সারাদেশে ব্যাপকভাবে রেল নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা / ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আজকে সারা বাংলাদেশে আমরা রেল নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করতে চাই। খুব অল্প খরচে আরামদায়ক ভ্রমণ একমাত্র রেল দিতে পারে। কাজেই রেললাইনকে এ জন্য আমি সব থেকে গুরুত্ব দিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছি। কারণ, যখন এটা সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল তখন দেখতাম বাজেটের টাকা যখন ভাগ হয় তখন রেলের ভাগে খুব সামান্য টাকা পড়তো। সেজন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করে আলাদা বাজেট, আলাদা সবকিছু আমরা করে দিয়েছি। আলাদা প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি।’

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সবুজ রঙের পতাকা নাড়িয়ে বিরতিহীন ট্রেনটির উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন রেলখাত কোনো ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল না। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পরামর্শ ছিল বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া এবং বিএনপি সে পথেই যাচ্ছিল। অনেকগুলো রেল স্টেশন বন্ধ, রেল লাইন বন্ধ, বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল। অথচ আমাদের ঘনবসতি পূর্ণ দেশ । ৫৪ হাজার বর্গমাইলে ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। মানুষের যোগাযোগের জন্য ব্যাপকভাবে সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। আমাদের নৌপথ, রেলপথ, সড়কপথ এবং বিমান পথ সবই আমাদের উন্নতমানের হওয়া দরকার।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/25/1556184416459.jpg

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতমানের করে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই রাজশাহীদের বিমানবন্দর বন্ধ ছিল, আমরা সরকারে আসার পর চালু করে দিয়েছি। সৈয়দপুরে বিমানবন্ধর প্রায় বন্ধ ছিল, বরিশালে বিমানবন্দর বন্ধ ছিল সেগুলো আমরা চালু করেছি। রেললাইনগুলোর অনেকগুলো রেলপথ বন্ধ ছিল সেগুলো আমরা চালু করেছি। আমরা নতুন নতুন রেলপথ যেমন চালু করেছি তেমনি পুরোনোগুলোকে উন্নতমানের করে নতুন স্টেশন করে সেগুলো চালু করেছি। ৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারতের যখন যুদ্ধ হয়, এ যুদ্ধের পর আমাদের এই অঞ্চলে যে আঞ্চলিক যোগাযোগ ছিল সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছিল। সেই রেল সংযোগগুলোও আবার আমরা চালু করছি। কাজেই রেলের যোগাযোগটা আমরা আরও উন্নত মানের করে দিতে চাই। যাতে সমগ্র বাংলাদেশ রাজধানীর সঙ্গে একটা ভালো সংযোগ সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে পোর্টগুলোর সাথেও যেন রেল সংযোগটা থাকে। ফলে আমাদের আমদানি রফতানিতেও ভালো কাজে লাগবে। তাছাড়া আমরা ১০০টা অর্থনৈতিক জোন করে দিচ্ছি। সেখান থেকে পণ্য উৎপাদন হবে, কিংবা তার কাচামালটা রেলের মাধ্যমে স্বল্প খরচে পরিবহন করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যমুনা নদীর উপর রেল সংযোগ দিতে গিয়ে যাদের সঙ্গে আমাদের কথা শুনতে হয়েছিল সেই ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এখন আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে যে সেতুর সঙ্গে যে রেল আছে সেটা ছাড়াও আলাদা একটা রেল সেতু তারা করে দিতে চায়। কাজেই এতদিন পরে তারা বুঝল এটার প্রয়োজন কত বেশি, কত লাভজনক। দেশটা আমাদের। আমরা আমাদের দেশের যতটা ভালো বুঝব, বাইরে থেকে হঠাৎ হঠাৎ কেউ এসে সেটা বুঝবে না। এটা হল বাস্তবতা।’

উন্নয়নের গতিধারাটা অব্যাহত রাখার জন্য দেশে শান্তি রক্ষা করা প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,‘সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২১ বছর পর আমি এসে যেটা দেখলাম দেশ খাদ্যে পরনির্ভর, মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, দেশের রাস্তাঘাট সবকিছুর একটা অচলাবস্থা। শুধু ক্ষমতাসীনদের ভোগবিলাস ছাড়া সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। যখন পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম আমরা অনেকক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন করেছিলাম। মানুষের মধ্যে একটা আশার সঞ্চার হয়। ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। বিএনপি জামায়াত জোট আবার যখন ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসে, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। ৫০০ জায়গায় একই সময়ে বোমা ফোটে, গ্রেনেড হামলা, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার, জেল জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচার ছাড়া আর কিছু তারা করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহী এ বিভাগটায় সেই বাংলাভাই এবং জঙ্গিবাদের একটা আখড়া ছিল। সব থেকে দুর্ভাগ্য যে তখনকরা সরকার, বিএনপি জামায়াত সরকার এদের মদত দিত। প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে নিয়ে তারা মিছিল করত, পুলিশ তাদের পাহাড়া দিত। অর্থাৎ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে এ দেশকে সৃষ্টি করেছিল। যার প্রভাব এখনো আমরা দেখি ‘

