তীব্র দাবদাহে আমে বালাইয়ের উপদ্রব, লক্ষ্য পূরণে শঙ্কা



হাসান আদিব, রাজশাহী, তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আমের জন্য বিখ্যাত উত্তরবঙ্গের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ দুই জেলার আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। চলতি বছর আমের মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুল ও কড়ি আসার লক্ষণ দেখে বাম্পার ফলনের আশায় স্বপ্ন বুনছিলেন এ অঞ্চলের আমচাষিরা। তবে তাদের সেই প্রত্যাশায় চিড় ধরাচ্ছে বৈশাখের তীব্র দাবদাহ।

এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালের পর উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা এবার ফের ৪২ ডিগ্রিতে উঠেছে। তীব্র এই গরম আমবাগানে বেড়েছে বিভিন্ন বালাইয়ের উপদ্রব। প্রখর রোদে পুড়ছে মাঝারি আকারের আম। বোটা শুকিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে আম।

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর রাজশাহীতে রেকর্ড ১৭ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে দুই লাখ ১৩ হাজার ৪২৬ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমির বাগান থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712852813.jpg

এদিকে, গত ৯ এপ্রিল রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের যৌথ সভায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সমন্বয়ে ১৫টি পর্যবেক্ষক দল গঠন করা হয়। যাদের কাজ বাগানগুলোতে যাতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করা হয়, সেদিকে নজর রাখা। ফলে ১২ এপ্রিল থেকে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের নজরদারি থাকায় বাগানে ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারছেন না চাষিরা। ফলে আম উৎপাদনের রেকর্ড পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ‘কেমিক্যাল ব্যবহারের’ কথিত ভয়।

আমচাষিরা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে আম শুকিয়ে যাচ্ছে। বোটা নরম হয়ে হালকা বাতাসে তা ঝরে পড়ছে। একই সঙ্গে গরমের কারণে বিভিন্ন ধরনের বালাইয়ের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ফলে পাকার উপযোগী হওয়ার আগেই ব্যাপক হারে আম ঝরে পড়ার শঙ্কার কথা বলছেন চাষি ও বিশেষজ্ঞরা।

আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের আদেশের কারণে সবার মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে। কেউ চাইলেও কীটনাশক বা বালাইনাশক দিতে পারছে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712836489.jpg

বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে দাবি করে রাজশাহীর পুঠিয়ার কয়েকজন আমচাষি জানান, তারা বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে বালাইনাশক স্প্রে করা আর আম পাকানোর জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা আলাদা জিনিস। কিন্তু তা না বুঝেই প্রশাসন কোনো স্প্রে করতেই দিচ্ছে না। এতে এ অঞ্চলের আমের যে উৎপাদন ও ব্যবসা তাতে ভাটা পড়তে পারে বলে দাবি করেন তারা।

রাজশাহীর আমচাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, গত তিন/চার বছরে রাজশাহী অঞ্চলে এবারের মতো এতো গরম পড়েনি। সূর্যের যে তাপ, তাতে মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না। তাহলে আমের কী অবস্থা তা বুঝতেই পারছেন!

তিনি বলেন, গরমে পোকামাকড় বেশি হয়। দ্রুত তা বাগানে ছড়িয়ে পড়ে। মৌসুমের শুরু থেকে যতো যত্নই করা হোক, হঠাৎ পোকা লাগলে সব শেষ হয়ে যায়। তখন স্প্রে করেও তা ঠেকানো যায় না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712820670.jpg

বানেশ্বর এলাকার আম ব্যবাসয়ী রাজেকুল ইসলাম এবার সাড়ে চার বিঘা বাগান লিজ নিয়েছেন। তিনি বলেন, কীটনাশক দিয়ে আম পাকানো হয় না, পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচানো হয়। কখন রাসায়নিক ব্যবহার করে আম পাকানো হয়, তা না বুঝে আদালতে ভুলভাবে রিট করে আমচাষিদের ক্ষতি ডেকে আনা হয়েছে। এতে দেশেরও ক্ষতি হবে।

