ভারতের গোপালপুরে দুপুর ১২টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে ফণী
পূর্বাভাসের প্রায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আগেই ভারতের পুরী সংলগ্ন গোপালপুরের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।
দিল্লির মৌসম ভবনের সাইক্লোন সতর্কতা কেন্দ্রের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ফণী আঘাত হানতে পারে। আঘাত হেনে ফণী পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে।
দেশটির প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ফণী ভারতের দিঘা উপকূল দিয়ে প্রবেশ করে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগুবে। এই ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব পড়বে ঝড়টির গতিপথের দুই ধারের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে দিঘা, বকখালি, মন্দারমণি ও সুন্দরবন এলাকায়।
ভারতের সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করে দেশটির বিভিন্ন বাঁধ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ৪৫৪টি সাইক্লোন সেন্টারে উপকূল এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের রাখার প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং কক্সবাজার সমূদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার (৩ মে) ভোররাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর অতবা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে বিকেল নাগাদ ভারতের ওড়িশায় উপকূলে অতিক্রম করতে পারে। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সন্ধা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। খুলনা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারে এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।