এলএনজির কারণে বছরে লোকসান হবে সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা
গ্যাসের ঘাটতি দূর করতে হলে এলএনজি আমদানি জরুরি। এলএনজি ১ হাজার এমএসসিএফডি পাইপ লাইনে যুক্ত হলে বার্ষিক ২৪ হাজার ৫'শ ৪০ কোটি টাকা ঘাটতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন।
এই ঘাটতি মোকাবেলা করতে হলে গ্যাসের দাম বাড়ানো জরুরি। বর্তমানে ৫'শ এমএমসিএফডি এলএনজি আমদানি হচ্ছে। আগামী এপ্রিলে আরও ৫'শ এমএমসিএফডি পাইপ লাইনে যুক্ত হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ এর্নাজি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) গ্যাসের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানিতে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পেট্রোবাংলা লিখিত আবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশীয় কোম্পানি বিজিএফসিএল'র কাছ থেকে ৭৭২ এমএমসিএফডি গ্যাস ৭০ পয়সা হারে (ঘন মিটার), বাপেক্সের কাছ থেকে ৩ টাকা ৪ পয়সা হারে ১০৮ এমএমসিএফডি, এসজিএফসিএল'র কাছ থেকে ২০ পয়সা হারে ১২৪ এমএমসিএফডি, আইওসির কাছ থেকে ২ দশমিক ৫৫ টাকা হারে ১ হাজার ৭১২ এমএমসিএফডি গ্যাস কিনছে। যার ইউনিট প্রতি দাম পড়ছে গড়ে প্রায় সাড়ে ৬ টাকার মতো। আর আমদানিকৃত এলএনজির দাম পড়বে ৩৯ দশমিক ৮২ টাকা।
বর্তমানে গড়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ৭দশমিক ১৭ টাকা দরে বিক্রি করছে। এরসঙ্গে এলএনজি চার্জ ৯ দশমিক ৫৫ টাকা হারে নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা।
গণশুনানি গ্রহণ করেছেন বিইআরসির পুর্নাঙ্গ কমিশন। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য আব্দুল আজিজ, মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, মাহমুদউল হক ভুইয়া। এছাড়া ক্যাব, সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।