৪০তম বিসিএস পরীক্ষা বর্জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ভাড়া করা শ্রুতিলেখক দিয়ে পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বর্জন করেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা। পিএসসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রতীকী অনশন করেছে চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী গ্রাজুয়েট পরিষদ।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে সরকারি কর্ম কমিশনের সামনে এই প্রতীকী অনশন করেন চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা।
প্রতীকী অনশনে পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী হোসাইন বলেন, ‘সরকারি কর্ম কমিশনের স্বেচ্ছাচারী ও হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা অনুষ্ঠিতব্য ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না।‘
আলী হোসাইন বলেন, ‘প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল স্কুল-কলেজের শিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রুতিলেখক সংক্রান্ত নীতিমালা ২৫ এর খ উপধারা অনুযায়ী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য শ্রুতিলেখক হবে তার এক গ্রেড নিচের এবং দক্ষ ও আন্তরিক শিক্ষার্থী। কিন্তু পিএসসি যাদেরকে শ্রুতিলেখক হিসেবে ভাড়া করছে তারা অযোগ্য এবং আন্তরিক নয়। এতে করে ভাড়া করা শিক্ষার্থী দিয়ে আমাদের জন্য শ্রুতিলেখকের কাজ হতে পারে না।‘
তিনি বলেন, ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের সাথে কোনো ধরণের পর্যালোচনা ব্যতিরেকে সরকারি কর্ম কমিশন হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমরা তার প্রতিবাদে ৪০তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি।’
আলী হোসাইন জানান, গত ৯ এপ্রিল সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে দেখা করে তাদের আস্থাহীনতার ব্যাপারে অবহিত করা সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তারা সরকারি কর্মকমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
তাদের দাবি, হাইকোর্ট থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখক রাখার নির্দেশনা থাকলেও তাতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে। পরীক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী শ্রুতিলেখক না রেখে নিজেদের মতো করে অযোগ্য শ্রুতি লেখক রাখছে পিএসসি।