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/25/1556184377076.jpg

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘রাজশাহীর জন্য নৌপথের যেন উন্নয়নটা হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নৌপথে পণ্য পরিবহন আরও অল্প খরচে হবে। ঠিক সেইভাবে একটা সার্বিক উন্নয়নের আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেশটার আরও উন্নয়ন হোক, আরও এগিয়ে যাক। রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বাঙালির উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করে তারা দেশের উন্নয়ন নয় বরং নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন বলে ও দাবি করেন সরকারপ্রধান। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ আবারও ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতার আদর্শ অনুসরন করে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাটা শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজীবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন। গণভবনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়র আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিপ্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ আরও অনেকে।

   

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ১৮দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে ঈদের আগে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে জাহাজটির মালিকপক্ষের আলোচনা চলমান থাকলেও এখনো নাবিকদের মুক্তি নিয়ে বলার মতো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এবার হয়তো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না নাবিকদের।

ঈদের আগে নাবিকদের উদ্ধার করার কথা প্রচার হচ্ছে কোথাও কোথাও। এমন পরিস্থিতিতে জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামভিত্তিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। তবে এখনো বলার মতো কিছু হয়নি। নাবিকদের পরিবারের সদস্যদেরও মানসিকভাবে প্রশান্তিতে রাখার একটা বিষয় আছে। সেজন্য হয়তো কোথাও কোথাও বলা হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকবার জায়গা বদলের পর বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।

প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তখন মুক্তিপণ আদায়ের পর জাহাজ থেকে নেমে গিয়েছিল দস্যুরা। ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার এখনো মুক্তিপণের বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। আর মুক্তিপণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে তেমন কিছু জানায়নি। মুক্তিপণ চাওয়ার পর মালিকপক্ষ থেকে দর কষাকষি করা হবে। তখন ৪০দিনে দুই পক্ষের মধ্যে মুক্তিপণের বিষয়ে সমাঝোতা হয়েছিল। এরপর চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পাঠানো হয় দস্যুদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায়। পরে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে জাহাজে এসে সেই টাকা ভাগ করে দস্যুরা। এরপরই জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। অর্থাৎ সমাঝোতার পরও মুক্তি পেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছিল। এবারও সেই প্রক্রিয়ায় মুক্তি মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়া সময়সাপেক্ষ বিষয়।

অবশ্য নাবিকদের উদ্ধারে দেরি হলেও ভালো খবর হচ্ছে, এখন পর্যন্ত নাবিকেরা সবাই সুস্থ আছেন। দস্যুদের পক্ষ থেকেও ভালো আচরণ করা হচ্ছে। তাঁদের ওপর কোনো নির্যাতন কিংবা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে না। এরই মধ্যে জাহাজের নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনা শুরু করেছে দস্যুরা। ফলে খাবার নিয়ে নাবিকদের মধ্যে থাকা দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে। অবশ্য জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ আছে।

অবশ্য জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হলেও জলদস্যুরা তাতে ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে। নাবিকদের সঙ্গেও তারা ভালো আচরণ করছে। নাবিকদের তাঁরা নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, জাহাজের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজে অংশ নিতে দিচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দিচ্ছে। সবমিলিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে দস্যুরা। আশা করছি খুব দ্রুত নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তাদের সঙ্গে সমাঝোতা হবে। সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সংকটের সমাধান করে নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

;

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক। যদি দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা যায় তাহলে শিক্ষার সামগ্রিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে দ্বিতীয় ডিআরএমসি জাতীয় রমাদান ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইসলামের সংবিধান হলো মহাপবিত্র আল কুরআন। এটি কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথপ্রদর্শক। মুসলিমদের জন্য রয়েছে আরেকটি বিধান সেটি হলো মহানবী (স.) এর হাদীস। এই দুটিকে আঁকড়ে ধরতে পারলে পথভ্রষ্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারলে পরকালে পুরস্কার হিসেবে রয়েছে চির শান্তির জান্নাত।

তিনি বলেন, আমরা যদি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইসলামের আলো সঞ্চারিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই তারা আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। তারা সকল ধরণের অন্যায়-অনাচার, পাপাচার থেকে বিরত থাকার শিক্ষা পাবে এবং তারা আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে। আমরা গড়ে তুলতে পারবো একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।

ফরিদুল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নৈতিক, মানবিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননে কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণ ও সঞ্চারিত করার জন্য ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ইসলামিক কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে কলেজের উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

;

রংপুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মামুন মিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইমাদপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিশু মামুন মিয়া ইমাদপুর ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু মামুনের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ইটভাটার মাটি আনার জন্য ট্রাক্টরগুলো যাতায়াত করে। সকালের দিকে শিশুটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দৃশ্য দেখছিল। এ সময় ভেকু দিয়ে কাটা মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টর মাটি নেওয়া শেষে পিছনে ঘুড়ানোর সময় মামুনকে চাপা দেয়। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরটি আটক করেন। পরে পরিবারের আবেদনে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

এক টিকিটের জন্য ৫০০ বার হিট, ৬ষ্ঠ দিনে বিক্রি ৩১ হাজারের বেশি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৬ষ্ঠ দিনে ৩১ হাজারের বেশি অগ্রীম টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রতি টিকিটের জন্য গড়ে ৫০০ বারের বেশি হিট করেছেন যাত্রীরা। আগামী ৮ এপ্রিলের পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেটের মধ্যে ১৫ হাজার ২০০টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ বার।অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের টিকিট পেতে উক্ত অ্যাপে হিট পড়েছে ৯৬ লাখ বার। পূর্বাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিটের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।

;