বাংলাদেশে প্রাণঘাতী সি অরিস ছত্রাকের অস্তিত্ব!



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী ছত্রাক ক্যান্ডিডা অরিসের (সি অরিস) অস্তিত্ব থাকতে পারে বাংলাদেশে। এই ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে একজন বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন। আবার ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে এসে একজন আমেরিকানের শরীরে এই ছত্রাক ছড়িয়ে পড়ে। এই ওষুধ প্রতিরোধী ছত্রাকটি দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

সি অরিসের কারণে মাল্টিপল এন্টি ফানজাল ড্রাগস প্রতিরোধহীন হয়ে পড়ে, স্ট্যান্ডার্ড ল্যাবরেটরি মেথডেও চিহ্নিত করা দুরুহ হয়ে পড়ে, সঠিক প্রযুক্তি ছাড়া ভুলভাবে চিহ্নিত হতে পারে এবং এটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার সক্ষমতা রাখে। তাই আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনসন বিভাগ এই ছত্রাককে সতর্কতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে বলেছে। একই সঙ্গে সি অরিসে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত চিহ্নিত করে হাসপাতালে রেখে সেবা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। যেন এটি ছড়িয়ে পড়তে না পারে।

সিঙ্গাপুরের দৈনিক স্ট্রেইট টাইমস জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে তিনজন ব্যক্তি এই রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরা সকলেই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়েছেন, আরেকজন চিকিৎসকদের কথার বিরুদ্ধে যেয়ে সিঙ্গাপুর ছেড়েছেন এবং শেষজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের ইনফেকসন প্রিভেনশন অ্যান্ড এপিডোমলজির পরিচালক ডা. লিং মই লিন বলেন, `ক্যান্ডিডা অরিস চিহ্নিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই তিনজন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া এই তিনজন রোগীর সংস্পর্শে যারা এসেছেন সকলকেই পরীক্ষা করা হয়েছে।’

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস প্রধান ছত্রাকরোধী মেডিকেশনগুলোর প্রতিরোধী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে ফেলে। এটি বাতাসের মাধ্যমে নয়, সরাসরি সংস্পর্শে ছড়ায়।

সিডিসি’র মতে, এই ছত্রাকে আক্রান্ত রোগীদের অর্ধেকই ৯০ দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/10/1554893608137.jpg

সিঙ্গাপুরে এই রোগে প্রথম আক্রান্ত হন ৫২ বছর বয়সী একজন নারী। প্রথমেই চিহ্নিত হওয়ায় যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাকে কোনো ধরনের ছত্রাকরোধী ওষুধও প্রয়োগ করা হয়নি।

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে একজন বাংলাদেশি তরুণ সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসা করানোর জন্য। মেটাস্ট্যাটিক কার্সিনোমা ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি এর আগে বাংলাদেশে তিনটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাকে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে প্রথমে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার রক্তে ফ্লুনাজোল রেসিসট্যান্ট সি অরিসের অস্তিত্বের চিহ্ন পাওয়া যায়।

আরেক ধরনের ছত্রাকরোধী রয়েছে এন্টিডুলাফাঞ্জিন নামে। যা ছত্রাকরোধে সাহায্য করে। ২৪ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি রোগীকে এই চিকিৎসার পরামর্শ দিলে দশদিন পর তিনি চিকিৎসা বন্ধ করে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

এই রোগে আক্রান্ত যে আরেকজন আমেরিকান নাগরিককে পাওয়া গেছে তিনি এই ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি যখন বাংলাদেশে বেড়াতে যান, তখনই এই রোগে আক্রান্ত হন।

