‘কাউকে বিন্দুমাত্র নিপীড়ন করা যাবে না’
ন্যায়, সমতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সরকারের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এ জন্য কারও প্রতি বিন্দুমাত্র অন্যায়, শোষণ ও নিপীড়ন না করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী। একই সঙ্গে দেশের আদালতগুলোর মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গ্রাম আদালতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সর্কিট হাউসে জেন্ডার ও গ্রাম আদালত বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সচেতনামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়রকরণ ২য় পর্যায়ের প্রকল্প উপলক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সহায়তা করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি। অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিনিধি অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের আদালতগুলোতে দিন দিন মামলার জট বাড়ছে। দেশের গ্রামাঞ্চলে অনেক ঘটনাই গ্রাম সালিশের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। কিন্তু ঘটনাগুলো নিষ্পত্তির জন্য বছরের পর পর বছর আদালতে ঘুরতে হয়। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি আদালগুলোতে মামলার কমিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছেন। মোড়লিপনা কমিয়ে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যাতে কেউ অন্যায়, শোষিত আর নিপীড়নের শিকার না হয়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করতে হবে। অনেকে মনে করেন জনপ্রতিনিধির ক্ষেত্রে মেয়েরা ভূমিকা রাখতে পারে না। চেয়ারম্যান সবকিছু না। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অথচ গ্রামীণ অর্থনীতির জুড়ি বোর্ডের মেয়েরা ভূমিকা রাখতে পারে। জেন্ডার সমতা ও পক্ষপাতিত্ব পরিহার করে গ্রাম আদালতকে কার্যকারী করতে হবে। কোনো বন্ডে বা কাগজে স্বাক্ষর রেখে আদালত চালানো যাবে না।’
সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসিডিজি) বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার ২০৪১ সালের উন্নত রাষ্ট্রের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। দেশজ উৎপাদন, প্রবৃদ্ধি এবং সঞ্চয় বৃদ্ধি করলে এই লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালে পূরণ করা সম্ভব হবে।’
কর্মশালায় দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে গ্রাম আদালতের বিভিন্ন প্রার্থীদের সেবা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত)মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পটিয়া রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন খান বক্তব্য দেন।