আজও অরক্ষিত রংপুরের বধ্যভূমিগুলো



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদাররা আলবদর-রাজাকারদের মাধ্যমে রংপুরের স্বাধীনতাকামী বুদ্ধিজীবীসহ সাধারণ অসংখ্য মানুষকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন ও হত্যা করে। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় স্মৃতিবিজড়িত সেসব স্থানের মধ্যে কিছু জায়গা চিহ্নিত করে সেগুলোতে বধ্যভূমি হিসাবে গড়ে তোলা হয়। তবে খুব একটা সুরক্ষিত নয় এসব স্থান। এমনকি এখনও চিহ্নিতই হয়নি অনেক জায়গা, যেখানে রয়ে গেছে একাত্তরের শহীদদের স্মৃতি।

স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও সেসব বধ্যভূমি সংরক্ষণের আওতায় আসেনি। এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে জেলার অধিকাংশ বধ্যভূমি। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকা বধ্যভূমির কোথাও কোথাও অবাধে বিচরণ করছে গবাদি পশু। রাতের আঁধারে বসছে অসামাজিক কার্যকলাপ, মদ-জুয়ার আসর। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন সমাজ হৃদয় ব্যথিত হলেও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের ঝড়ূয়ার বিল। সেখানে ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল এক সঙ্গে প্রায় এক হাজার ৫০০ মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে হত্যা করে। আজও সেই বিভীষিকাময় দিনের কথা ভোলেননি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। ঝাড়ুয়ার বিল বধ্যভূমিটি এখনো রয়েছে অরক্ষিত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/27/1553652334989.jpg

এছাড়া রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের হাজীরহাটে জাফরগঞ্জ সেতুতে ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল রংপুর শহরের ব্যবসায়ী অশ্বিনী ঘোষসহ ১৯ জনকে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে হত্যা করে। সেখানে আজও স্মৃতিফলকই নির্মিত হয়নি।

অন্যদিকে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে তামপাট দমদমা সেতুর কাছে কারমাইকেল কলেজের অধ্যাপক কালাচাঁদ রায়, তার স্ত্রী মঞ্জু রানী রায়, চিত্তরঞ্জন রায়, রামকৃষ্ণ অধিকারী ও সুনীল চক্রবর্তীসহ অনেক মুক্তিকামী মানুষকে ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। ২০০২ সালের ১৪ ডিসেম্বর সেখানে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়। এরপর সেই স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটির দেখভালের দায়িত্ব নেয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। কিন্তু সাইনবোর্ড ঝুলিয়িই দায়িত্ব শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সেটি একেবারেই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/27/1553652274143.jpg

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্মৃতিফলকটির চারপাশে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে দখলের নমুনায় টিন দিয়ে ঘিরে নিয়েছে বধ্যভূমির চারপাশ। এখানে সব সময়ই গরু-ছাগল অবাধে প্রবেশ করে। রাতে সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

রংপুর টাউন হল এলাকা ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল। ওই স্থানে রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যা করতো। সেখানে বধ্যভূমি চিন্থিত করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নাট্যসংগঠনের কার্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/27/1553652309526.jpg

এছাড়া রংপুর সদরের রাজেন্দ্রপুরের বালারখাল, লাহিড়ীরহাট, কাউনিয়ার বলভবিসু, গঙ্গাচড়ার শংকরদহসহ বেশ কয়েকটি বধ্যভূমিতে স্মৃতিফলকও নির্মাণ করা হয়নি। আবার কোথাও কোথাও স্মৃতিফলক থাকলেও তা রয়েছে লোকচক্ষুর আড়ালে। কিছু অনেক বধ্যভূমি আজ দখলের মুখে।

`প্রজন্ম ’৭১' রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি দেবদাস ঘোষ দেবু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার বাবাসহ অনেককে পাকিস্তানি সেনারা ধরে নিয়ে জাফরগঞ্জ সেতুতে হত্যা করে। সে স্থানটিতে তৈরি করা হয়নি নামফলক বা স্মৃতিস্তম্ভ।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/27/1553652371304.jpg

রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু আক্ষেপ করে বলেন, ‘অনেক বধ্যভূমি আজও সংরক্ষিত হয়নি। এসব বধ্যভূমি চিহ্নিত করে দ্রুত স্মৃতিফলক নির্মাণ করা দরকার। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে বধ্যভূমির সংরক্ষণ জরুরি।’

স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক দাবানল -এর সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল বলেন, ‘যেসব শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশ ও লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছি। সেই বীর সন্তানদের আত্মত্যাগের রক্তে ভেজা অনেক স্থান এখনও সংরক্ষণ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যেসব বধ্যভূমিতে স্মৃতিফলক তৈরি করা হয়েছে তা সংরক্ষণ এবং যেগুলোতে এখনও স্মৃতিফলক তৈরি হয়নি সেখানে তা তৈরির দাবি জানাই।

   

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা ভোট চলছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা ভোট চলছে

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা ভোট চলছে

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশের ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

এই ধাপে ১৩৯ উপজেলার ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। মঙ্গলবার (৭ মে) এসব উপজেলার ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার মধ্যরাতে এসব উপজেলায় প্রচারণা শেষ হয়েছে।

এই নির্বাচনে এক হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে আট, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ ২৮ জন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

