চট্টগ্রামে বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ



আবদুস সাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আবহাওয়ার অতিরিক্ত তারতম্যের প্রভাবে চট্টগ্রামে শিশুদের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিনিয়ত লেগেই থাকছে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও টাইফয়েডসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এতে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক চিকিৎসা নিলেই সুস্থ হবে রোগী।

কয়েকদিনের প্রচণ্ড দাবদাহ; আবার ঠাণ্ডার প্রাদুর্ভাবও বিরাজ করছে প্রকৃতিতে। এতে বিভিন্ন রোগ ব্যাধির প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের আবহাওয়া শিশুর জন্য খুবই মারাত্মক। ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের মতো রোগের প্রকোপ বেড়েছে। যাকে বলা হয় ‘ভাইরাল ফিভার’ বা মৌসুমী রোগ।

মৌসুমী রোগের মধ্যে রয়েছে- ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনা ইত্যাদি। এসব রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় ইদানিং প্রায় কয়েকগুণ বেড়েছে।

চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, শিশুরোগী আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। প্রায় সবকয়টি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এসব শিশুরোগ ভাইরাস জনিত।, কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের সময় আরএসবি (রেসপিরেটরি সিনসেটিয়াল ভাইরাস) ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত আর গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগের প্রকোপ।

এ নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জীবাণু একই সাথে শরীরে আক্রমণ করলে অনেক সময় মৃত্যুও ঘটতে পারে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী জানান, শিশু ওয়ার্ডের তিনটি সাধারণ ইউনিটে মোট ৬৫ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ৩৬০ জন। অথচ, অন্য সময়ে ১৫০ জনের কিছু বেশি রোগী ভর্তি থাকে। বিশেষ চারটি ইউনিটসহ সবকয়টি ইউনিট মিলে শিশু ওয়ার্ডে শিশু রোগীদের জন্য মোট শয্যা সংখ্যা ১০২। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসাধীন শিশুরোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০০।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালেও গত এক সপ্তাহ ধরে রোগীর চাপ বেড়েছে। এ হাসপাতালে ২৫০ বেডের শিশু ওয়ার্ড রয়েছে। অতিরিক্ত শিশু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যে ওয়ার্ডে বেড খালি আছে সেখানেই পাঠানো হচ্ছে।

সাত দিন আগে বর্হিবিভাগে রোগী থাকতো ১৮০ জন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রোগী এসেছেন অন্তত ২৬০ জন।

এ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ইনচার্জ ডাক্তার পাহিম হাসান রেজা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও খিচুনি রোগীর সংখ্যা বেশি আসছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। অতিরিক্ত চাপ সামলাতে জেনারেল বেডেও তাদের রাখা হচ্ছে।

বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকেও শিশু রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।  চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হাসপাতালের বহির্বিভাগে দৈনিক প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে।  

চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার বলেন, বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অধিকাংশ শিশুই ব্রঙ্কিউলাইটিস, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। সবকয়টি রোগই ভাইরাসজনিত। ঋতু পরিবর্তন, ঘর অপরিষ্কার থাকা এবং ঠাণ্ডা-গরমের মিশ্র আবহাওয়ার কারণে শিশুদের এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/05/1554471005067.jpg

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ধীমান দাশ বলেন, প্রচণ্ড গরম ও ঠাণ্ডাজণিত কারণে রোগব্যাধি বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে বাঁচার জন্য শিশুকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খাবার খাওয়াতে হবে। তরলজাতীয় খাবার বেশি খাওয়াতে হবে। মৌসুমী ফলমুল খাওয়াতে হবে। শিশুকে নিয়ে প্রচণ্ড দাবদাহে বের হওয়া যাবে না। তবে অভিবাবকের সচেতনতাই এর প্রকোপ থেকে শিশুকে বাঁচাতে পারে।

চমেক হাসপাতালের শিশু-স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী বার্তা২৪কমকে বলেন , আক্রান্ত শিশুর হাঁচি থেকেও ইনফ্লুয়েঞ্জা , প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বড়দের থেকেও ভাইরাস রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এ রোগের লক্ষণ হিসেবে হঠাৎ কাশি বেড়ে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া ও অল্প জ্বরের সাথে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।

আর এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ঘর ও শিশুকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, শিশুর নাক পরিষ্কার রাখা এবং শিশুর শরীরে গরম না লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি ।

চিকিৎকরা পরামর্শ দেন, এ আবহাওয়ায় রোগে আক্রান্ত হলেও আতঙ্কিত না হয়ে শিশুকে তরল খাবার দিতে হবে। লেবুর রস এবং প্রাথমিকভাবে জ্বরের ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। এরপরও যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয়, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দেরি না করে শিশুকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

   

হঠাৎ ঝাড়ু হাতে সিলেটের রাস্তায় তামিম ইকবাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ করে সিলেটের রাস্তায় ঝাড়ু হাতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে দেখা গেল।

শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তামিমকে নিয়ে রাজপথে নামেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র।

নগরভবনের সামনে থেকে নাগরী চত্ত্বর হয়ে সার্কিট হাউসের সম্মুখ-আলী আমজাদের ঘড়ি ঘর পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি।

