নিম্নমানের লিজের প্লেনই ডুবিয়েছে বিমানকে



ইশতিয়াক হুসাইন, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিজে আনা নিম্নমানের উড়োজাহাজ ভোগাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। বছরের পর বছর ধরে বিমানের একটি সিন্ডিকেট এ ধরনের নিম্নমানের উড়োজাহাজ এনে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের আর্থিক ক্ষতি করেছে।

একই সঙ্গে লিজের উড়োজাহাজ যেমন যাত্রীদের দুর্ভোগ দিয়েছে, তেমনি জীবনও ফেলেছে ঝুঁকির মধ্যে।

লিজে আনা উড়োজাহাজের দুর্নীতি নিয়ে বিমানের ভেতরে বাইরে কথাও হয়েছে বিস্তর। কিন্তু বন্ধ করা যায়নি লিজ বাণিজ্য। সর্বশেষ লিজের উড়োজাহজের ক্ষতির শিকারের উদাহরণ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে দুর্ঘটনায় পড়া বিমানের ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০।

গত ৮ মে উড়োজাহাজটি ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে বিমানের পাইলটসহ ৩৫ জন যাত্রীর সবাই কমবেশি আহত হন, হাসপাতালে ভর্তি হন ১৯ জন।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজের ফিউজিলাজ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গেছে। উড়োজাহাজটির তলা ফেটে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ড্যাশ-৮ মিশরের স্মার্ট এভিয়েশন থেকে পাঁচ বছরের জন্য লিজে আনা হয় ২০১৫ সালে। আগামী বছরের এপ্রিলে এর মেয়াদ শেষ হবে। ড্রাই লিজে আনা (অর্থ্যাৎ এর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ইন্সুরেন্সের সব ব্যয় বিমানের) উড়োজাহাজটির জন্য ভাড়া হিসেবে বিমানকে প্রতি মাসে ৭৭ লাখ ২৮ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হয়। লিজের চুক্তি অনুযায়ী, উড়োজাহাজটি যে অবস্থায় আনা হয়েছিল, সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। এই উড়োজাহাজটি সিচ চেক শেষে গত ৬ মার্চ ভারতের হায়দরাবাদ থেকে ফেরার পথে আকাশেই ইঞ্জিনের ওপরে থাকা ব্ল্যাংকেট পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

বিগত পাঁচ বছরে মিশর থেকে লিজে আনা বোয়িং ৭৭৭ ২০০ ইআর উড়োজাহাজও বিমানকে ভুগিয়েছে মারাত্মকভাবে। এ দু’টি বোয়িংয়ের জন্য রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সকে ৩০০ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়েছে। বারবার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে মাসের পর মাস এটি গ্রাউন্ডেড হয়ে ছিল। অথচ বিমানকে চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে, আবার যাত্রী পরিবহনও করা যায়নি। বিষয়টি শুধু এখানেই থেমে নেই। অসম চুক্তি করে আনা উড়োজাহাজ দু’টি ফেরত পাঠাতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স পড়েছে নতুন সমস্যায়। চুক্তি অনুযায়ী, উড়োজাহাজ দু’টি যে অবস্থায় আনা হয়েছিল, সেই অবস্থায় ফেরত দিতে হবে।

বিমানের প্রকৌশল শাখার এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বোয়িং দু’টি ইজিপ্ট এয়ার এক বছরেরও বেশি সময় ফেলে রেখেছিল। আমরা যে অবস্থায় উড়োজাহাজ দু’টি পেয়েছিলাম তার থেকে অনেক ভালো অবস্থায় নিয়ে গিয়েছি। অনেক দিন ধরে ফেলে রাখা এই ধরনের উড়োজাহাজ লিজে আনাই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এই ঘটনার পরেও বিমানের একটি সিন্ডিকেট ইজিপ্ট থেকে আরো দু’টি বোয়িং ৭৭৭ ২০০ ভাড়ায় আনতে চেয়েছিল। তবে সমালোচনার মুখে তা সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বিমানের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাদ্দেক আহমেদকেও এক হাত নেন বিমান সচিব মহিবুল হক।

এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করলেও প্রতিমন্ত্রীর তোপের হাত থেকে রক্ষা পাননি।

