পালন করার সুপ্ত ইচ্ছেকে পূর্ণতা দিতেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরাসরি ঢাকা থেকে পবিত্রতম শহর জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। এছাড়া রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যেন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো গন্তব্যে স্বল্পতম সময়ে গমণ করতে পারে সে ব্যাপারে যত্নশীল থাকবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুইটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সকল রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দুবাই, শারজাহ, আবুধাবী, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ঢাকা-জেদ্দা রুটের টিকেট রিজার্ভেশন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ অথবা ১৩৬০৫ নম্বরে অথবা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.usbair.com ।

;