ঘোড়ায় চড়ে টাকার মালা পরে সংবর্ধনা বিনা ভোটে জয়ী চেয়ারম্যানকে
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলুকে ঘোড়ায় চড়িয়ে টাকার মালা পরিয়ে সংবর্ধনা
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলুকে ঘোড়ায় চড়িয়ে টাকার মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চরাঞ্চল চকরাজাপুর এলাকায় তাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয় হয়। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক।
তবে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (লায়েব উদ্দিন লাবলু) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও এখনো কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়নি। তাছাড়া ওই উপজেলা অন্যপদগুলোতে নির্বাচন হবে। কাজেই তিনি এ ধরনের সংবর্ধনা নিয়ে ঠিক কাজ করেন নি।’
বাঘা পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লায়েব উদ্দিন লাভলুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচত আব্দুস সালাম জানান, চরবাসীর রেওয়াজ অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান লাভলুকে এভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তিনি জানান, উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন তারা জানতে পারেন, বাঘায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী লায়েব উদ্দিন লাভলুর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হয়েছেন। তাই আনন্দে চরবাসী তাকে এভাবেই সংবর্ধনা দেয়।
জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এটি আসলে তেমন কোনো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর আমি চরবাসীর সঙ্গে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছিলাম। ওই সময় তারা টাকার মালা ও ফুলের মালা পরিয়ে ঘোড়ায় চড়িয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচ টাকা, দশ টাকা থেকে ১০০ টাকার নোটও ছিল। প্রথমে আপত্তি করেছিলাম। আমি এই ধরনের বরণ অনুষ্ঠান বর্জন করলে তারা মনে দুঃখ পাবেন। চরবাসী আমাকে অহংকারি ভাবতে পারেন বলেও অনেকে আমাকে জানায়। এজন্য আমি টাকার মালা গলায় পরতে রাজি হই।’
এটি তেমন কোনো বড় অনুষ্ঠান নয় বলে দাবি লায়েব উদ্দিন লাভলু।
