চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
তীব্র তাপদাহের মধ্যেও চট্টগ্রামে জমতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। সামর্থ্যের মধ্যে কেনাকাটা করতে ক্রেতারা ছুটছেন পছন্দের শপিং মলে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার ঈদের শুরুতেই বিক্রি ভালো।
বিভিন্ন শপিং মলে সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকে ক্রেতারা গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করেন। প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় নগরীর টেরীবাজার থান কাপড়ের সেরা কালেকশনে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। বড় পরিসরে অন্তত ৩০টির বেশি দোকান গড়ে তোলা হয়েছে।
শপিং মলগুলোর মধ্যে মাসুম ক্লথ স্টোর, সানা ফ্যাশন মল, রাজপরী শপিং মল, জাবেদ ক্লথ স্টোর, মনে রেখো শাড়িজ, শাড়ি কালেকশন, মৌচাক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এসব দোকানে পরিবারের সব বয়সী সদস্যদের জন্য কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্রেতারা। সময়ের হাল আর ফ্যাশন সচেতন ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে এসব শপিং মলের আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বিভিন্ন শপিং মলে দেখা গেছে, ক্রেতারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী শপিং মল ঘুরছেন। কেউ একা, অনেকে বন্ধুসহ, কেউবা এসেছেন পুরো পরিবারসহ। অনেকে আবার এসেছেন বাজারের নতুন কালেকশনের খোঁজে। ক্রেতা টানতে শপিং মলগুলোতে মেয়েদের শাড়ি, থ্রিপিস, সালোয়ার কামিজ, ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, শিশুদের পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
মেগামার্ট শপিং মলের হেড অফ মার্কেটিং শামু দে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের এখানে থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, কুর্তি, শাড়ি, লেহেঙ্গা, শার্ট প্যান্টের কালেকশন রয়েছে। এর মধ্যে মেয়েদের জন্য এসেছে ভারতীয় কাপড় শারারা, গারারা। এর দাম পড়বে এক হাজার ৮৫০ থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত বেচা-কেনা বেশ ভালো। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে।’
সোমবার বান্ধবীসহ ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত খন্দকার। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দু’দিন আগেও একবার এসেছিলাম, কেনা হয়নি। আজ বান্ধবী থ্রিপিস পছন্দ করে দেবে বলে আবার আসলাম।’
তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মেয়েদের আকর্ষণীয় শাড়ির প্রতি চাহিদা ছিল বেশি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও দেখছেন শাড়ি। এর মধ্যে লিলেন, জামদানি, কাতান, কটন, নেট, জর্জেট, শিফন প্রভৃতি অন্যতম।
মনেরেখো শপিং মলের এক দোকানের বিক্রেতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রতি ঈদেই শাড়ির চাহিদা থাকে। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যরা এক সঙ্গে শাড়ি দেখে কেনেন। ঈদে দেশি সুতি শাড়ির চাহিদা বেশি।’
এছাড়া দেশি বুটিকসের থ্রিপিস, দিল্লি, সানাফাফিনাস, বোম্বাই বুটিকস, তাওয়াক্কেল বুটিকস, মুটিস, ক্রিসেন্টসহ ভারতীয় ও পাকিস্তানি বাহারি ডিজাইনের সেলাইবিহীন থ্রিপিস নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। এসব কাপড় মান ভেদে প্রতি গজ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়।