ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হবেই: মেয়র



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা সমস্যা মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র  মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ছবি: বার্তা২৪.কম

আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা সমস্যা মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, অতি বর্ষণজনিত কারণে জলাবদ্ধতা হতেই পারে। যদি এক ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয় তাহলে জলাবদ্ধতা হবেই। এজন্য তিনি আবহাওয়া অফিসকে আগাম সর্তক বার্তা দেওয়ার অনুরোধ করেন, যেন নগরবাসী প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে পারেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের তৃতীয় তলায় স্বাধীনতা হলে ‘আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা সমস্যা মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে মেয়র একথা বলেন।

ঢাকা ইউনিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক মশিউর রহমান খান। সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি শফিকুর রহমান শামিম।

রাজধানীর জলাবদ্ধতার দায় কার এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, একটা বিষয় স্বীকার করেই নিতে হবে, যেটা হচ্ছে বাস্তবতা। যদি অতি বর্ষণ হয়, আর যদি সেই বর্ষণটা এক ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি চলে যায়, তাহলে জলাবদ্ধতা হবেই। কারণ অতি বর্ষণ হলে আমাদের বিদ্যমান ড্রেনেজ ব্যবস্থা সেটাকে সাপোর্ট (ধারণ) করতে পারবে না।

‘কাজেই অতিবর্ষণ হলে জলাবদ্ধতা হবেই এবং নাগরিক ভোগান্তি হবেই। এমনটা সম্ভব না অতি বর্ষণ হলো জলাবদ্ধতা একেবারেই হল না। সেইরকম কোনো ম্যাকানিজম আমাদের নেই। সেজন্য নগরবাসীর মানসিকভাবে প্রস্তুতিও থাকতে হবে।’

মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে এক ঘণ্টায় যদি ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, তাহলে কয়েক ঘণ্টার জন্য পানি জমে যাবে। তবে সেই জমে থাকা পানি যদি ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে নেমে যায় তাহলে খুব বড় আকারে সমস্যা হিসেবে নাও দেখতে পারি। বিষয়টা হচ্ছে আমরা কিভাবে দেখব।

এজন্য তিনি আবহাওয়া অফিসকে আগাম সর্তকবার্তা জারি করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যদি আবহাওয়া অফিস আগাম বার্তা দেয় তাহলে নগরবাসী খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বা অফিস থেকে বের হবে না। আবার বের হলেও যেন ছাতা নিয়ে বের হতে পারি। নগরবাসী যেন মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারেন।

তিনি বলেন, সৌন্দর্যের কারণে জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে না। জীবনের গতিটা যেনো স্বাভাবিক থাকে সেভাবেই সেবা সংস্থাগুলোকে কাজ করতে হবে।

সেবা সংস্থার বিদ্যমান আইনী কাঠামোর দুর্বলতা নিয়ে মেয়র বলেন, বাস্তবতার নিরিখে আমাদের আইন কাঠামো খুব বেশি শক্ত না। কাজেই আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনিক ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে।

আমরা একটা অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে মাত্র ৫ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারি, যা অনেকটা হাস্যকর। এর বেশি শাস্তি দেওয়ার বিধান আমাদের নেই। সে কারণে প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। প্রশাসনিকভাবে শক্তিশালী করার সময় এসেছে। এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন রাজউকের কতটা ক্ষমতা রয়েছে। অন্যান্য সংস্থার কতটুক ক্ষমতা রয়েছে।

মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাত অনেক বেড়ে গেছে। তবে আমরা যদি চেষ্টা অব্যহত রাখি তাহলে কিছুটা লাঘব করতে পারব। তিনি বলেন, বর্ষণজনিত পানি নিষ্কাশনের মূল দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। আমরা অন্যান্য সেবা সংস্থা তাদের সহযোগিতা করে থাকি। তবে সরকার যদি মনে করে জনপ্রতিনিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সংস্থার বেশি সক্ষম সরকার যদি সেই দায়িত্ব দিতে চায় আমরা সিটি করপোরেশন প্রস্তুত আছি।

 

 

   

অস্থির রাখাইনের উত্তাপ বাংলাদেশ সীমান্তে: ঢাকায় সিবিআইএফের আন্তর্জাতিক সংলাপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান গৃহযুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংকট ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতার প্রভাব নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের বিশ্লেষকদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সংলাপ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম (সিবিআইএফ) এর উদ্যোগে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স’ (বিসিআইপিএ) এর সহযোগিতায় রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন।

"সম্প্রীতির সেতু নির্মাণ: গৃহযুদ্ধ পরবর্তী আরাকান/রাখাইনে সামাজিক সংহতি, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য সামগ্রিক কৌশল" শিরোনামে অনুষ্ঠাতব্য এই সংলাপে মডারেটর ও আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জাপান ও মিয়ানমারের অভিজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অংশ নিচ্ছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন, বিসিআইপিএ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শাহাব ইনাম খান, গবেষক ও লেখক আলতাফ পারভেজ সহ অনেকে।

মিয়ানমার থেকে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট- এনইউজির ফেডারেল ইউনিয়ন বিষয়কমন্ত্রী

লিয়াং মং সাখং, মানবাধিকার বিষয়ক উপমন্ত্রী অং ক্য ম, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মু জৌ উ, এনইউজি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জ ক্য, সাবেক সংসদ সদস্য ইউ সুয়ে মং, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল এল্যায়েন্স এর চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তা হিসেবে থাকছেন।

এছাড়াও জাতিসংঘ, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে আসা প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ অনেকেই বক্তব্য রাখবেন আলোচনায়।

সংলাপে বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন কক্সবাজারের স্থানীয়রা বলে জানান সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন শর্মা।

সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম বলেন, "কক্সবাজারের বিভিন্ন সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে ও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে থাকে সিবিআইএফ, যার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক এই সংলাপের আয়োজন।"

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর "নেভিগেটিং দ্য রিপল অ্যাফেক্ট : এক্সামিনিং দ্য ইম্প্যাক্ট অব দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস অন হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড চার্টিং পাথস টু ডিউরেবল সলিউশনস" শিরোনামে ওয়েবিনারের আয়োজন করে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম। 

;

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ সদস্য অস্ত্রসহ আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ ৬ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। কিশোর গ্যাংটি ‘এসডব্লিউএজি ৪৭’ নামে পরিচিত।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‍্যাব। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শহরের রামপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- ফেনী সদর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার মাইনুদ্দিনের ছেলে মো. সৈকত (১৭), বারাই গনি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. বাবু (১৯), সোনাগাজী উপজেলার বাদাদিয়া এলাকার মাইনুদ্দিন মানিকের ছেলে মো. মাহি (২২), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জরম নদী এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. মানিক (১৮),পাঁচগাছিয়া এলাকার রাজিবের ছেলে মো. আরমান (১৯) এবং মিয়াজী রোডস্থ মৃত স্বপনের ছেলে মো. আসিফ (১৮)।

র‍্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের রামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। রামপুর পাকা রাস্তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্টিলের চাকু ও ফোল্ডিং চাকু উদ্ধার করা হয়।

ফেনীস্থ র‍্যাব-৭ এর কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা শহরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। র‍্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক করে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আটককৃত আসামিদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

;

পঞ্চগড়ে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার (১২) ও ইসরাত জাহান সিফাত (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নেট চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ নদীতে গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আলমি৷ পরে দুজনে পানিতে ডুবে যায়। এসময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু বিষয়টি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দুই শিশুদের মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানতো, আরেকজন জানতো না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসাথে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহ সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

;

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;