রাজশাহীর মোহনপুরের আমচাষি সিরাজুল বলেন, হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনার পর প্রায়ই বাগানে পুলিশ আসে। ধমক দিয়ে যায়, যাতে গাছে বিষ না দেই। কিন্তু স্প্রে না করলে কীভাবে এই রোদ আর গরমে পোকামাকড়ের হাত থেকে আম বাঁচাবো। সব তো নষ্ট হয়ে যাবে।

চাঁপাইয়ের শিবগঞ্জের আমচাষি শাকিল হোসেন বলেন, ‘আমাদের আম দেরিতে পাকে। ক্ষীরসাপাত, ল্যাংড়া, ফজলি আম পাকতে এখনও দেড় থেকে দুই মাস লাগবে। আম পাকার উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত পোকামাকড়ের উপদ্রব থাকবেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712801785.jpg

তিনি বলেন, ‘আম যতো পুষ্ট হচ্ছে, এক ধরনের কাটাপোকা ভেতরে ঢুকে গর্ত করে ফেলছে। গরম বেশি পড়লে এই পোকার আক্রমণও বেড়ে যায়। এখন যদি আমরা বালাইনাশক ব্যবহার না করি, তাহলে যে আম গাছে এসেছে; তা আর কিছুই ভালো থাকবে না।’

কানসাটের শ্যামপুর এলাকার কাইয়ুম হোসেন বলেন, অপুষ্ট আম হলুদ রঙের করে বাজারে বিক্রির জন্য একটি গোষ্ঠী চেষ্টা করে থাকে। সেটা আম বাগানে করা হয় না, আড়তে ব্যবসায়ীরা করে থাকেন। আমে ফরমালিন ব্যবহার ঠেকাতে বাগানে পুলিশ না পাঠিয়ে রাসায়নিক দ্রব্য বা বিশেষ জাতীয় হরমোন বিক্রি বন্ধে অভিযান চালালে বেশি ভালো হবে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, উত্তরাঞ্চলে গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির নিচে নামছে না। দিনের বেলায় প্রখর রোদ পড়ছে। যাতে আমে বিভিন্ন প্রকারের বালাই উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় আমের বোটা শুকিয়ে নরম হয়ে পড়ছে। ফলে আম ঝরছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/01/1556712780373.jpg

তিনি বলেন, গরমের কারণে যে সমস্যা হচ্ছে, তা থেকে আম বাঁচাতে স্প্রে করা জরুরি। বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ওষুধের সঙ্গে কীটনাশক বা বালাইনাশক দিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। কিছু বালাইনাশক রয়েছে, যেগুলো আম বাগান থেকে নামানোর ১২/১৫ দিন আগে না দিলে কোনো ক্ষতি হয় না। সেগুলো দিলে কোনো আপত্তি নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ উদ্যানতত্বের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বালাইনাশক ব্যবহার আর ফরমালিন ছিটিয়ে আম পাকানো এক বিষয় নয়। আম সংগ্রহের দুই সপ্তাহ আগে বালাইনাশক ব্যবহার করলেও কোনো ক্ষতিকর প্রভাব খাওয়ার জন্য উপযোগী আমে থাকে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ১৫টি পর্যবেক্ষক টিম গঠন করেছি। তারা বাগানগুলোতে নজরদারি করছে। কৃষি অধিদপ্তর যে বালাইনাশক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, তা কোনো চাষি বাগানে ব্যবহার করলে আপত্তি নেই। বাগানমালিকরা নির্ভয়ে সেসব বালাইনাশক ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্ষতিকর কোনো রাসায়ানিক বা ফরমালিন যাতে ব্যবহার না করা হয়, সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন।

   

পঞ্চগড়ে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার (১২) ও ইসরাত জাহান সিফাত (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নেট চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ নদীতে গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আলমি৷ পরে দুজনে পানিতে ডুবে যায়। এসময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু বিষয়টি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দুই শিশুদের মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানতো, আরেকজন জানতো না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসাথে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহ সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

;

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;