বিদ্যুৎ বিভাগে ১২৪ কোটি টাকার অডিট আপত্তি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিদ্যুৎ বিভাগের অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে/ ছবি: সংগৃহীত

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিদ্যুৎ বিভাগের অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের ১২৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ২৪৪ টাকার অডিট আপত্তি ধরা পড়েছে। এই টাকার মধ্যে কোনোটি দীর্ঘদিন বিল পরিশোধ না করা সত্ত্বেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা, প্রকল্পে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম ভ্যাট আদায় করা, এক প্রকেল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে ব্যবহার করাসহ একাধিক আর্থিক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে।

দীর্ঘদিনের এই অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি না করায় মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি হিসেবে দেখছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। অল্প সময়ের মধ্যে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছি, সেই সময়ের মধ্যেই টাকা আদায় করতে হবে। দীর্ঘদিন সরকারি টাকা অনাদায় থাকবে, এটা হতে দেব না। এর মধ্যে কিছু টাকা আদায় হয়েছে। বাকিগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে।’

বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন বিল পরিশোধ না করা সত্ত্বেও ৪২০ জন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে অনিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করায় সংস্থার মোট ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৪ টাকা অডিট আপত্তি হয়েছে। এই অনাদায়ী টাকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদায় করে প্রমাণসহ অডিট অফিসে জমা করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে ঠিকাদারকে পরিশোধিত বিল হতে নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হারে  ভ্যাট কর্তন করায়  সরকারের ২৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ২৫২ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ায় সরকারের এক কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৮ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে গ্রাহক উধাও। ঐ সকল নিখোঁজ গ্রাহকদের নিকট হতে পাওনা বিদ্যুৎ বিল আদায় না করায় আর্থিক ক্ষতি ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৩ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এই টাকা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আদায় করার জন্য মন্ত্রণালয়কে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

এছাড়া বিধিবহির্ভূতভাবে এক প্রকল্পের অর্থ অন্য প্রকল্পে ও এসটিভি হিসাব হতে সিডি ভ্যাট খাতে অর্থ স্থানান্তর করায় ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং ভাউচারে প্রদর্শিত অতিরিক্ত অর্থ চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করায় ৬৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

বৈঠকে অনুমোদিত লোডের অতিরিক্ত লোড ব্যবহার করা সত্ত্বেও ট্যারিফ বিধি মোতাবেক বিল প্রস্তুত ও আদায় না করায় ভ্যাটসহ ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৯ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আব্দুস শহীদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জহিরুল হক ভূঁঞা মোহন, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু) ও ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের  ২০১২-১৩ অর্থবছরের হিসাব  সম্পর্কিত  মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের  বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০১২-১৩ এর অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অডিট অফিসের ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

   

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;