আইনি লড়াইয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব: আইনমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
রাজশাহীতে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক / ছবি: বার্তা২৪

রাজশাহীতে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্দোলন করে নয়, একমাত্র আইনি প্রক্রিয়াতেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর আইনজীবী সমিতির (বার ভবন) নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। যা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কখনোই পারেনি। এখন দেশে আর প্রতিহিংসার কোনো রাজনীতি হয় না।’

বিচার প্রার্থীদের সুবিধার্থে রাজশাহীতে সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহীতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের প্রয়োজনীয় থাকলে তা অবশ্যই স্থাপন করা হবে।’

এর আগে রাজশাহীর আদালত চত্বরে অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

এ সময় অ্যাডভোকেটদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই ভবন নির্মাণের তিন কোটি টাকা প্রদান এবং রাজশাহী বার ভবনে লাইব্রেরি স্থাপনের জন্য আগামী সাতদিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আইনমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরসহ বিচারক ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

একদিনের সরকারি সফরে রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রাজশাহী পৌঁছান। এ সময় নতুন বার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে পুরনো বার ভবনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন তিনি। বিকেলে আইনমন্ত্রী বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন। এদিনই মন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী ত্যাগ করবেন।

   

বিদেশে কাজ দেয়ার নামে টাকা নিয়ে ম্যাক্সের প্রতারণা, আদালতে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশে কাজ দেয়ার নামে টাকা নিয়ে কাজ না দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির নামে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে।

জানা গেছে, যশোরের কেশবপুর পৌর এলাকার আবুল হাসান। বিদেশে যাওয়ার জন্য যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) প্রশিক্ষণ নেন। সে সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় প্রবাসী মেলা। মেলা থেকে ভুক্তভোগী আবুলসহ বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থীকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য বাছাই করা হয়।

ক্লিনার হিসেবে কাজ দেওয়ার চুক্তিতে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই লাখ করে টাকা নেওয়া হয়। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদেশে নিয়ে গেলেও কাজ দেয়নি ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস। ফলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে জেল খেটে দেশে ফিরে আসেন ভুক্তভোগী আবুল হাসান।

এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির নামে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মানবপাচার অপরাধ ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেছেন আবুল হাসান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এই মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় ভুক্তভোগী তার অভিযোগে বলেন, ২০২১ সালে যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) আয়োজিত প্রবাসী মেলা থেকে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস বিদেশে পাঠানোর কথা জানায়। তিনি ছাড়াও সেখানে অন্তত পাঁচ শতাধিক আগ্রহীকে বিদেশে চাকরি দেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়। একইদিনে সবার পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়। এরপর যশোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিন দিনের দক্ষতার ট্রেনিং শেষে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ক্লিনার হিসেবে সৌদি আরব পাঠানো হয়। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিদেশে যাওয়ার পর তিন মাস এক স্থানে বন্দি করে রাখা হয় তাদের। কোনো ধরনের কাজ না দিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকেন তারা। এমনকি ঠিকমতো খাবার দিতেন না প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরতরা।

সেসময় ভুক্তভোগীরা বলেন, ব্যাংক ঋণ করে সৌদি আরব এসে এভাবে মাসের পর মাস বসে থাকলে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? তাছাড়া দেশে থাকা পরিবারের খরচ কে মেটাবে? তখন সৌদি কোম্পানির মালিক বলেন, ‘আমি নিজের টাকা খরচ করে তোমাদের এনেছি। তোমরা কত টাকা খরচ করছ, কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছ সেটা আমার দেখার বিষয় না।’ এসব কথা শোনার পর ভুক্তভোগীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।

সে সময় ভুক্তভোগীরা বাংলাদেশে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস’র অফিসে যোগাযোগ করে কাজ দেওয়ার কথা বললে কর্মকর্তারা জানান, অপেক্ষা করেন কিছুদিন পর অন্য এক মালিক এসে আপনাদের নিয়ে যাবে। প্রায় ৩ মাস পর ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারে বন্দি হিসেবে তাদের কিনে আনা হয়েছে। এখন অন্য দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে। কোনো কাজ দেওয়া হবে না। অন্য দালালদের কাছে বিক্রির বিষয়টি টের পেয়ে তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজের দাবিতে চিৎকার করতে থাকেন। ফলে কৌশলে কোম্পানিটি চুক্তি বাতিল করে উল্টো কর্মীদের নামে সৌদি আরবে মামলা দিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন।

এরপর দীর্ঘদিন ধরে সেই দেশের জেলে বন্দি থাকেনে তারা। পরবর্তীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশে ফিরে আসেন সবাই। দেশে আসার পরে ম্যাক্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেসের অফিসে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে ভুক্তভোগীকে উল্টো হত্যার হুমকি দেন। এরপর বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেন।

