বাংলাদেশে আঘাত হানা প্রলয়ংকারী যত ঘূর্ণিঝড়



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এটি ভারতের ওড়িশা, কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে। তবে বাংলাদেশে আসতে আসতে এর শক্তি ক্রমশই কমে যাচ্ছে।

ফণীর মত বহু ঘূর্ণিঝড় ইতিহাসের বহু সময় বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে। আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬০ বছরে ছোট বড় অন্তত ৩৩টি ঘূর্ণিঝড় এদেশে আঘাত হেনেছে।

২০০৪ সালের আগে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো নাম ছিল না। তখন তাদের বলা হতো ‘স্যাভেয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’। এসব ঘূর্ণিঝড় যেসব স্থানে আঘাত হানতো সে স্থানের নামানুসারে পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হতো।

প্রলয়ংকারী এমন কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের সময়কাল ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরা হলো:

১৯৬০ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়:

১৯৬০ সালের ৩০-৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বাকেরগঞ্জ, ফরিদপুর, পটুয়াখালী এবং মেঘনা মোহনার পূর্ব পাড়ে আঘাত হানে ঘুর্ণিঝড়টি। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৩ কিলোমিটার। এর প্রভাবে ৪.৫-৬.১ মিটার জলোচ্ছাস হয়। প্রায় ১০ হাজার মানুষ, ২৭ হাজার ৭৯৩ গবাদি পশু, পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ১৬১ বাড়ি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এর শতকরা ৭০ ভাগই হাতিয়ায়। দুইটা বড় সমুদ্রগামী জাহাজ তীরের উপরে উঠে আসে।

১৯৬৩ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়:

১৯৬৩ সালের ২৮-২৯ মে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত করে দেয় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার এবং সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, হাতিয়া এবং মহেশখালী উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৩ কিলোমিটার। এ অঞ্চলের ১১ হাজার ৫২০ অধিবাসী, ৩২ হাজার ৬১৭ গবাদিপশু ও তিন লাখ ছয় হাজার ৩৩২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

১৯৬৫ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়:

১৯৬৫ সালের ১৪-১৫ ডিসেম্বর তীব্র ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর নিকটবর্তী উপকূলীয় অঞ্চলে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। ঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা ৪.৭-৬.১ মিটার বৃদ্ধি পায়। ৮৭৩ জন অধিবাসী মারা যায় ও ৪০ হাজার লবণ খামার নষ্ট হয়।

১৯৭০ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় বা ভোলা ঘূর্ণিঝড়:

১৯৭০ সালের ৭-১৩ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় ইতিহাসে ভোলা ঘূর্ণিঝড় নামে পরিচিত। চটগ্রাম, বরগুনা, খেপুপাড়া, পটুয়াখালী, চর বোরহানুদ্দিনের উত্তর পাশ, চর তাজুমুদ্দিন এবং মাইজদি ও হরিণঘাটার দক্ষিণ পাশ সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার। সরকারি হিসাব অনুসারে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ লাখ বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা ছিল আরও বেশি। ১০ লাখ গবাদিপশু মারা যায়। চার লাখ বাড়িঘর এবং তিন হাজার ৫০০ শিক্ষাকেন্দ্র বিধ্বস্ত হয়।

১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়:

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল শেষ রাতের দিকে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এর ব্যাস ছিল প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। আর বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। ঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর উপকূলে ভূমিধ্বস হয়। জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ৫-৮ মিটারে পৌঁছায়। প্রায় দেড় লাখ লোক ও ৭০ হাজার গবাদি পশু মারা যায়। ঘূর্ণিঝড়টিতে সম্পদের ক্ষতি হয় প্রায় ৬০ বিলিয়ন টাকা।

১৯৯৪ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়:

১৯৯৪ সালের ঘূর্ণিঝড়টি ২৯ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারের নিকটবর্তী উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। ৪০০ লোক ও আট হাজার গবাদি পশু মারা যায়।

১৯৯৭ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়:

১৯৯৭ সালের ১৯ মে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী এবং ভোলার নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে আঘাত হানে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। ১২৬ জন লোক মারা যায়।

ঘূর্ণিঝড় সিডর:

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর ঘণ্টায় ২২৩ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। এলাকায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস হয়। রেডক্রসের হিসাবে ১০ হাজার লোক মারা গেছে বলা হলেও সরকারিভাবে ছয় হাজার লোক মারা যাওয়ার কথা বলা হয়।

ঘূর্ণিঝড় আইলা:

২০০৯ সালের ২৯ মে তীব্র ঘূর্ণিঝড় আইলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ভাগের ১৫ জেলার উপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায়। প্রায় ১৫০ জন অধিবাসী মারা যায়, ২ লাখ বসতবাড়ি ও ৩ লাখ একর জমির ফসল বিনষ্ট হয়।

এছাড়া বিভিন্ন সময় ঘূর্ণিঝড় বিজলি, ভিয়ারু, রোয়ানু, ডিয়ামু আঘাত হানে। তবে এসবের তীব্রতা কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।

   

শিশুকেন্দ্রিক বাজেট দেখতে চায় ইউনিসেফ ও শিশুরা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শিশুকেন্দ্রিক বাজেট দেখতে চায় ইউনিসেফ ও শিশুরা

শিশুকেন্দ্রিক বাজেট দেখতে চায় ইউনিসেফ ও শিশুরা

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত এক প্রাক-জাতীয় বাজেট ব্রিফিংয়ে শিশুকল্যাণের মূল খাতসমূহে বরাদ্দ বাড়ানো এবং তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে ইউনিসেফ ও ‘বাংলাদেশ জেনারেশন পার্লামেন্ট (জেনপি)’ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত শিশুরা।

সোমবার (৩ জুন) ইউনিসেফ এ বছর পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটসের সঙ্গে যৌথভাবে ‘জাতীয় বাজেটে শিশুদের স্বার্থ রক্ষা: প্রাক-বাজেট ব্রিফিং’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিষয়ক বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরামের সদস্য ও ইউনিসেফের (জেনপি)’ উদ্যোগ হতে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন অফিসার ফারজানা সুলতানা জানান, ইউনিসেফ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের একটি বিস্তৃত বিশ্লেষণ সংসদ সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করে। যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ ও বরাদ্দকৃত অর্থ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক প্রবণতা তুলে ধরা হয়। উপস্থাপনায় আসন্ন বাজেটে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সুপারিশমালাও তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী শিশুরা এই আয়োজনে অংশ নেয়। ব্রিফিংয়ে তারা তাদের সমবয়সীদের উদ্বেগ ও আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, প্রাক-বাজেট বিশ্লেষণে শিশুদের সম্পৃক্ত করার মানে হলো সক্রিয় নাগরিক গড়ে তোলা এবং এটি জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের মতামত যাতে শোনা হয় তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ। এই উদ্যোগে ইউনিসেফের সহায়তা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক শাসন পদ্ধতি কায়েম করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে।”

ব্রিফিং-এ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার উপরও জোর দেয়া হয়।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় মোট বাজেটের আকার ১২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর জন্য বরাদ্দ আনুপাতিক হারে হ্রাস পেয়েছে, যা শিশুদের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে হুমকি স্বরূপ।

শিশুদের জন্য সুচিন্তিত বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের ওয়াইসি রিপ্রেজেন্টেটিভ স্ট্যানলি গ্যুয়েভা বলেন, আমাদের শিশুদের পেছনে বিনিয়োগ করা শুধুমাত্র একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা নয়, এটি একটি স্মার্ট অর্থনৈতিক কৌশল, যার মাধ্যমে অনেক ভালো প্রতিদান পাওয়া যায়। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক অগ্রযাত্রা বজায় রাখতে শিশুদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া বাজেটের সম্পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

আইনসভার সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এবং পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটসের চেয়ারপার্সন শামসুল হক টুকু বলেন, বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া এবং এর বাস্তবায়নে যাতে দেশের প্রতিটি শিশুর কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন থাকে তা নিশ্চিত করা নীতিনির্ধারক হিসেবে আমাদের কর্তব্য। আজকের আলোচনা সঠিকভাবে বাজেট বাস্তবায়নের পদ্ধতিগুলোর উন্নয়নে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বের কথাই পুনর্ব্যক্ত করে।

স্বাস্থ্য খাতে, বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হ্রাসে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তবে সবার জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা, ওষুধ ও সরঞ্জাম বাড়ানো এবং টিকাদান কার্যক্রমে অর্থায়ন বাড়ানোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে আসন্ন জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ২ শতাংশ বিনিয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