এবার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪ ধাপে। প্রথম ধাপের ভোট হবে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে।

এবার চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন। দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৮০টি উপজেলায় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে কমিশন।

উল্লেখ্য, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায়, ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১০ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫০টির বেশি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

ভোটার উপস্থিতি কম, অনেক কেন্দ্র ফাঁকা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন নেই। ভোটকেন্দ্র একেবারেই ফাঁকা রয়েছে। 

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে এ দুই উপজেলায় ১৪৮ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি সকাল আটটা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কোনো ভোটারই ছিল না। তবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ধারণা বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রার্থীরা হলেন, রুহুল আমিন বাবুল (আনারস), রেজাউল করিম (টেলিফোন) ও ওয়াজেদুল ইসলাম শাহিন (ঘোড়া)। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোফাজ্জল হোসেন লিপু (টিউবওয়েল), আব্দুল্লাহ আল মামুন শুভ (চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফা আক্তার (কলস), রেজওয়ানা পারভীন সুমি (ফুটবল) ও মির্জা সাইরী তানিয়া (পদ্মফুল)। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার ০৯৮ জন। এর মধ্যে পরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৩৮২ জন ও মহিলা ভোটার ৮৯ হাজার ৭১৫জন। তাদের মধ্যে একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। মোটর কেন্দ্র ৭৬টি।

আর হাতীবান্ধা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। এর মধ্যে একজন নারী।, এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন প্রার্থী।

তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু (কাপ-পিরিচ), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল আলম শাহাদাতের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌসী সীমা (আনারস) ও রেজাউল করিম সরকার (মোটরসাইকেল)।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলা উদ্দিন মিয়া (মাইক), দুলাল চন্দ্র রায় (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ও আনোয়ার হোসেনের (তালা), মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু (চশমা), বাপ্পি শোয়েব আহমেদ (উড়ো জাহাজ), সাবেরুল ইসলাম চঞ্চল (টিয়া পাখি), জুয়েল ইসলাম (টিবয়েল)। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাকতুফা ওয়াসিম বেলী (ফুটবল), শারমিন সুলতানা সাথী (কলস), নাসরিন বেগম (পদ্মফুল)। হাতীবান্ধা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ২ হাজার ২১৩টি। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১ হাজার ৫৮৮ ও মহিলা ১ লক্ষ ৬২৫জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৭২টি। 

লালমনিরহাট রিটার্নিং কর্মকর্তা লৎফর কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, এসব ভোট কেন্দ্রে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম ও স্পেশাল চেকপোস্ট। এছাড়া দুই উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

;

তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া এলাকার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভারতীয় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

নিহতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার মাগুড়া গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে জলিল (২৪) ও তিরনইহাট ব্রমতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসীন আলী (২৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার।

তিনি বলেন, বিজিবি বিষয়টি অবগত করেছে। তবে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, গরু চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই দুই যুবক।

;

রাজধানীর সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ উদ্যোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যানজট নিরসন করে সড়ক, মহাসড়কে নির্বিঘ্নে সুষ্ঠু নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে এক বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে, যা মহানগরবাসীর জন্য এক বড় আকাঙ্ক্ষা।

পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে মহানগরীর ট্রাফিক যানযট সহনীয় পর্যায়ে এসেছে এবং ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনায় নতুনত্ব এসেছে। স্বস্তিতে সবাই সহজে যাতায়াত করতে পারছেন বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

বিশেষ করে গত রমজান মাসে ও ঈদুল ফিতরে ঢাকা মহানগরীর ৮টি ট্রাফিক বিভাগের সব রাস্তায় বিশেষ অভিযান ও কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে মহানগরীর যানযট সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। সেসময় মহানগরবাসীর ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রাজধানীর নিরাপদ যাতায়াত ও সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঈদুল ফিতরের পর থেকে বিশেষ চেকপোস্ট ও বিশেষ অভিযানের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

ডিএমপির ৮ ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতা

ঢাকার রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ছবি- সংগৃহীত

ডিএমপির ৮টি ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ যেন ছদ্মবেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাফিক বিভাগ।

ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত যানবাহন, অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি ট্রাফিক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের এবং মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক সদস্যরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।

এতে করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও ঢাকা মহানগরীতে রাতে যেসব কাগজপত্রবিহীন ট্রাক বালি, মাটি ও ইটসহ নানাবিধ মালামাল বহন করে, সেসব ট্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিটি ট্রাফিক জোন ও বিভাগের সদস্যরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এবিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ও প্রকল্প ম্যানেজার, ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনারের (ট্রাফিক) সার্বিক সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে এবং প্রতিদিনের অভিযানের ফলাফল সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর যানযট নিরসনে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, এছাড়াও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে যেসব হকার ও গাড়ির ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে, ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ নির্দেশনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাস্তা ও ফুটপাত যান চলাচল ও জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।

অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এছাড়াও অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মূলসড়কে যেন অযান্ত্রিক যান চলাচল না করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশিত ছক অনুযায়ী ৮টি ট্রাফিক বিভাগ থেকে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা, অবৈধ যানবাহন, মাটির ট্রাক ও হকারদের তালিকাও সংগ্রহ করা হচ্ছে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের জন্য। নিরাপদ যাতায়াত ও জনসেবায় সব সময় কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

;