এই মাল্টিড্রাগ রেসিসট্যান্স রোগের বিষয়ে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ক্যান্ডিডা কোনো কঠিন ছত্রাক আক্রমণ নয়। এন্টিবায়োটিকের ফলে সাধারণত এটি মুখে ছড়ায়। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে ক্যন্ডিডা অরিসে আক্রান্তের বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। তবে এটি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো রোগ নয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের শহর ইলিনয়সে ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫৪ জন, নিউইয়র্কে ৩০৯ জন এবং নিউ জার্সিতে ১০৪ জন এই ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়েছে। যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সিডিসি'র মাইকোটিক ডিজিজ ব্রাঞ্চের প্রধান ড. টম চিল্লের বুধবার এনবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘এটি সাধারণ ক্যান্ডিডার মতো আচরণ করে না। বরং এই ছত্রাক অনেকটা ব্যাকটেরিয়ার মতো।’

   

চট্টগ্রামে ডাস্টবিনে মিলল নবজাতকের মরদেহ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারের নিচের ডাস্টবিন থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্তমানে মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে ডাস্টবিনে নবজাতকের মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে সেটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

চাঁদগাও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খোন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'কে বা কারা ওই নবজাতকের মরদেহ ফেলে গেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।'

;

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বরিশালে বেড়েছে ফ্যান-এসি বিক্রি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত সারাদেশের জনজীবন। গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে বরিশালবাসীর। এমন পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক পণ্যের মার্কেট, দোকান ও শো-রুমগুলোতে এসি, ফ্যান ও এয়ারকুলার বিক্রির ধুম পরেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ-উল ফিতরের পর থেকে তাপমাত্রার পারদ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

রোদের তাপে দিনের বেলা ঘর থেকে বাহিরে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পরেছে। তৃতীয় দফায় দেশব্যাপী সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

প্রচন্ড গরম থেকে রেহাই পেতে তাই বরিশালজুড়ে এয়ারকন্ডিশনার এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও কিছুদিন আগেও ক্রেতাহীন দেখা গেছে, এসি-এয়ারকুলার ও ফ্যানের দোকানগুলো। আর এখন এসব দোকানগুলোতে ক্রেতা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই তারা কিনছেন এয়ারকুলার বা ভালো মানের ফ্যান। এছাড়া গরম বাড়ার সাথে সাথে লোডশেডিং বাড়ায় চার্জার ফ্যানের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। একাধিক ক্রেতাদের দাবি, গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে এসি, এয়ারকুলার ও ফ্যানের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নগরীর পাইকারি ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশিরভাগ ক্রেতাই সিলিং ফ্যান-স্ট্যান্ড ফ্যান ও এয়ারকুলার কিনছিলেন। বিক্রেতারা বলছেন, গরম বাড়ায় ফ্যান ও এসির চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগানেও টান পরেছে। ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় দোকানগুলোতে ফ্যান দিচ্ছে না। এজন্য তাদের নন ব্র্যান্ড ও বিদেশী ফ্যান বিক্রি করতে হচ্ছে।

কাঠপট্টি এলাকার একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানে স্ট্যান্ড ফ্যান দরদাম করা বিএম কলেজ শিক্ষার্থী রনি সরদার বলেন, ছোট নন-ব্র্যান্ডের টাইফুন ফ্যানগুলোর দাম চাইছে ৯০০ টাকা। অথচ গত মাসেও এগুলোর দাম ছিল ৫০০ টাকা।
ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১৬০০ টাকা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়।

এছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১৭০০ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, বিদেশী ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

একই ফ্যানের ভিন্ন ভিন্ন দাম প্রসঙ্গে এক বিক্রেতা বলেন, কেউ আগের বছরের অবিক্রীত ফ্যান বিক্রি করছেন, তারা কিছুটা কমে দিতে পারছেন। গরম বাড়লে ফ্যানের দাম আরও বাড়বে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকার নানা ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোতে বেড়েছে এসি-এয়ারকুলার বিক্রি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ব্র্যান্ডের এসি ও এয়ারকুলারের দাম বেশি বলে মনে করেছেন ক্রেতারা। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, নানা অফার ও ইএমআইতে সাশ্রয়ী দামে এসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।