শিক্ষা খাতে, বাংলাদেশ লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণসহ প্রায় শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে। শিক্ষা খাতে জিডিপির তিন শতাংশ বিনিয়োগ নিশ্চিত করা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পাঠ্যক্রম সংস্কার, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও বিদ্যালয়গুলোকে তাপ প্রতিরোধী করার বিষয়ে মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সামাজিক সুরক্ষা খাতে, ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ শিশুদের জীবনের শুরুর বছরগুলোতে তাদের পুষ্টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষা খাতে যৌক্তিকভাবে সম্পদ বিনিয়োগ করলেও, যাদের বিশেষ প্রয়োজন তাদের কাছে সেবা ঠিকমতন পৌঁছাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া, ইউনিসেফ তরুণদের মতামতকে তুলে ধরার জন্য ২৮ হাজারের বেশি তরুণের মতামত নিয়ে একটি ‘ইউ-রিপোর্ট’ জরিপ পরিচালনা করেছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৪ শতাংশ মনে করে, শিশুদের জীবনকে সরাসরি প্রভাবিত করতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে আরও বেশি ব্যয় করা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ, শিশুদের জীবনকে সরাসরি প্রভাবিত করে এমন নীতি বিষয়ক সংলাপে তাদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ইউনিসেফের যে অঙ্গীকার তারই প্রমাণ স্বরূপ।

;

রংপুরে শত কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রংপুরে শত কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার

রংপুরে শত কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নগরীর শালবন গ্রামে শত কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসনের আরডিসি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর শালবন গ্রামে কোনো কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে দখলকৃত খাস ১ একর ৯ শতক জমি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযানে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসনের আরডিসি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কাগজপত্র ছাড়া এই জমিতে দখল করে আছেন তারা। আমরা আইনগত প্রক্রিয়া তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করা হয়েছে এবং তাদের কিছু দাবি ছিল পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিয়ে, সেগুলোর জন্য আবেদন নেয়া হবে৷ তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে ব্যক্ত করছি। এখানে সরকারি বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট হবে, যা রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। আজকের উচ্ছেদের মাধ্যমে রংপুর জেলার তথা রংপুরের মানুষের বিভিন্ন উন্নয়নে কাজে লাগবে। আমরা আইনগত প্রক্রিয়ামত শান্তিপূর্ণভাবে এই অভিযান পরিচালনা সম্পূর্ণ হলো।

অভিযানে জেলা প্রশাসনের আরডিসি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা, পুলিশ কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের সমন্বিত ভূমিকায় উচ্ছেদ করে শত কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

;

বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ফি কমাল ভুটান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদে‌শি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ফি কমিয়েছে ভুটান। দেশ‌টি ভ্রমণে প্রতি‌দিন বাংলাদে‌শিদের এখন থেকে ২০০ ডলারের পরিবর্তে মাত্র ১৫ মা‌র্কিন ডলার ফি দিতে হবে।

সোমবার (৩ জুন) ভুটানের পর্যটন বিভাগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জা‌নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভুটান সরকারের পর্যটন বিভাগ জানিয়েছে, দেশ‌টি বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য নীতি সংশোধন করেছে। নতুন নীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশি পর্যটকদের টেকসই উন্নয়ন ফি (এস‌ডিএফ) হিসেবে শুধুমাত্র ১৫ মা‌র্কিন ডলার দি‌তে হ‌বে, যা ভারতীয় পর্যটকদের ওপর আরোপিত ফির সমান। নতুন ফি ২ জুন থে‌কে কার্যকর করা হয়েছে।

আগে বাংলা‌দে‌শি‌দের ভুটান ভ্রমণে প্রতি‌দিন ২০০ মা‌র্কিন ডলার ফি দেওয়া লাগত। নতুন নীতিমালার আওতায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক বার্ষিক ১৫ মার্কিন ডলার কম খরচে ভুটান ভ্রমণ করতে পারবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সম্পর্ক আরও সুসংহত হয়েছে।

;

টিলার মাটি কেটে কৃষিজমি ভরাট, ৩ লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে টিলার মাটি কেটে কৃষিজমি ভরাটের দায়ে এক ব্যক্তিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকেভেটর ও দুইটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) ভোরে উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নের চান্দপুর এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, টিলা থেকে মাটি কাটা এবং সেই মাটি দিয়ে কৃষি জমি ভরাট করার অপরাধে রমজান আলী নামের একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অভিযানে একটি এক্সকেভেটর ও দুইটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে রমজান আলী অপরাধ স্বীকার করায় তাকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ১৫ (১) অনুসারে ৩ লাখ অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

অভিযানে ভুজপুর থানা পুলিশের একটি দল, আনসার ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারীরা সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন।

;