খুলনায় বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনায় লোকালয়ে পানি, ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনায় লোকালয়ে পানি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে খুলনা অঞ্চলে থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে দমকা হাওয়া বইছে। প্রচণ্ড গতির বাতাস হওয়ায় বেশ কিছু অঞ্চলে গাছপালা ভেঙে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) ভোর থেকে দমকা বাতাসের সাথে শুরু হয় বৃষ্টি। ঝড় শুরু হওয়ায় উপকূলীয় এলাকা দাকোপ ও কয়রায় ফণীর আতঙ্কে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নিয়েছে বলে জানা যায়। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) প্রায় সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

খুলনায় বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত

দাকোপ সদরের ইউএনও আব্দুল ওয়াদুদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দাকোপের বাণীশান্তা বাজারের উত্তর পাশে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়েছেন গ্রামের মানুষ।'

খুলনায় বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারুপ বিশ্বাস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের সময় দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাঁধ ভাঙেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

খুলনায় বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত

কালাবগী ঝুলন্ত পাড়ার বাসিন্দা মোখতার শেখ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'এখানের বাঁধ এমনিতেই সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। জোয়ারের পানি বাড়ায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ঝুলন্ত পাড়ার ঘরগুলো ভেঙে যেতে পারে।'

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, খুলনায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মাঝারি বৃষ্টিপাতসহ দমকা হাওয়া বইছে। যার গতিবেগ বর্তমানে ঘণ্টায় ১৫-২০ কিলোমিটার। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ ঝড়ো হাওয়া কিছুটা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। যার গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৮ কিলোমিটার হতে পারে। বেলা ১১টা থেকে ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

জানা গেছে, ফণীর প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় সব নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতার জোয়ার উঠেছে। এতে চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দাকোপের বাণীশান্তা বাজারের উত্তর পাশে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। লোকাল‌য়ে পা‌নি ঢোকায় বা‌ণিশান্তা ইউ‌নিয়‌নের ক‌য়েক‌টি গ্রা‌মের মানুষ এখন পা‌নিব‌ন্দি অবস্থায় আছে। এছাড়া দ‌ক্ষি‌ণের উপকূল কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে রাতভর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ ক‌রে। সকাল ৯টায় হঠাৎ বাঁধ‌ের দু'‌টি অং‌শে ভাঙন দেখা দেয়। এতে স্থানীয় গোলখালী, মাটিয়াভাঙ্গা ও মোল্যাপাড়া গ্রাম নতুন ক‌রে প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া দাকোপের কালাবগী ঝুলন্ত পাড়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।

খুলনা জেলা ছাত্রলী‌গের সহ-সভাপ‌তি কয়রার দ‌ক্ষিণ বেদকাশী ইউ‌নিয়‌নের বা‌সিন্দা আবু সাঈদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, রা‌তে জোয়া‌রের পা‌নি‌ ওয়াপদা পে‌রি‌য়ে গ্রা‌মে ঢু‌কে‌ছে। ইউ‌নিয়‌নের বাঁ‌ধের ১০টি স্থান ঝুঁ‌কিপূর্ণ ছি‌ল। সেই ঝুঁ‌কিপূর্ণ স্থান থে‌কেই দু'জায়গায় ফাটল ধ‌রে‌ছে। নতুন ক‌রে গোলখালী, মাটিয়াভাঙ্গা ও মোল্যাপাড়া প্লাবিত হচ্ছে।

   