বরিশাল নগরীর সদর রোডের ওয়ালটনের প্রধান বিক্রয় কেন্দ্রের সহকারি ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রুম্মান বলেন, গত কয়েক মাস এসি ও এয়ারকুলার একদম বিক্রি হয়নি। কিন্তু গরম বাড়ার সাথে সাথে আমাদের বিক্রি বেড়েছে। নগরীতে ওয়ালটনের বেশ কয়েকটি শোরুম রয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র প্রধান এই শোরুমেই এপ্রিল মাসে একশটির উপরে এসি বিক্রি হয়েছে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমগুলো ঘুরে জানা গেছে, ইনভার্টার এক টনের এসি ৪৫ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। দেড় টনের এসি ৬৫ থেকে ৮৩ হাজার টাকা এবং দুই টনের এসি ৭৮ হাজার থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০ লিটারের এয়ারকুলার ১১ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার টাকা, ৬০ লিটারের এয়ারকুলার ২০ হাজার ৫০০ থেকে ৩৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।

;

কক্সবাজারে তীব্র গরমে স্বস্তির সমুদ্রস্নান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে জনজীবন অস্থির। তীব্র গরমের কারণে যখন মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তখন সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র-শনিবারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকদের সমাগম হয়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ আর পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে স্বস্তি খুঁজছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে ৫০ হাজরের অধিক পর্যটক সৈকতের এই তিনটি পয়েন্টে গোসলে নেমেছে।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রচণ্ড গরমে ছুটি পেয়েই সমুদ্রস্নান করতে চলে এলাম কক্সবাজারে। খুবই আনন্দ লাগছে। পুরো পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আরও কয়েকদিন ছুটি পেলে ভালো হতো এখানে থেকে যেতাম। সমুদ্রের পানি খুবই ঠান্ডা। অনেক ভালো লেগেছে।

ঢাকার লালবাগ থেকে আসা পর্যটক মুখলেসুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে স্বস্তির জন্য আসলাম কিন্তু সবখানে খুবই গরম। এই গরমে সমুদ্রে গোসলে নামলাম খুবই দারুণ অনুভূতি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অনেক ভালো। লাইফগার্ড কর্মীরা দূরে গেলেই বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করছে। সবকিছু অনেক ভালো।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কক্সবাজারে ঘুরতে এসে যেন নিরাপত্তাজনিত কোন সমস্যা না হয় সেজন্য কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন। এছাড়া সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেখানে কাজ করছে সি সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা।


সি সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়র লাইফগার্ড রুহুল আমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্টে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক পর্যটক গোসলে নেমেছে। এই তিনটি পয়েন্টই মূলত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা কাজ করি। এই তীব্র গরমের মধ্যে কেউ উপরে থেকে সমুদ্র উপভোগ করছে না। সবাই সমুদ্রে নেমে যাচ্ছে এজন্য আমাদের জন্য একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঈদের পরদিন থেকে পর্যটক সমাগম শুরু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ এখনো পর্যন্ত অনেক পর্যটক কক্সবাজারে ঘুরতে আসছে। আমরা পর্যটন ব্যবসায়ীরা খুবই আনন্দিত। আমাদের ভালো ব্যবসা হচ্ছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ, ইনানী-পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত, মহেশখালী-সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং রামুর ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরতে যাচ্ছেন পর্যটকরা।

;

বরিশালে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি গ্রামের এক কৃষকের বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আমিরুন নেছা নামের শতবর্ষী এক নারীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। তবে কিভাবে ঘরে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে কেউ বলতে পারছেন না। ফলে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন নিহত বৃদ্ধার স্বজন ও স্থানীয়রা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উদয়কাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাহাদ আহমেদ ননী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে কৃষক মোশাররফ হোসেনের বসত ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে ঘরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় ঘরের মধ্যে থাকা সবাই দৌঁড়ে বের হতে পারলেও কৃষক মোশাররফ হোসেনের ১২০ বছর বয়সের মা আমিরুন নেছা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছেন। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।

বরিশাল বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই বসতঘরসহ বৃদ্ধা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওসি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

;