পুরুষ এডিস মশা কিনবে বাংলাদেশ
এডিস মশা মারতে গাপ্পী মাছের পোনা ছাড়ার গল্প পুরনো। এবার এডিস মশা মারতে পুরুষ এডিস মশা আমদানির পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এনিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
বিশ্বের ১৭টি দেশে এডিস মশা ধ্বংস করতে একটি প্রকল্প নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই প্রকল্পের আওতায় পুরুষ এডিস মশার শরীরে ‘ওলভাটিয়া’ নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে দেওয়া হবে। আর ওই পুরুষ মশাটি যখন স্ত্রী এডিস মশার সংমিশ্রণে আসবে তখন স্ত্রী মশাটিও প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। এভাবেই বিশ্ব থেকে এক সময় এডিস মশার বিস্তার রোধ করা যাবে।
বিষয়টি এখনো পরীক্ষাধীন পর্যায়ে থাকলেও চীন এরইমধ্যে প্রডাক্টশনে গেছে। বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে ওই প্রকল্পটি সাকসেস হলেই পুরুষ মশা আমদানি করে কিভাবে দ্রুত এই দেশ থেকে এডিস মশা বিতরণ করা যায়। সেই লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিপাড়াসহ অভিজাত এলাকায় এডিস মশার প্রকোপ
বুধবার (১৫ মে) উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
ডিএনসিসি’র অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম ফকিরের সভাপতিত্বে অবহিত করণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচীর মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান। বক্তব্য রাখনে ডিএনসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিএনসিসি’র অঞ্চল-১ এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আজিজুন জোহা।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান বলেন, 'বাসার ছাঁদে, ফুলের টবে, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসাসহ জমে থাকা ১২টি স্থানে এডিস মশার বংশ বিস্তার হয়। এজন্য প্রত্যেকের বাসার আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে।'
তিনি বলেন, 'এডিস মশা ধ্বংস করতে দুই তিন লাখ পুরুষ এডিস মশা আমদানি করে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেটা হতে ৫ বছরও লাগতে পারে তার কম সময়ও লাগতে পারে। তবে চেষ্টা চলছে। এছাড়া তিনি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য জানাতে একটি হট লাইন নম্বর দেন। নম্বরটি হচ্ছে-০১৭৮৭-৬৯১৩৭০। এই নম্বরে ফোন করলে যে কোনো তথ্য জানা যাবে।'