নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে একাত্ম নাছির-দোভাষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ / ছবি: বার্তা২৪

কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আজম নাছির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বৈঠকে মিলিত হয়ে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের মত প্রকাশ করেছেন। এতে দুই কর্তা জরুরি ভিত্তিতে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেন।

বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) বিকেলে সিডিএ কনফারেন্স হলে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিডিএ ও চসিকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ২০১৭ সালে চারটি প্রকল্পে ১০ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সিডিএ বাস্তবায়ন করছে ৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প।

আর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। এছাড়া চসিক ১ হাজার ২৫৬ কোটি বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী খাল খননের দায়িত্ব পেয়েছে। এসব প্রকল্পে নালা-নর্দমা ও খালের পুনঃখনন, বাঁধ নির্মাণ, জোয়ার প্রতিরোধক ফটক, খালের দুই পাশে প্রতিরোধ দেয়াল, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ এবং বালুর বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে চসিকের এ প্রকল্পটি নতুন খাল খনন এর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব সেবা সংস্থাকে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর অতিবাহিত হয়েছে। আগামী জুন ২০২০ এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন। তাাই এ কাজে আর কোনো সময় নষ্ট করার সুযোগ নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমন্বয় করে এই নগরের যাবতীয় উন্নয়ন করতে হবে। চসিক এবং সিডিএ দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা যারা এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছি তারা শুধুমাত্র দায়িত্বপালন করে চলেছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এই প্রকল্প যাতে টেকসই হয়, নগরবাসীর মধ্যে স্বাস্তি ও সুফল বয়ে আনতে পারে সে ব্যাপারে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সিডিএ এর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পটি সিডিএ’র আওতাধীন আসা ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে সিডিএ’র কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই বল্লেই চলে। অপরদিকে সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। রয়েছে যন্ত্রপাতি ও পর্যাপ্ত জনবল। তাই চসিককে দিয়েই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে অনেক সুফল বয়ে আসত বলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত দেড় বছরে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের যতটুকু অগ্রগতি হওয়ার দরকার ছিল ততটুকু হয়নি। এ প্রকল্প কীভাবে সফল করা যায়, তা চসিক, সিডিএসহ নগরীর সম্পৃক্ত সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর উপর গুরুত্ব দিতে হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন ছিলেন- চসিক কাউন্সিলর ও সিডিএর বোর্ড সদস্য কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, গিয়াস উদ্দিন আহমদ, তারেক সোলায়মান সেলিম, জসিম উদ্দিন শাহ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক এবং সিডিএর সচিব তাহেরা ফেরদৌস বেগম, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্, চিফ টাউন প্লানার শাহিনুল ইসলাম খান, এলিভেট এক্সপ্রেসের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান এবং প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার প্রমুখ।

   

মামার বিয়েতে এসে লাশ হয়ে ফিরলো ভাগ্নে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মামার বিয়েতে এসে পানিতে ডুবে মারা গেছে চার বছরের ভাগ্নে মো. সামি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার বরিশাল গৌরনদী উপজেলার গেরাকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সামি পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের সালতা গ্রামের বাসিন্দা মহসিন সরদারের ছেলে।

স্থানীয় বাসীন্দা সুমন বেপারী জানান, সামি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে বুধবার সকালে মামা সবুজ বেপারীর বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেলে সবার অজান্তে সামি মামা বাড়ির পুকুরে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর পুকুর থেকে শিশু সামিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি অনুদান প্রদানের জন্য স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে চলচ্চিত্র বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সামনে প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনুদান প্রাপ্তির জন্য আবেদনকৃত মোট ১৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ৪৫টি চলচ্চিত্রের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এ দিন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেখে চলচ্চিত্রগুলোকে স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপনীয়ভাবে আলাদা আলাদা নম্বর প্রদান করেছেন। এ সময় চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্যরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে। সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যাতে অনুদানের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন, সরকার সেটিও নিশ্চিত করতে চায়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাছাই কমিটির সদস্যগণ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত বিভিন্ন মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে আবেদনকৃত চলচ্চিত্রের প্রস্তাবনার উপর আলাদা আলাদা ভাবে নম্বর প্রদান করছেন। পরবর্তীতে সকল সদস্যদের নম্বরগুলো গড় করে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া আবেদনগুলো অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যুগ্ম সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ ও আফসানা মিমি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরম্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী চলচ্চিত্রের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত)–এর ভিত্তিতে সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়।