নগরবাসীকে পরিচ্ছন্নতা কাজে উদ্বৃদ্ধ করতে তামিম ইকবাল এ কর্মসূচিতে অংশ নেন বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এসময় তামিম ইকবাল বলেন, সিলেট সিটিকে গ্রিন ও ক্লিন সিটি গড়ে তোলার প্রথম ধাপ। সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ভাইয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ভাবে অনেক কথা হয়। আমি জানি যে সিলেটকে নিয়ে তিনি কি পরিকল্পনা করছেন। আমি বিশ্বাস করি তিনি যতদিন মেয়র থাকবেন ততদিন সিলেটের উন্নয়ন হবে। সিলেট একটি সুন্দর নগরী আধ্যাত্মিক এই নগরী আগের চেয়ে বর্তমানে আরও বেশী পরিচ্ছন্ন। আগামী সাড়ে ৪ বছরে সিলেট মহানগরী সারাদেশের জন্য একটি আদর্শ নগরী হিসাবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান মেয়রের সেই আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।

উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তামিম ইকবাল বলেন, এই কাজে কেউই সেলিব্রিটি না বা সাধারণ মানুষ না। এই কাজ আমাদের সবার করা উচিত। যখন আমরা সবাই দেশের বাইরে যাই তখন আমাদের হাতে যদি কোনো কিছুর বোতল থাকে তাহলে সেটা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে সেটা রাস্তায় ফেলি। এই মানসিকতা যদি আমরা পরিবর্তন করতে পারি তাহলে দেশটাকে পরিষ্কার রাখতে পারি।

এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট সফরে আসায় এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সিলেটের রাজপথে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে তামিম প্রমাণ করলেন তিনি শুধু খেলার মানুষই নয়, একজন দায়িত্ব সচেতন এবং সম্মানিত নাগরিক। একজন সফল মানুষ। আমাদের এই আধ্যাত্মিক নগরীতে তার ভক্ত অনুরাগীর অভাব নেই। তাকে দেখে সবাই আমাদের নগরীকে আরও বেশী পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিক হবেন উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস। সিলেট নগরীর সচেতন নাগরিকবৃন্দ তাকে ভালোবাসেন এবং মনে রাখবেন চিরদিন।

সিসিক মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল গ্রিন-ক্লিন সিলেট। তিনি তার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করছেন। পরিচ্ছন্ন নগরীর জন্য তার বড় সাফল্য, রাজপথ এবং ফুটপাত হকার মুক্ত করা। এছাড়াও পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রেও সিসিক’র কর্মীরা আগের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশী দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার ড্রেন নালা পরিস্কার করছেন তারা। তাদের তৎপরতা প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধান করছেন সিসিক’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা কর্ণেল (অব) একলিন আবেদিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্করসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সকাল হতেই কালো মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকা, নামলো ঝুম বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোর থেকেই শুরু হয় মেঘের গর্জন। কালো মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকার আকাশ। এরপরই নামলো ঝুম বৃষ্টি। সকাল সাড়ে আটটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল।

শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকায় বৃষ্টি নামে। চলতি মাসের শুরু থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-শিলাবৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।

তবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে গরম আবার বাড়তে পারে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও সকালের হঠাৎ বৃষ্টিতে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে শ্রমজীবী ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের। অনেককেই ভিজে ভিজে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই বের হতে পারেননি ঘর থেকে।

এর আগে, রাতেই দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। 

;

ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিক রেজা রুবেলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় তিনি নিজে বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার ঘোপাল গ্রামের বতুল্লার ছেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবাজ আহমদ (৩৮) ও ডালিম (৩০), একই থানার বাঘারপাড় গ্রামের আলী আমজদ।

রেজা রুবেল সিলেটের স্থানীয় নিউজ পোর্টাল সিলেট প্রতিদিন২৪ডটকম'র স্টাফ ফটো সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক।

গত বুধবার (০৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচনের সংবাদ ও ছবি সংগ্রহের সময় ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে তার উপর হামলা চালানো হয়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে এক যুবককে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তখন তিনি কেন্দ্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবাজ আহমদের নেতৃত্বে ডালিম ও আলী আমজদসহ অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। সাবাজ ও ডালিম তার তাকে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে। আলী আমজদ এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকে কিলঘুঁষি ও লাথি মারতে থাকে।

শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। রেজা রুবেলের গলায় ঝুলানো প্রায় দেড় লাখ টাকা দামের ক্যামেরা ও ৬০ হাজার টাকা দামের লেন্স এবং প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ৮ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন সহকর্মী সাংবাদিকরা তাকে নিয়ে দ্রুত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।

এদিকে অভিযোগ সংক্রান্ত ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমি থানায় নয়, বাইরে। থানায় গিয়ে দেখবো এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার সংস্কৃতি: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমাদের পৃথিবীতে এখন সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি যখন দুঃসময় পার করছিল তখন সংস্কৃতি শক্তভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পাশে ছিল, আশা করি আগামীতেও থাকবে। অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে সংস্কৃতি।

শুক্রবার (১০ মে) নগরীর চকবাজারস্থ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে সঙ্গীত ভবনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বনবীতি সেনগুপ্তার ৩৩তম মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনে শিক্ষাগুরুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বনবীতি সেনগুপ্তার কাছ থেকে সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করে আজকে অনেকে বড় শিল্পী হয়ে উঠেছেন। সঙ্গীত ভবন থেকে শুরু করে সঙ্গীতের জন্য বনবীথি সেনগুপ্তার অবদান অপরিসীম। তিনি আমাদের কাছে সবসময় স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন। 

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ভবনের সভাপতি ড. সেকান্দার চৌধুুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও অনেক গুণী শিল্পী ও সঙ্গীততজ্ঞ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। 

;