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম



Rasel
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

সোমবার (০৬ মে) রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে নবনিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবীন কর্মকর্তাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। দেশসেবায় নবীন কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা এবং উদ্যমই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নেবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসময় নবনিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি গর্বিত দেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা এতদিন বইয়ের জ্ঞান অর্জন করেছেন, এখন মাঠের জ্ঞান অর্জন করার পালা। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে আপনারা দেশের জন্য কাজ করে যাবেন এবং আপনাদের অবদান যেন জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, কোনো আঁকাবাঁকা পথ ধরে নয়, লক্ষ্য স্থির থাকলে সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে ব্যক্তিগত জীবনের লক্ষ্য অর্জন যে রকম সম্ভব তেমনি জাতীয় জীবনেও ভূমিকা রাখা সম্ভব। উন্নত দেশগুলোকে বাইরের কেউ এসে উন্নত করে দেয়নি, তারা নিজেদের প্রচেষ্টাতে আজ উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমাদেরও একটি দর্শন রয়েছে, যেখানে আমরাও চাই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন একটি উন্নত জীবন যাপন করতে পারে।

এ সময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহীম। সভাপতিত্ব করেন- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ।

;

খিলক্ষেত এলাকায় নকশা বহির্ভূত ভবনে রাজউকের অভিযান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করা ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। একই সঙ্গে কয়েকটি নকশা বহির্ভূত ভবনের আংশিক অপসারণও করা হয়।

সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম এর নেতৃত্ব এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের জোন ৪/৩ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। রাজউকের কাছ থেকে নকশার অনুমোদন নেয়ার পর তার ব্যত্যয় করা গুরুতর অপরাধ। একই সঙ্গে এই ব্যত্যয় ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ রাজউক যখন একটি নকশার অনুমোদন দেয় তখন অনেক কিছু বিবেচনা করেই দেন। আমরা অভিযানে দেখলাম নকশা বহির্ভূত নির্মাণাধীন ভবনগুলোর সেটব্যাক ও ভয়েড এ ব্যত্যয় করা হয়েছে। এ সময়ে নকশা বহির্ভূত কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তীতে রাজউকের অনুমোদিত নকশা মেনে যাতে ভবন নির্মাণ করে সে বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।’

এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউক জোন-৪ এর পরিচালক সাইফুল ইসলাম, অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক , ইমারত পরিদর্শকসহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ বলেন, ভবন নির্মাণে রাজউক অনুমোদিত নকশা মেনে ভবন নির্মাণ করবে এবং রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে মানুষ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সেই বিষয়ে জনসচেতনতা করা হয়েছে। নকশা মেনে ভবন নির্মাণ না করা হলে বাসিন্দাদেরই বিপদ হতে পারে। আর নির্মাণ সামগ্রী রাস্তায় রাখার মাধ্যমে দুর্ঘটনা যেমন ঘটে একই সাথে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।

অভিযানের সময় স্থানীয়রা জানান, সামান্য লাভের জন্য নকশা অনুযায়ী অনেকে ভবন নির্মাণ করেন না। রাজধানীতে লাখ লাখ ভবন অনেক ভবনের বাসিন্দারাও জানেন না তার ভবনের বারান্দাটি নকশায় নেই। এটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে করা হয়েছে। ভবন মালিক রাজউকের নকশা না মেনে কাজ করায় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অনেকে এসে কয়েকটি ভবনের আংশিক উচ্ছেদ করেছেন। উচ্ছেদ করা না হলে তারা জানতেনও না এই ভবনে নকশার এতো ব্যত্যয় করা হয়েছে। অভিযানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এলাকার মানুষ সহযোগিতা করেছে। এলাকাবাসী মনে করেন রাজউক নিয়মিত এই ধরনের অভিযান চলমান রাখলে কেউ নকশা ছাড়া ভবন করতে সাহস পাবে না। এতে দুর্ঘটনা কমবে।

;

আঁধার নেমে বৃষ্টি এলো, স্বস্তি জনমনে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনের শুরু থেকে ফকফকা রোদের আলো। সঙ্গে ছিল কিছুটা উষ্ণতা। এরমধ্যে দুপুর দুইটা বাজতেই মেঘে ঢাকতে শুরু করে চট্টগ্রামের আকাশ। চারদিকে যেন নেমে এলো রাতের আঁধার।

