ময়ূরপঙ্খীর উড্ডয়নের ছাড়পত্র এখনো মেলেনি

  • ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ের চেষ্টা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ ৮০০ উড়োজাহাজটি (ময়ূরপঙ্খী) এখনো বুঝে পায়নি এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। এর ফলে উড়োজাহাজটি দিয়ে বিমান কোনো ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক যুবকের ছিনতাইয়ের চেষ্টার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে সে নিহত হয়।

বিজ্ঞাপন

বিমানের ফ্লাইটটি ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রুসহ ঢাকা ছাড়ে। এর কিছুক্ষণ পর নিজেকে মাহাদি বলে পরিচয় দেওয়া ২৫ বছরের যুবক উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।

৮ মিনিটের কমান্ডো অভিযান শেষে নিরাপত্তা বাহিনীর পুরো উড়োজাহাজটিতে তল্লাশি চালায়। তবে অভিযান শেষ হলেও বোয়িং ৭৩৭ ৮০০ উড়োজাহাজটি কতক্ষণে উড্ডয়নের জন্য পুনরায় ছাড়পত্র পায় তা এখনই কেউ সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না।

বিজ্ঞাপন

বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) শাকিল মেরাজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এয়ারলাইনসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা চট্টগ্রামে উড়োজাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করছেন। কারণ গতকালের ঘটনার পর উড়োজাহাজের র‌্যাফট খুলে যাত্রীদের দ্রুততার সাথে নামানো হয়। সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রকৌশলীরা এটি উড্ডয়ন উপযোগী কিনা তার ছাড়পত্র দেবেন।

তদন্তের স্বার্থে সব ধরনের সহায়তা করতে বিমান প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন শাকিল মেরাজ।

তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, বিমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলেই উড়োজাহাজটি ছাড়পত্র নাও পেতে পারে। কারণ এর ঘটনার পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর তদন্ত করবে। এরপরেই হয়তো উড়োজাহাজটি চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেতে পারে।

এদিকে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামের শাহ আমানতে গ্রাউন্ডেড থাকায় বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট সূচি ঠিক রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই উড়োজাহাজ দিয়ে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইনস আঞ্চলিক ফ্লাইটসমূহ পরিচালনা করে থাকে।

অভিযানের পর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জানিয়েছিলেন, অভিযানে উড়োজাহাজটিতে কোনো ক্ষতি হয়নি। ছিনতাইকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম দ্রুততম সময়ে অভিযান শেষ করতে। আর তাই ছিনতাইকারীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ ছিল না। ৮ মিনিটের অভিযান শেষে উড়োজাহাজটিতে নিরপত্তা তল্লাশি পরিচালনা করা হয়। এরপর উড়োজাহাজটিকে চলাচলের জন্য নিরাপদ ঘোষণা করা হয়।