;

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে পিকআপের ধাক্কা আহত ১০ পোশাক কর্মী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটি শেষে পিকআপে কর্মস্থলে ঢাকায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনআহত হয়েছেন ১০ জন পোশাক কর্মী। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘাটাইলের সিংগুরিয়া ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মকবুল হোসেনের ছেলে মো. শহীদ (৩৪), তার স্ত্রী মোছা. ফেরদৌসী (২৮), শহীদুল ইসলামের ছেলে পলাশ (২৫) এবং একই জেলার সাঘাটা উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে মামুন (২৪)। অন্যান্য আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তারাও একই জেলার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ফজর নামাজের আগে সিংগুরিয়া মসজিদের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহন নামে একটি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। ভোর ৫টার দিকে ঢাকাগামী ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলে একই পরিবারের ৫ জনসহ কমপক্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়। পিকআপে থাকা অন্যরা হালকা আঘাত পায়। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. স্বপন আলী এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহন নামে একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি যাত্রীদের ফজর নামাজের জন্য সিংগুরিয়া ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ যাত্রীবোঝাই একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা সবাই আহত হন।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে এবং আহত অবস্থায় ৪ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইলের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করি। এরআগে আমরা পৌঁছানোর আগে স্থানীয়রা অপর আহত ৫ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।

ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল রানা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রীদের ফজর নামাজের জন্য হানিফ পরিবহন নামে বাসটি মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ একটি পিকআপ পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপে থাকা ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে কেউ ভূঞাপুর, কালিহাতী ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

;

কটিয়াদীতে শসার দামে ধস, দুশ্চিন্তায় চাষিরা



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে শসার দামে ধস নেমেছে। ক্রমেই কমছে এই সবজির দাম। ফলে শসা চাষিদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। অথচ কদিন আগেও তা ছিলো চড়া দাম। কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের আমেজও শেষের দিকে। কটিয়াদীতে চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমাতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।

যে শসা কিছু দিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন ৩-৫ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি হচ্ছেন না তারা। নদীর বাঁধ বাজারে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রতি কেজি শসা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬ -৮ টাকায়। পাইকারি ৩-৫ টাকা কেজি। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। অন্যদিকে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।

কটিয়াদী উপজেলার কয়েকটি সবজি বাজারে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কম বেশি শসার সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ টাকা কেজি দরে। রমজান মাসেও এই শসার কেজি ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি । তখন অনেক ক্রেতাই কিনতে পারেন নি। এখন দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই কিনছেন এই শসা।

জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা গ্রামের শসা চাষি জমির মিয়া বলেন, এ বছর তিনি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে এক লাখ বিশ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মজুরি খরচ উঠবে না। শসার বাজার নিয়ে বর্তমানে তিনি অনেক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

শসা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, রমজান মাসে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। এখন সরবরাহ অনেক বেশি তাই দাম কম। তবে দাম কম হলেও বাজারে শসার ক্রেতা কম। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম। ক্রেতারা সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নদীর বাঁধ বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, দাম এখন অনেকটা হাতের নাগালেই আছে। রমজান মাসের তুলনায় দাম অনেক কম। দাম কম থাকলেও বাকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক চড়া। রমজান মাসে তো হাতই দেয়া যাচ্ছিলো না শসায়। এখন রমজান শেষ ও আমদানি বাড়ায় দাম কমেছে। শসা কিনেছি ডাল দিয়ে রান্না করে খাব বলে।

;