সোমবার (০৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগর ও আশেপাশের এলাকায় বজ্রপাতসহ তীব্র গতিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুরুর দিকে বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাস থাকলেও কিছুক্ষণের ধীরে ধীরে এর গতি কমে আসে।


চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বিকেল তিনটা পর্যন্ত গেল ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে গেল কয়েকদিনের চেয়ে একটু ভারি বৃষ্টি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি নেমেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৃষ্টির ছবিও ভিডিও পোস্ট করে অনেককে সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা করতে দেখা গেছে।


রেদওয়ান নামের একজন বৃষ্টির ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, 'চট্টগ্রাম শহরে সে কী বৃষ্টি...'

নূর নওশাদ নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ছবিসহ পোস্টে লেখেন, 'আসমানজুড়ে মেঘের ঘনঘটা...'


জাহাঙ্গীর আলম নাকে একজন লেখেন, 'প্রচণ্ড গরমের পরে চট্টগ্রামে শীতল ছোঁয়া নিয়ে এসেছে...'

রবিউল নামে এক যুবক বলেন, আমি অফিসে যাওয়ার জন্য দুপুরে ভাত খেয়ে বের হয়েছি। হঠাৎ দেখি পরো আকাশ আঁধার হয়ে বাঁধভাঙা বৃষ্টি নামা শুরু হয়েছে। এমন বৃষ্টি চট্টগ্রামে আজকেই প্রথম। জিইজি মোড়ে রাস্তায় জমে গেছে পানি।


পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মেঘনাৎ তংচঙ্গা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গতকালের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আজকে বৃষ্টি হবে। সকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও দুপুর থেকে ধীরে ধীরে মেঘলা হয়ে বিকেল ৩টার দিকে বজ্রসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। কী পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে সেটি সন্ধ্যা ৬টার পর জানা যাবে। তবে চট্টগ্রামে এখন থেকে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হবে।

এদিকে পুরোনো রীতিতে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকার খবর পাওয়া গেছে৷ সর্বশেষ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে বিরতিহীনভাবে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি ঝরছে।

;

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে কোটিপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯৩: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে ৯৩ জন কোটিপতি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আগের নির্বাচনের তুলনায় এ সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ (৫ম নির্বাচনে ছিলো ৩৭ জন)।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ১৭ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৬ জন কোটিপতি।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি সোমবার (৬ মে) উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্থাবর সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন গোপালগঞ্জ সদরের কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, তার মোট অস্থাবর সম্পদ ২৫.২৪ কোটি টাকা। তালিকার দুইয়ে কাউনিয়া উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম (২০.৩০ কোটি টাকা)। তিনে আছেন আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদের মূল্য ১৮.৮৫ কোটি টাকা। আতাহারের পিতা একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য।

এছাড়া নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৯.৮৬ শতাংশই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১.১৯ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন কৃষি কাজকে। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে আইনজীবী (৬.৩২ শতাংশ) ও শিক্ষক (৪.১৫ শতাংশ)। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের অর্ধেকের বেশি (৬৯.৫৯ শতাংশ) নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন চাকরিজীবী ও শিক্ষক। তাদের হার যথাক্রমে ৬.০১ শতাংশ ও শিক্ষক ৩.৮৪ শতাংশ।

সেই সঙ্গে স্থাবর সম্পদের হিসাবে দেখা যায়, কমপক্ষে ১ একর জমি আছে প্রথম ধাপে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫০ জন, যা মোট প্রার্থীর ৩৪.৪০ শতাংশ। তাছাড়া ২৬.৫৮ শতাংশ প্রার্থীর বাণিজ্যিক বা আবাসিক দালান আছে, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট আছে ৩৫.৫৮ শতাংশ প্রার্থীর। খামার বা বাগান রয়েছে এমন প্রার্থীর হার ৫ শতাংশ। অবশ্য তুলনামূলক চিত্র বিবেচনায় ক্রমান্বয়ে কমেছে কমপক্ষে এক একর জমি আছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;