গতানুগতিক নয়, প্রকল্প হতে হবে জনবান্ধব



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা হয়। এছাড়া প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে প্রকল্প পরিচালকদেরকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের সুপারিশ করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এছাড়া গতানুগতিক ধারায় প্রকল্প গ্রহণ না করে যাতে কম ব্যয়ে বেশি জনগণ উপকৃত হয় এ ধরনের উদ্ভাবনী প্রকল্প গ্রহণ করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

রোববার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারুল আশরাফ খান এবং বেগম ফরিদা খানম অংশগ্রহণ করেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের শুরুতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১ সালে মুক্তি সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী বীর যোদ্ধা ও ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের অনন্য সদস্য এবং জেলখানায় নিহত জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করা হয়। এছাড়া সিংগাপুরে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জন্য দোয়া করা হয়।

বৈঠকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবং কক্সবাজারের উন্নয়নে মাষ্টার প্লান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্য কোন আইনের দ্বারা যাতে এ কাজ বাধাগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া বৈঠকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গণপূর্ত অধিদফতর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও এইচবিআরআইসমূহের চলমান প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

   

কাচালং নদীতে নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে ৮ বছর বয়সী জয়ন্তী চাকমা কৃষ্ণা নামের এক শিক্ষার্থীর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের গঙ্গারাম এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। 

শনিবার (২৮ এপ্রিল) ‍বেলা দুইটার সময় নদীতে মায়ের সাথে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায় কৃষ্ণা। পরে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোনো খোঁজ পায়নি কৃষ্ণার পরিবার। পরবর্তীতে ১৬ ঘণ্টা পর ভাসমান অবস্থায় কৃষ্ণার নিথর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দুপুর ২ ঘটিকায় মায়ের সঙ্গে কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে  কৃষ্ণা তলিয়ে যায়। নিখোঁজ এর সংবাদ পেয়ে  স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুজি করলেও তার সন্ধান মেলেনি। পরে রোববার ভোরে তার মরদেহটি নদীর ঘাটে ভেসে উঠলে পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করেন। মৃত জয়ন্তী চাকমা কৃষ্ণা সাজেক গঙ্গারাম এলাকার মিসন চাকমার মেয়ে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার শিশু জয়ন্তীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে কৃষ্ণা চাকমার মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিবারসহ স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

;

ঢাকার বায়ু আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের ১০০টি দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সপ্তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে এ সময় ঢাকার স্কোর ১৪৮। বায়ুর এই মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছে বয়স্ক মানুষ, শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারী। 

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।

আজ সকাল ৯টার দিকে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ১৭৭।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে চীনের চেংদু ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। চেংদুর স্কোর ১৬৯। চিয়াং মাইয়ের ১৬৮।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষকে মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

;

নওগাঁয় ঝরে যাচ্ছে আম, চিন্তায় চাষিরা 



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই সপ্তাহের টানা তাপপ্রবাহের কারণে যেমন জনজীবন অতিষ্ঠ; তেমনই ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না আমের গুটি। ফলে চিন্তার ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে আম চাষিদের কপালে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় এবছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে; যা গতবছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরজেমিনে রোববার ( ২৮ এপ্রিল) বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, সবুজ পাতায় ভরে আছে গাছ। কিন্তু নেই কাঙ্ক্ষিত আমের দেখা। গাছে গাছে আমের গুটির খরা। রোদের তীব্রতায় গাছের নিচে অসংখ্য ছোট, মাঝারি আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতি আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বেশিরভাগ আম বাগানেই।

চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবছর আম বাগানে মুকুল এসেছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এরপর চলতি মাসে প্রায় ১৫ দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে গুটি। এতে পানি সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছে না। ফলে এদিকে আম চাষে যেমন খরচ বাড়ছে অন্যদিকে আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা।

সাপাহার উপজেলার তিলনা ইউনিয়নের আমচাষি রউফ বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে কম ছিল মুকুল। যে মুকুল এসেছিলো সেটি টিকিয়ে রাখার জন্য পরিচর্যা করা হয়। মুকুল বের হওয়া শেষ হলে আমের গুটি আসে। কিন্তু গুটি আসার পর অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে গাছে আম টেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

একই এলাকার আরেক আমচাষি আসিফ বলেন, বাগানের আম রক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। পানি, ওষুধ দেওয়ার পরও প্রচণ্ড গরম আর রোদের কারনে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখী ঝড় হলে আম নষ্ট হবে। সব মিলিয়ে আম চাষিরা এবছর বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে

বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, সাপাহার উপজেলা এমনিতেই পানি সংকটাপন্ন এলাকায়। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোন বৃষ্টি নেই। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে যাবে।

যেসব বাগানগুলোতে সেচের ব্যবস্থা আছে সেসব বাগানগুলোতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই সেসব বাগানগুলো থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। তাই আমাদের সরকারের কাছে দাবি বাগানগুলোতে যেন সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মেহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে। তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোন আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়র পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

;

কুমিল্লায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন হাজারো মুসল্লি। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় উপজেলার সুয়াগঞ্জ টি.এ. হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে মুসল্লিরা দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। ভারী বৃষ্টি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা।

হানজালা কাসেমী ফাউন্ডেশন এই ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করেন। নামাজের ইমামতি করেন জামিয়া ইসলামিয়া হামিদিয়া বট্টগ্রাম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা এমদাদুদ হক। পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা কওমী মাদ্রাসা সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নূরুল হক। এতে আশপাশের এলাকার প্রায় ১ হাজার স্থানীয় মুসল্লি অংশ নেন।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো কুমিল্লা অঞ্চল। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একই মাত্রায় তাপ নামছে। এরই মাঝে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় বেশ ক'জন হিট স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার খবর রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগী।

;