৪০তম বিসিএস পরীক্ষা বর্জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিসিএস পরীক্ষা বর্জন করে পিএসসির সামনে প্রতীকী অনশনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বিসিএস পরীক্ষা বর্জন করে পিএসসির সামনে প্রতীকী অনশনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ভাড়া করা শ্রুতিলেখক দিয়ে পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বর্জন করেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা। পিএসসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রতীকী অনশন করেছে চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী গ্রাজুয়েট পরিষদ।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে সরকারি কর্ম কমিশনের সামনে এই প্রতীকী অনশন করেন চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা।

প্রতীকী অনশনে পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী হোসাইন বলেন, ‘সরকারি কর্ম কমিশনের স্বেচ্ছাচারী ও হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা অনুষ্ঠিতব্য ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না।‘

আলী হোসাইন বলেন, ‘প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল স্কুল-কলেজের শিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রুতিলেখক সংক্রান্ত নীতিমালা ২৫ এর খ উপধারা অনুযায়ী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য শ্রুতিলেখক হবে তার এক গ্রেড নিচের এবং দক্ষ ও আন্তরিক শিক্ষার্থী। কিন্তু পিএসসি যাদেরকে শ্রুতিলেখক হিসেবে ভাড়া করছে তারা অযোগ্য এবং আন্তরিক নয়। এতে করে ভাড়া করা শিক্ষার্থী দিয়ে আমাদের জন্য শ্রুতিলেখকের কাজ হতে পারে না।‘

তিনি বলেন, ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের সাথে কোনো ধরণের পর্যালোচনা ব্যতিরেকে সরকারি কর্ম কমিশন হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমরা তার প্রতিবাদে ৪০তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি।’

আলী হোসাইন জানান, গত ৯ এপ্রিল সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে দেখা করে তাদের আস্থাহীনতার ব্যাপারে অবহিত করা সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তারা সরকারি কর্মকমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

তাদের দাবি, হাইকোর্ট থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখক রাখার নির্দেশনা থাকলেও তাতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে। পরীক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী শ্রুতিলেখক না রেখে নিজেদের মতো করে অযোগ্য শ্রুতি লেখক রাখছে পিএসসি।

   

গরিব-দুঃখী মানুষের আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা: পাটমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, গরিব-দুঃখী মানুষের আস্থার ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেহনতি মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন গণমানুষের নেত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর তালতলায় অবস্থিত লায়ন্স অগ্রগতি স্কুলে স্পেশাল বাচ্চা, বৃদ্ধ ও প্যারালাইস্ড রোগীদের হুইল চেয়ারর বিতরণ অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি বার্তা আসে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করা হয়েছে। তাই শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেলেন! তিনি জানতে চান- এর কারণ কী? প্রধানমন্ত্রী তখনিই পরিষ্কার করে বললেন- ওরা যা দিয়ে উপার্জন করে জীবন-জীবিকা চালায় সেই পথ কেন বন্ধ করা হয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন অটোরিকশা চালু করার জন্য এবং চালু হয়ে গেল।

ঢাকা ১৩ আসনের জনগণের উদ্দেশে নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন করে গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে আমরাও ঠিক তেমনভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। যেকোন প্রয়োজনে আপনারা আমাদের কাছে আসবেন, আমরা আপনাদের পাশে থাকবো।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন ‘সোসাইটি ফর এইড প্রোগ্রাম’ (এস.এ.পি)। এ সময় রোগীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও গরিব-দুঃখীদের মাঝে অটোরিকশা বিতরণ করা হয়। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো জানান, ইতালি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ইতালি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।

প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দিবেন, সেই পত্রের বিপরীতে যাতে কম খরচে কর্মী প্রেরণ করবে।

দক্ষ জনবল তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি সরকার চাইলে আমাদের আইএমটি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) গুলোতে তাদের চাহিদা মত জনবলকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে বৈধ অভিবাসন বাড়ানো যায়। ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা যোগ্য তাদেরকে আমরা ভিসা দিতে আগ্রহী। দূতাবাস দ্রুত ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া তৈরি করছে। গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণে আমাদের অনেক সময় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে।

আমি মনে করি, যারা ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে সেটি প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণেই প্রকৃত আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আপনারা নতুন কোন প্রক্রিয়া হাতে নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

;

