অটিস্টিক শিশুর জন্য মায়েদের যেন দোষারোপ না করে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অটিস্টিক কিংবা প্রতিবন্ধী শিশুরা দেশের বোঝা নয়। যথাযথ পরিচর্যা ও ট্রেনিংয়ের মধ্যদিয়ে তাদেরকেও দেশের জনসম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব। আর অটিস্টিক শিশুদের জন্য মায়েদের ওপর যে দোষারোপ করা হয় সেটাও ঠিক নয়। বরং তাদের প্রতি আরও দায়িত্বশীল ও সহানুভূতিশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, 'একটা অটিস্টিক শিশু যখন জন্ম নেয়, অনেক সময় এর জন্য মায়ের ওপর অনেক দোষারোপ করা হয়। কিন্তু এর জন্য মা-বাবা কেউ দায়ী থাকে না। আশাকরি ভবিষ্যতে কেউ আর মাকে অযথা দোষারোপ করবেন না। কারণ এটা মায়েরও কষ্ট। কারণ আল্লাহ একটা মানুষকে এভাবে তৈরি করেছে, তাকে অবহেলা করা কোন সুস্থ মানুষের কাজ না ।'

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘১২ তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মানবতার কথা বলি, মানবাধিকারের কথা বলি, কিন্তু এই মানুষগুলোর প্রতি আমাদের আরও সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। তাই অবহেলিত জনগোষ্ঠী যেন আর অবহেলার শিকার না হয়। তারা যেন আমাদের সমাজে তাদের যোগ্য স্থান পায় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ তারা আমাদেরই সন্তান, আমাদেরই ভাইবোন সে কথাটা মনে করে সবার এই অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে মিলেমিশে চলবেন।'

অটিস্টিক শিশুদের জন্য সরকার গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রতিবন্ধীদের জন্য সাভারে আমরা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দিচ্ছি। আমাদের সংসদ ভবন সংলগ্ন সাড়ে চার একর জমিতে তাদের প্রাকটিসের জন্য করে দিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ইন্সটিটিউট করে দিয়েছি, যেখানে একটা শিশু জন্ম হওয়ার সাথে সে অটিস্টিক কী না? প্রতিবন্ধী কী না? এটা শনাক্ত করা একান্তভাবে প্রয়োজন। কী কী সিম্পটমস দেখা দিলে একটা শিশু জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী কী না সেটা যদি খুব দ্রুত শনাক্ত করা যায়, তাহলে তাকে পরিচর্যার মধ্যদিয়ে অনেকটা সুস্থ করে তোলা যায়। আমরা চাই এরা সুস্থ হোক, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। আমরা ইতোমধ্যে চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা এই ব্যবস্থাটা করে দেব, যাতে সেখান থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত লোক তৈরি হয়।'

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ প্রণয়ন করেছি এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩ করেছি। সেই সাথে সাথে ২০১৪ সালে আমরা নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট ফান্ড আমরা করে দিয়েছি। সেই ফান্ডে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ৭০ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছি। আমাদের দেশে প্রায় ১০ লাখ প্রতিবন্ধী আছে। এই ১০ লাখ প্রতিবন্ধীকে প্রতিমাসে ৭০০ টাকা করে কিন্তু ভাতা দিচ্ছি। দৃষ্টি,শারীরিক,মানসিক প্রতিবন্ধীদের আমরা যে ভাতা দিচ্ছি আগামী বাজেটে সকলের জন্য এ ভাতার ব্যবস্থা আমার করে দেব। যেসকল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আছে তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে আমরা ৭০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা, উপবৃত্তি দিচ্ছি। যাতে তারা পড়াশুনাটা করতে পারে। আপনারা জানেন আমরা বৃত্তি, উপবৃত্তি দিচ্ছি, কিন্তু প্রতিবন্ধীদের উপবৃত্তিটা আমরা বিশেষ ভাবে দেই। এবং বেশি টাকা দিচ্ছি তাদের জন্য যাতে তারা তাদের পড়াশুনাটা করতে পারে।'

অটিস্টিক শিশুদের বিকাশে নিবিড় পরিচর্যার গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, 'একটা শিশু অটিস্টিক, কী কী অবস্থা হলে সেটা ধরা পরবে সেটা জানা, পাশাপাশি তাদের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, কী ভাবে আচরণ করতে হবে? কীভাবে কথা বলতে হবে? কী কাজ করলে শিশুটি সুস্থতার দিকে যাবে এর উপরে একটা ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন। সেটা আমাদের দেশে খুব বেশি একটা নেই। যে কারণে আমি আমার মেয়ে সায়মাা ওয়াজেদ হোসেন আমার মেয়ে তাকে দিয়ে আমরা 'সূচনা ফাউন্ডেশন' তৈরি করেছি। সে ফাউন্ডেশনে আমি নিজেও কিছু অনুদান দিয়েছি, অন্যান্য অনেকেই সেখানে অনুদান দিয়েছে। আর আমরা আমাদের যে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, এ ট্রাস্টের ওখানে তাকে একটা অফিসও করে দিয়েছি এবং সেখানে একটা জায়গাও দিয়েছি। খুব সীমিত আকারে এ ধরনের অভিভাবকদের ট্রেনিং দেওয়া, এবং কী কী ভাবে এগুলা তৈরি করতে হবে, সীমিত আকারে আমরা সে ট্রেনিং শুরু করেছি। আগামী দিনে এ কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা উচিত, সেটা আমরা করব।'

অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, 'আমাদের দেশে বহু ব্যবসায়ী, বহু শিল্পপতি অনেকই আছেন। আপনারা যদি একটু সহানুভূতি নিয়ে এই ছেলে মেয়েগুলিকে একটু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে তাদের জীবনটাও কিন্তু অর্থবহ হয়। এই প্রতিবন্ধীদের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেন, ট্রাস্ট ফান্ডে বিত্তবানরা অনুদান দিন, যাতে তাদের জীবনটা যেন আরও সুন্দর হয়।'

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;