খুলনার মুজগুন্নী পার্ক বন্ধ ঘোষণা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুজগুন্নী পার্কে উচ্ছেদ অভিযান চলছে, ছবি: বার্তা২৪

মুজগুন্নী পার্কে উচ্ছেদ অভিযান চলছে, ছবি: বার্তা২৪

খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) মালিকানাধীন নগরীর মুজগুন্নী পার্ক থেকে ইজারাদারকে উচ্ছেদ করে পার্কটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চুক্তিপত্র‌ের শর্ত ভঙ্গ করায় গত ২২ জানুয়ারি পার্কটির ইজারা বাতিল করেছিল কেডিএ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/20/1550610103071.jpg

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়।

কেডিএ’র সিনিয়র বৈষয়িক কর্মকর্তা জি এম মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কম কে জানান, মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৮ দশমিক ৬৭ একর জমির উপর নির্মিত পার্কটি ২০০৭ সালের ১৮ এপ্রিল এস এস ওয়ার্ল্ডকে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। ইজারার অন্যতম শর্ত ছিলো পার্কটির ভেতরে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি এবং আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন করে একটি আধুনিক শিশু পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু প্রথম থেকেই ইজারাদার সে শর্ত ভঙ্গ করেছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া পরিশোধ না করা, পার্কটি সাব লিজ দেওয়া, অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশ নষ্ট। অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য একাধিকবার ইজারা গ্রহীতাকে সতর্কও করা হয়। এতেও কাজ না হওয়ায় বৈঠকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা চাওয়া হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/20/1550610125124.jpg

ইজারাদার শর্ত মেনে চলার অঙ্গীকারও করেন। এরপরও ভাড়া পরিশোধ না করায় কেডিএ’র পক্ষ থেকে জেনারেল সার্টিফিকেট আদালতে মামলা করা হয়। এরপরও বকেয়া ভাড়া পরিশোধ না করায় ২২ জানুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানের ইজারা বাতিল করা হয়। তাদের ১৫ দিনের মধ্যে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ইজারা গ্রহীতা কেডিএ’র বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন এবং ইজারা বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চান। ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে শুনানি শেষে ওই আবেদন নামঞ্জুর হয়।

কেডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাবিরুল আলম বলেন, পার্কটিকে আধুনিক শিশু পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সংস্কারের পর এটি খুলনা বিভাগের সবচেয়ে আধুনিক শিশু পার্ক হবে।