বৃষ্টির পর ফের রোদ, আসছে তীব্র গরম



শাদরুল আবেদীন, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: শাদরুল আবেদীন

ছবি: শাদরুল আবেদীন

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব শেষে দেশের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারাদেশের তাপমাত্রা আবারও বৃদ্ধি পাবে। আগামী তিন দিনে ৩৪ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রোদের প্রখরতাও বাড়বে।

রোববার (৫ মে) সকালে সূর্য ওঠার পর থেকে রোদের প্রখরতা বাড়তে থাকে। আকাশও বেশ পরিষ্কার দেখা যায়। তবে খুবই হালকা বাতাস রয়েছে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারী ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাসও ছিল। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার এবং ঢাকায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস ছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/05/1557055230266.jpg

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। এখন তেমন কোথাও বৃষ্টি হবে না। তবে সিলেটের কয়েকটি স্তানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গড়াতে পারে। আরও বেশ কয়েকদিন এ অবস্থা বিরাজ করবে। আর এমনিতেই এ সময়টা গরম থাকে বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব চলে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে সতর্কতা সংকেত তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নদীবন্দরে এখন কোনো সংকেত নেই।’

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/05/1557055247173.jpg

ঘূর্ণিঝড় ফণী লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহী বিভাগের বদলগাছিতে ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (৪ মে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুরে ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে এদিন সর্বোচ্চ বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয় নোয়াখালরি মাইজদীকোর্টে ৯০ মিলিমিটার। এর আগের দিনও রেকর্ড করা হয় মাইজদীকোর্টে ১২১ মিলিমিটার।

ঢাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রোবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/05/1557055261710.jpg

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারাদেশে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে।

   

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫২ জন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট সাতজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট এক হাজার ৮২৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং জন ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাস মনে হয়: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা কর্মীদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সার্কাস মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে 'ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসন খানি' নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বানর যেমন নাচে সার্কাসে বিএনপি নেতা কর্মীর কার্যক্রম সে রকম ভাবেই ফুটে উঠে। কোনো কিছু হলেই তারা বিদেশিদের ধরনা দেয়। বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা সেখানেই। চেয়ে চেয়ে তারা মিটিং নেন, বিদেশিদের সাথে আলোচনা করেন। জনগণের কাছে যদি বিএনপি না যায় কোন বিদেশি তাদের ক্ষমতার আসনে বসাতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক এ দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হয়েছে। ইতিহাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার খল নায়ককে (জিয়াউর রহমানকে) নায়ক বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ অপচেষ্টার ফলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সে বিতর্কের কবর রচনার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। খালেদা জিয়া পহেলা বৈশাখ পালনে বাধা দিয়েছিলেন। তবে শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ছুটি ঘোষণা দিয়েছেন। ভাতা চালু করেছেন। সংস্কৃতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে চেষ্টা তা সব স্থানেই প্রশংসিত।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পৃষ্টপোষকতায় বার বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

এসময় বিশ্বের প্রতিটি দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আছে উল্লেখ করে বলেন, নারী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অর্জন বিশ্বে বিরল।

;

কটিয়াদীতে ভাতিজার টেটা-বল্লমের আঘাতে চাচা খুন



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের ভাতিজার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে (১৮ এপ্রিল) মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বলম দিয়ে আগাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘনটার ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

রাজশাহীতে ট্রাক চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে সুইট (৩১) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫)।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

;