মোটর মালিক গ্রুপের দ্বন্দ্বেই খুন হন শাহীন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বগুড়া,বার্তা ২৪.কম।
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায়  সংবাদ সম্মেলন করছেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা , ছবি: বার্তা২৪.কম

বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করছেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা , ছবি: বার্তা২৪.কম

বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শাহীনকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা তার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার দুইজন হচ্ছে, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মন্ডলপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে রাসেল (২৮)ও একই এলাকার মৃত কালুর ছেলে পায়েল শেখ (৩৮)।ৎ

পুলিশ সুপার বলেন,বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্বের জের ধরেই অ্যাডভোকেট শাহীনকে খুন করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার দিন ১৪ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যার পর শহরতলীর চারমাথায় মোটর মালিক গ্রুপের এক নেতার অফিসে শাহীনকে খুন করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করা হয়। বৈঠক শেষে ১০ জনের একটি গ্রুপ চারটি মোটর সাইকেলে উপশহর বাজারের দিকে চলে যায়। এরপর দুইজন শাহীনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ধরমপুরে শাহীনের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। শাহীন বাড়ি থেকে বের হলে অন্যান্যদের খবর দেয়া হয়। অপর আটজন উপশহর বাজারের কাছে ১০ তলা ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/18/1555575625395.jpg

রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহীন ১০ তলা বিল্ডিং এর সামনে আসে এবং চালের দোকান থেকে চাল কিনে ১০তলা ভবনের সামনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলীমুদ্দিন ও মোটর মালিক গ্রুপের হিসাব রক্ষক বাপ্পীর সঙ্গে গল্প করেন। এ সময় ওৎপেতে থাকা ৮-৯ জন শাহীনকে কুপিয়ে ফেলে রেখে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শাহীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সুপার বলেন,শাহীন খুনের পরপরই পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে মাঠে নামে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে রাসেলকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কালো রং মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করে। একই রাতে পায়েল শেখকে গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের আমলিচুকাই গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার পায়েলের নামে হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।

এদিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির হয়ে ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আমবার হোসেন বার্তা ২৪.কমকে জানিয়েছেন।