মামলায় আবুল হাসান বাদী হলেও তার মামলায় স্বাক্ষীরাও ভুক্তভোগী। মামলায় ম্যাক্স ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি মানবপাচার অপরাধ ট্রাইবুন্যাল গ্রহণ করেছেন। মামলা নম্বর ২১/২৪। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

;

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেয়া নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান মাগুরা ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর ও ছবি প্রকাশ হয়েছে। এনিয়ে কোন কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বিএনএমের সদস্য আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তিনি কী এখনও সে দলের সদস্য পদে আছেন কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন। পার্টির কাছে নমিনেশন চাওয়ার সময় তিনি পার্টির সদস্য। এর আগে সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন নেওয়ার সময় তাকে প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সেভাবেই আমরা তাকে মনোনয়ন দিয়েছি, তিনি নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। 

নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বন্ধু রাষ্ট্র বলতে ইন্ডিয়াকে বলেছে। বলেছে তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছ, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারে তোমাদের সাহায্য চাই। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। তাদের সাহায্য চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া। নির্বাচন ছাড়া বিদেশি রাষ্ট্র এসে ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বরিশালে অবসরপ্রাপ্ত ১৮৪ সদস্যকে অনুদানের চেক বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির জেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক শিক্ষাবৃত্তি, এককালীন অনুদান ও জরুরী চিকিৎসা সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বরিশালের অবসরপ্রাপ্ত ১৮৪ জন সদস্যকে ১৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন।  

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বরিশাল  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনদীপ ঘরাই। সমিতির জেলা আহ্বায়ক সহকারী কমিশনার ফাহিজা বিসরাত, সহকারী কমিশনার ও এনডিসি বরিশাল আবু জাফর মজুমদার, সমিতির জেলা এডহক কমিটির সদস্য আলি আজম খানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অতিথিরা সমিতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন। পরে ৫টি ক্যাটাগরিতে ১৮৪ জন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মাঝে চেক প্রদান করে জেলা প্রশাসক বরিশাল শহিদুল ইসলাম।



;

দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাং’র বিভিন্ন গ্রুপের ৩৫ জন গ্রেফতার 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন গ্রুপের মূলহতাসহ ৩৫ জন কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব২)।আটককৃতরা বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, ‘এফডিসি মুন্না’ গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে এফডিসি মুন্না (২৮), গ্যাং সদস্য মো. আকাশ (২৪), মো. ফরিদ। ‘কিং জামাল গ্রুপ’ এর মূলহোতা মো. জামাল হোসেন (৩১), মো. ইমাম হোসেন (২০), মো. আরিফ ওরফে রাসেল মিয়া (২০)। ‘কিং মোশারফ গ্রুপ’ এর মো. মোশাররফ (৩২) তার সহযোগী মো. ফেরদাউস বেপারী (২৫), মো. আরমান শেখ (১৮), মো. সানি মিয়া (১৮)। ‘আপনা ভাই গ্রুপ’ এর মূলহোতা শাকিব ওরফে বস্তি শাকিব (১৯), মো. নাহিদ (২০), মো. লাদেন (২১) সহ অন্যান্য গ্রপের মো. হৃদয় (২২), মো. আবু সিদ্দিক (৪৫), মো. খোকন (৩৫), মো. নিলয় আহম্মেদ (২৫), মো. ইব্রাহিম (২৬), মো. বিপ্লব শেখ (২০), রাব্বি হোসাইন (২৪), তারেক জিয়া (২২), মো. জামাল (২৬), মো. শিমুল (২৩), মো. রতন(১৯), মো. পলাশ (২৪), মো. সাঈদ (২৪), মো. শরিফ (২০), মো. রাজন (২২), মো. মানিক (২৪), মো. কবির (২৪), হাসান (২২), মো. সাইদ (১৯), মো. রাজা শেখ (২৮), মো. ইকরাম (২৫) এবং মো. বিপ্লব শেখ (২২)।

শিহাব করিম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি ‘কিশোর গ্যাং’ গ্রুপের সদস্য কর্তৃক ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এই সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরী ও মামলা হয়। বিভিন্ন ‘কিশোর গ্যাং’ এর সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়।

অতি সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, আদাবর, নাখালপাড়া ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকানণ্ড সম্পর্কে তথ্য পায় র‌্যাব। ফলশ্রতিতে র‌্যাবের টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মার্চ হতে ১৮ মার্চ পর্যন্ত র‌্যাব-২ এর একাধিক আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে।

তিনি বলেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, নাখালপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং এর মূলহোতাসহ ৩৫ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ছুরি, চাকু, চাইনিজ কুড়াল, এন্ট্রি কাটার ও বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পূর্বের বিভিন্ন অপরাধ এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা সর্ম্পকে তথ্য দেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, শেরে বাংলা নগরের নাখালপাড়া এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাধঁ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। গ্রপের সন্ত্রাসীরা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো।

এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ এসব এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল। মূলত তারা নাখালপাড়া ও মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;