পার্কে ধূমপান করলেই জরিমানা: সাঈদ খোকন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
শহীদ বুদ্ধিজীবী খালেক সরদার পার্ক উদ্বোধন করছেন মেয়র সাঈদ খোকন, ছবি: বার্তা২৪.কম

শহীদ বুদ্ধিজীবী খালেক সরদার পার্ক উদ্বোধন করছেন মেয়র সাঈদ খোকন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পুরান ঢাকার শহীদ বুদ্ধিজীবী খালেক সরদার পার্ককে ধূমপান মুক্ত ঘোষণা করেছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেছেন, পার্কে কেউ ধূমপান করলে এলাকাবাসী আমাদের জানাবেন। পার্কে ধূমপান করলে জরিমানা করে দেব। এখানে কোনো রকম ধূমপান করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মধ্যরাতে পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের সিক্কাটুলী মাঠের পাশে খালেক সরদার পার্কের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, এই পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এই এলাকার মানুষের। যদি ব্যবহার করার পর পার্কটি দুই তিন বছর পর মেরামতের প্রয়োজন পড়ে আমি করে দেবো। তবে পার্কটি আাপনাদেরই রক্ষা করতে হবে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/17/1558040680947.jpg

এ দিকে পুরান ঢাকাবাসী আলোকসজ্জিত পার্ক পেয়ে গভীর রাতে মেয়রের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কেউ স্লোগান দিতে থাকেন।

পুরো এলাকায় রঙিন বাতির আলোয় আলোকিত করা হয়। সুন্দর একটি ঝর্ণা ভিন্ন আমেজ ও শোভিত করেছে পার্কটিকে।

রাজধানীর বেদখল হওয়া মাঠ-পার্ক উদ্ধার করার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ‘জল সবুজের ঢাকা’ শীর্ষক ওই প্রকল্পের আওতায় পুরান ঢাকার সিক্কাটুলীতে নবনির্মিত ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী খালেক সরদার পার্ক’ নির্মাণ করা হয়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/17/1558040803685.jpg

পার্কটি এক সময় মাদকসেবীদের আড্ডাখানা ছিল। ময়লার স্তূপ জমে থাকতো। যেখানে সেখানে কাঁদা-পানি জমে থাকতো। মানুষ বসা দূরে থাক, হাঁটতেও পারতেন না কেউ। সেই পার্কে নতুন ঘাস, শিশুদের খেলার সরঞ্জাম, আলোকসজ্জা, টয়লেট ও ড্রেনেজ সিস্টেমসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে বিশাল ওয়াকওয়ে, বসার জন্য নিচু বেঞ্চ, উঁচু বেঞ্চ, সবুজ চত্বর, বাচ্চাদের জন্য পৃথক জায়গা ও অত্যাধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/17/1558040839066.jpg

২৫ কাঠা জায়গার ওপর নির্মিত এই পার্কের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের শুরুর দিকে। প্রায় দুই কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পার্কের অবকাঠামো উন্নত করা হয়।

   

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড লামা, শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টির আগমন আনন্দের সংবাদ হলেও তা মুহূর্তেই ম্লান হয়েছে কালবৈশাখীর ঝড়ে। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে) হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলার পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর।

হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া না গেলেও কিছু গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটেছে। রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বৈদ্যভিটা এলাকায় বজ্রপাতে এক কৃষকের ৫টি ছাগল এবং পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকায় রমজান আলী মেম্বারের খামারে ঘরচাপা পড়ে এটি ছাগল মারা গেছে।

এছাড়া, গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে গাছ পড়ে সঞ্চালন লাইন ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ৩০টির অধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি। সেই সাথে তীব্র ঝড়ের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পার্বত্য বান্দরবান জেলার সবচেয়ে জনবহুল শহর লামা।

এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হয়নি। বিদ্যুৎ সচল হতে আরও দুই-একদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে পিডিবি লামার আবাসিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন।

লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সকালে গাছ পড়ে চকরিয়া- লামা- আলিকদম সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ কেটে রাস্তা থেকে সড়িয়ে যোগাযোগ স্বাভাবিক করে।

লামা উপজেলার রূপসী পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাচিং প্রু মারমা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে সড়কে গাছ পড়ে লামা উপজেলার সাথে রূপসীপাাড়া ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই সাথে মানুষের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষেত খামারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। যাদের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে তাদের ইউনিয়ন পরিষদ হতে সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।

লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, আমার ইউনিয়নে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে দেড়-শতাধিক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা জানান, তার ইউনিয়নে ছোটবড় শতাধিক ঘর আংশিক ভেঙে গেছে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, জেলা পরিষদ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করছি। তালিকা লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুপারিশ নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে।

;

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে স্মার্টফোন ও বাইক নিয়ে প্রবেশ নিষেধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে স্মার্টফোন ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

নোটিশে উল্লেখ কর হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতকোত্তর (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ ও কলেজের শৃঙ্খলার স্বার্থে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ ক্যাম্পাসে মোটরবাইক এবং শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন ফোন নিয়ে কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না। কলেজ ক্যাম্পাসে মোটরবাইক নিয়ে প্রবেশ করা এবং স্মার্টফোন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। সেজন্য কোনো শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে মোটরবাইক নিয়ে প্রবেশ করলে এবং শ্রেণিকক্ষে কারো কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশে শিক্ষার্থীদেরকে নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে কলেজে আসতে বলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষে সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার অধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। এতে তারা অমনযোগী থাকে। কখনো কখনো অতিমাত্রায় ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনও জব্দ করে। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হচ্ছিলো না। এছাড়া কলেজে অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করে পরিবেশ নষ্ট করে বিধায় এতেও মৌখিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, মোবাইল ফোনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদেরকে রক্ষা করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাস একেবারেই ছোট হওয়ায় মোটরসাইকেলের চলাচল শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে।

;

বৃষ্টি এলো, বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি...