গ্রাম ও স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় থানায় ১০ ঘণ্টা আটক এক নারী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়া পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের দায়ের করা মামলায় গ্রাম ও স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় এক নারীকে ১০ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে সঠিক তথ্য জানার পর ওই নারীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুঃখপ্রকাশ করলেও পারিবারিক সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম হাসিনা বেগম (৪৬) এবং তার স্বামী আব্দুল মান্নান। তার বাড়ি উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ এলাকায়। অভিযুক্ত নারীর বাড়িও একই ইউনিয়নের বড়বিল তেলিপাড়া গ্রামে। তবে ওই নারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোন গ্রাহক নন। স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ অফিসে এসে এবং সঠিক তথ্য দিলে পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানা গেছে , অভিযুক্ত হাসিনা বেগমের (৫০) কাছে প্রায় ৩৬ মাসের ১৪ হাজার ৫'শ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি। তাই বকেয়া বিল আদায়ের জন্য দুই বছর আগে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দায়ের করে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস।

পুলিশের দাবি, পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের করা মামলায় বিদ্যুৎ আদালত থেকে আসা গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজের ওপর ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম জানান, রাত ১টার সময় পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে বলে আপানার নামে ওয়ারেন্ট আছে। আপনাকে থানায় যেতে হবে। তখন আমি বলি আমার নামে কিসের ওয়ারেন্ট? আমি চোর, না ডাকাত, যে আমার নামে ওয়ারেন্ট হবে। আমাকে কাগজ দেখান। তখন কাগজে দেখি আমার স্বামী ও আমার নাম। পরে আমি তাদের সাথে কথা না বলে থানায় চলে আসি। আমার কথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কি মামলা করার সময় ভালো করে চেক করেনি। আজকে আমাকে থানায় আসা লাগলো আমার মানসম্মান নাই।

গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল জলিল জানান, একটু তথ্যের ভুলের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অনিচ্ছাকৃত ভুলের বিষয়টি জানার পর আমরা থানায় যোগাযোগ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। প্রকৃত তথ্য জানতে পেরে পুলিশ তাকে ছেড়েও দিয়েছে।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, আদালত থেকে পাঠানো গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের লোকজনের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়। তারা তাকে তাদের গ্রাহক হিসেবে নিশ্চিত করার পরই ওই নারীকে আটক করা হয়। গ্রামের পাশাপাশি স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় ওই নারীর ক্ষেত্রে এ ঘটনাটি ঘটে। সকাল ১০ টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ##

;

জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞা ভিসানীতির আইনে নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে ভিসানীতির অধীনে নয়, অন্য অ্যাক্টে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে ৩টি ভিসা পলিসি দেওয়া হয়েছিল। ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ভিসা পলিসি’-এর আওতায় এটা (আজিজ আহমেদের) করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’। আমরা মার্কিন সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যেতে চাই। সাবেক সেনা প্রধানের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইউএসএ মিশনকে আগে জানানো হয়েছে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চাই। যেহেতু, সেনাবাহিনীর বিষয়, এ নিয়ে আগবাড়িয়ে কিছু বলতে চাই না। আমরা মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

বিশ্বের টালমাটাল পরিস্থিতিতেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি টালমাটাল সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক দেশের চেয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেশি। সারা পৃথিবীতে পণ্যের দাম বেড়েছে, সংকটও বেড়েছে। এ বাস্তবতায় আমাদের এখানেও দাম বেশি। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দেশ নয়। কোথাও কিছু হলে, তার প্রভাব বাংলাদেশেও এসে পড়ে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানে দাম বেশি, আমাদের দেশেও সঙ্গত কারণে জিনিসপত্রের দাম বেশি।

‘বিএনপি এখন পরজীবী হয়ে গেছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি রিকশাচালকদের আন্দোলনে ঢুকে গেছে। নিজেদের কিছু করার ক্ষমতা নেই; অন্যের আশ্রিত হয়ে দেশের ভেতরে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি নির্বাচনে প্রতিহত করার নাম করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। দেশবিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। নানাজনে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ঠিকই এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিকট অতীতে দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশে এত ভোটার উপস্থিত হয় না। এখন পর্যন্ত ৮০টা দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়।

তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে সত্যিকারের ভিসানীতি হলে, যারা বাধাগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন এটা কার্যকর করা হয়। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছে, পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে, হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত।

মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

;