ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে কঠোর সরকার



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফিটনেসবিহীন একটি বাস, পুরনো ছবি

ফিটনেসবিহীন একটি বাস, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দূরপাল্লার যানবাহনের স্বল্পতার সুযোগে লক্কর-ঝক্কর গাড়ি যেন দূরপাল্লায় চলাচল করতে না পারে, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পরিচালনা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধেও মোবাইল কোর্ট কাজ করবে।

পরিবহন মালিক ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদে সড়ক মহাসড়কে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয় নিয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানান সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতিকে মহাসড়কে যাতে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এবং তা বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন তিনি।

সভায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-মানিকগঞ্জ, সাটুরিয়া- আরিচা, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-মাওয়া ইত্যাদি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে জানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে ফেরিঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সচিব মো. নজরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদযাত্রায়া মহাসড়কে দুর্ভোগ হবে না। আমরা সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সড়কে বড় কোনো সমস্যা নেই, অন্য বারের চেয়ে এবার অবস্থা অনেক ভালো। আমরা ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলের বিষয়ে এবার কঠোর অবস্থানে থাকব। সংশ্লিষ্টদের ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যানজট নিরসনের বিষয়েও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছি। সেগুলো কাজে লাগিয়ে যানজট নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সভা সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদের সাতদিন আগেই রাস্তার প্রয়োজনীয় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে মহানগরী এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর ও উভয় পার্শ্বের অস্থায়ী ও ভাসমান বাজার অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) চিঠি দেওয়া হবে। আর দুর্ঘটনাজনিত পরিস্থিতিতে যানজট সৃষ্টি হলে দ্রুত দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী খালি জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে। ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ ও বহির্গমনে যানবাহনের চাপ কমানোর লক্ষ্যে হালকা মোটরযানকে বিকল্প মহাসড়ক ব্যবহারে উৎসাহিত করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ
বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভা অনুষ্ঠিত হয়, ছবি: পিআইডি

 

এদিকে বাস টার্মিনালে শৃঙ্খলা রক্ষায় ভিজিলেন্স টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন বিভাগ। রাজধানীর সায়দাবাদ মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে যাওয়া ও আগত মোটরযানের যানজটমুক্তভাবে চলাচল নিশ্চিত করতে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও এ ভিজিল্যান্স টিম কাজ করবে। আর ঢাকা মহানগরীর তিনটি বাস টার্মিনালের জন্য আন্তঃ সংস্থার সমন্বয়ে পৃথক তিনটি ভিজিলেন্স টিম অতিরিক্ত ভাড়া দাবি আদায় এবং ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল যাত্রী পরিবহন ও উদ্বুদ্ধ যেকোনো পরিস্থিতি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

ঈদের সময় সেতু সমূহের টোল প্লাজার সব বুথ চালু রাখা এবং সিএনজি স্টেশন সার্বক্ষণিক চালু রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড় বিভাগ। প্রতিবছরের ন্যায় ঈদ উপলক্ষে সিএনজি স্টেশনগুলো ঈদের পূর্বের সাতদিন ও ঈদের পরে পাঁচদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। এ বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ অন্যান্য বছরের ন্যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর যানজটে জনদুর্ভোগ এড়ানোর লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু, মেঘনা সেতু, গোমতি সেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সেতুর টোল বুথ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে। যানজট এড়াতে প্রয়োজনে একাধিক টোল কালেকশন বুথ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। আর যানজট নিয়ন্ত্রণে ঈদের আগের সাতদিন ও পরের সাতদিন সুনির্দিষ্ট পূর্ব তথ্য ব্যাতীত আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী সড়কের উপর মোটরযান থামাতে পারবে না।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাস টার্মিনাল ও মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে এবং সড়কপথের চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই পকেটমার, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দশেনা দেওয়া হয়েছে। আর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র ইত্যাদি চলাচল থাকবে। এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগটি।

প্রস্তুতিমূলক এ সভায় সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, কর্তৃপক্ষ, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মহাসড়কের যানজট নিরসনে এ বিভাগের উদ্যোগে ইতোপূর্বে একাধিক সভা হয়েছে। সভায় আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করা, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা এবং যাত্রীসাধারণ যাতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে জন্য করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে আরো একটি সভা হতে পারে বলে জানা গেছে।

   

পঞ্চগড়ে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার (১২) ও ইসরাত জাহান সিফাত (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নেট চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ নদীতে গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আলমি৷ পরে দুজনে পানিতে ডুবে যায়। এসময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু বিষয়টি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দুই শিশুদের মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানতো, আরেকজন জানতো না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসাথে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহ সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

;

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;