চট্টগ্রামের আকাশ জুড়ে মেঘ, বৃষ্টি
ফণীর প্রভাবে চট্টগ্রামের আকাশ জুড়ে জমেছে কালো মেঘ। থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে। তীব্র গরমের পর শুক্রবার (৩ মে) দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া পাল্টাতে থাকে। চরম গরম পরিস্থিতি কেটে বইতে শুরু করে হিমেল বাতাস। রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশের জায়গা দখল করে মেঘমালা।
'বৃষ্টিতে গরম পরিবেশে শান্তি এসেছে, তবে ভয়ও পাচ্ছি। কখন ফণী আঘাত হানে কে জানে!' শঙ্কাভরা গলায় বললেন- হিলভিউ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা প্রকৌশলী তারেক মাহমুদ।
আবহাওয়ার তথ্যে অবশ্য চট্টগ্রাম তুলনামূলক নিরাপদে আছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে উদাসীন থাকা যায় না। ঝড় কখন দিক বদল করে কোথায় আঘাত হানে, কেউ বলতে পারবে না। এজন্য শহরের সবাই উদ্বিগ্ন।
বিশেষত যাদের গ্রামের বাড়ি উপকূলীয় অঞ্চলে, তারা চিন্তায় আছেন। বার বার খবর নিচ্ছেন আবহাওয়া পরিস্থিতির। সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজারে ঝড়ো বাতাসের প্রকোপ থাকলেও বিকেল পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যান্যবারের তুলনায় এবার আগাম প্রস্তুতি বেশ জোরালো বলে মনে করছেন অধিবাসীরা। আশঙ্কাজনক জায়গা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী মানুষদের আনা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।
যে সব পাহাড় ঝড়-বৃষ্টিতে ধসে পড়তে পারে, সেখান থেকেও লোকজনকে সরানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও শহরের পাহাড়ের বস্তিগুলো খালি করার কাজ চলছে।
রৌদ্র আর ছায়ার আকাশের মতো আশা ও শঙ্কায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষ ফণীর গতিবিধি ও সর্বশেষ খোঁজ-খবর নিয়ে কাটাচ্ছেন অপেক্ষার প্রহর।