এ ঘটনার পর বিমান সচিব লিজে উড়োজাহাজ না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, লিজে উড়োজাহাজের কারণেই বিমানের জন্য ক্ষতিকারক হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে লিজে কোনো উড়োজাহাজ আনা হবে না।

নিয়মিত যাত্রী পরিবহন ছাড়াও হজ ফ্লাইট পরিচালনায় ওই সিন্ডিকেট বছরের পর বছর ধরে কাবো এয়ারলাইন্স থেকে উড়োজাহাজ লিজ নিয়ে এসেছে। ২০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ ভাড়ায় যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে তা হজ যাত্রীদের ভুগিয়েছে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ২০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এর আগে ডিসি-১০ উড়োজাহাজ লিজে এনেও বেকায়দায় পড়েছিল। এখানেও উড়োজাহাজটিকে যে অবস্থায় আনার কথা ছিল, সেই অবস্থায় ফেরত দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। ওই অবস্থায় ফেরত দিতে গিয়ে যে পরিমাণ টাকা দিতে হতো তার চেয়ে উড়োজাহাজের দাম ছিল কম। শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালে বিমান উড়োজাহাজটি কিনে নিয়ে সেই যাত্রায় বড় ধরনের টাকা পরিশোধ করা থেকে রক্ষা পেয়েছিল।

   

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেশে ছয় হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ প্রয়োজন, অথচ উৎপাদন হয় মাত্র এক হাজার পাঁচশত মেট্রিক টন। বাকী সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। কাজেই ব্যাপকভাবে পাট বীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পাটের গৌরবময় সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এজন্য পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)’র সঙ্গে কাঁচাপাট রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিজেএ দেশব্যাপী কৃষকদের পাট বীজ উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করছে। এ ধরনের কার্যক্রমে আমিও শামিল হবো।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তশিল্প মেলায় অংশ নিতে আমাকে জার্মানীর ফ্রাস্কফুর্টে পাঠান। সেখানে আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০টি স্টল ছিলো। বিদেশি ক্রেতারা সেখানে ক্রয় আদেশ দিচ্ছে। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

কাঁচাপাট রপ্তানি যেন বাধাগ্রস্ত করা না হয়- ব্যবসায়ীদের এরকম আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের কথা বিবেচনা করে কাঁচাপাট রপ্তানি অব্যাহত রাখা হবে এবং তাদের সমস্যাসমূহ সমাধানে সাহায্য করা হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

;

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা ও আধিপত্য নিয়ে মারামারির পর চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সাংগঠনিক অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার কারণে বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল।’

বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চলছিল। এক পক্ষের তোপের মুখে পড়ে কয়েক মাস আগেই ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম। তার এক সময়ের অনুসারীরা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে নতুন করে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। তবে মনিরের সঙ্গে মিলে রাজনীতি করতে অস্বীকৃতি জানান সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার মারামারির পর মনিরের অনুসারীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনকেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এই সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিভিন্ন কুর্কীতির ভিডিও ফাঁস হয়। বিশেষ করে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক তরুণকে স্ত্রীর সামনে মারধর, কলেজের প্রধান সহকারীকে থাপ্পড় দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণা আসল।

কমিটি বিলুপ্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে সাম্প্রতিককালে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই কমিটির মেয়াদও ছিল না। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠনের ইমেজ নষ্ট হচ্ছিল। সবকিছু বিবেচনা করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

;

কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে হামলার ঘটনায় দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১৮ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। সেখান থেকে বিশকেকের সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে কিরগিস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও দূতাবাস যোগাযোগ করছে। কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তের জন্য বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে যেকোনো সমস্যায় ২৪ ঘণ্টা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. নাজমুল আলমের সঙ্গে (+998930009780) যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, গত ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশকিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

;

গাইবান্ধায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গাইবান্ধায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুকুরে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বলরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ছয় বছর বয়সী শিশু আব্দুল্লাহ লাবিব আল নাহিদ ওই গ্রামের মৃত ওসমান গনির ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম।

এসময় পরিবারের বরাতে তিনি জানান, আজ শনিবার বিকেলের দিকে শিশু নাহিদকে না পেয়ে খুঁজতে থাকে পরিবারের লোকজন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই এলাকার এক প্রতিবেশী শিশু নাহিদকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে এবং চিৎকার করতে থাকেন।

পরে স্বজনরা শিশু নাহিদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

;