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বৃষ্টি

বৃষ্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ (২ মে) বৃষ্টি হবে; আবহাওয়া অফিস বলেছে। সকাল থেকে শুরু সেই প্রতীক্ষার। দাবদাহে গরমে বিপযর্স্ত দিনগুলো ঘণ্টাগুলো যায় আর মনে করিয়ে দেয় ২ মে বৃষ্টি হবে; বহু কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি।

যে বৃষ্টি ধুয়ে মুছে নিবে তাপপ্রবাহের ক্লান্তি, অবসাদ। সূর্যের উন্মাদনা কমিয়ে দিয়ে গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে আনবে প্রশান্তির বার্তা। সকালের চট্টগ্রামের মুষলধারে বৃষ্টি সেই প্রতীক্ষাকে আরো তীব্র করে। রাস্তা-ঘাটে, অফিস-আদালতে, নেট দুনিয়ায়; একটা প্রশ্ন- সবখানে বৃষ্টি কখন?

তারপর এলো স্বস্তি খবর; সন্ধ্যায় রাজধানীর কিছু এলাকায় নাকি মিলেছে বৃষ্টি দেখা! এরপর প্রশ্ন বৃষ্টি কোথায়? অবশেষে এলো বৃষ্টি, বহু প্রতীক্ষীত স্বস্তির বৃষ্টি...। এলো বিদ্যুতের ঝলকানি ও বজ্রপাতকে সঙ্গে করে। দমকা হওয়ায় মুষলধারে ঝরিয়ে ভেজালো রাজধানীকে। দমফাটা রোদ ও গরমের মধ্যে বৃষ্টির ফোঁটা জনমনে এসেছে স্বস্তি।

বৃস্পতিবার (০২ মে) রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, এরপরও নগর জীবন তপ্ত দাবদাহ থেকে কিছুটা হলেও সাময়িক পরিত্রাণ পেয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথমের দিকে বৃষ্টিপাত তীব্রতা বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমে এসেছে। এখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা তাপদহের পর প্রশান্তির বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে জনজীবনে।

তাপদাহের মধ্যে বৃষ্টির দেখা পেয়ে ভিজতে রাস্তায় নেমে আসেন এই যুবক

বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর পরই অনেকেই স্বস্তির কথা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বৃষ্টির খবর জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে ফারিয়া নামের এক তরুণী লিখেছেন, আল্লাহ অবশেষে.. বৃষ্টি, আলহামদুলিল্লাহ কী সুন্দর প্রশান্তির বাতাস!

রবিন নামে এক যুবক বলেন, বৃষ্টির জন্য দীর্ঘ যে প্রতীক্ষা, সেটির অবসান হলো। খুব ভালো লাগছে। তবে আর কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যেত।

খিলক্ষেতের বাসিন্দা আফসানা আজাদ তমা অনেক দিন পর বৃষ্টির দেখা পেয়ে আত্মীয়স্বজন নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় প্রশান্তির বৃষ্টিতে বল হাতে বেরিয়েই আল্লাহর সিজদায় লুটিয়ে পড়েছে ছোট্ট একটি শিশু!

শুক্রবারও ঢাকা বিভাগের কয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়ার অধিদফতরের আবহাওয়াবিদন মনোয়ার হোসেন। তবে রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে তিনি জানান।

এর আগে, আবহাওয়া অধিদফতর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সূর্যের প্রখরতায় দিনে-রাতে প্রায় একই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সূর্য অস্ত গেলেও মানুষের ভোগান্তি কমছে না। রাতের বেলায়ও প্রচণ্ড গরমে সবাইকে হাঁসফাঁস করতে দেখা যাচ্ছে।

;

বালিয়াকান্দিতে স্কাউটিংয়ে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা



পারমিস সুলতানা
পারমিস সুলতানা

পারমিস সুলতানা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কাউটিং শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। মানবসেবার ব্রত নিয়ে ১৯০৭ সালে ইংল্যান্ডের ব্রাউন সি দ্বীপে রবার্ট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েলের হাত ধরে যাত্রা শুরু স্কাউট। স্কাউটের শুরুর পথচলায় ২০ জন কিশোর সে সময় থাকলেও সময়ের আবর্তনে এখন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সারা বিশ্বে ৪০ মিলিয়নে। যা বিশ্ব স্বীকৃতিতে ১৬৯টি দেশের আনাচে কানাচে নিরলসভাবে আর্তমানবতার সেবায় স্বেচ্ছাসেবকেরা নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন।

স্কাউটিংয়ের এই কার্যক্রমের ধারায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বালিয়াকান্দির প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে স্কাউটিং টিম। এ সকল স্কাউটিংয়ের সদস্যরা তারা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নিরলসভাবে নিজেদের নিষ্ঠার সাথে নিয়োজিত রেখেছে।

সম্প্রতি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে। তাপপ্রবাহের সাথে রয়েছে তীব্র গরম। বালিয়াকান্দিতে বেশ কয়েকদিন ধরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রবাহিত হয়েছে। অসহ্য গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে কৃষি ও প্রাণিকূলের ওপরও। সবচেয়ে বেশি কষ্ট আছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

কিন্তু জীবনজীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয় সাধারণ মানুষের। গরমে পথচারী ও শ্রমিকদের একটু স্বস্তির আশায় শতবর্ষী বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ জনের স্কাউটের একটি দল দুপুরের তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে বালিয়াকান্দি চৌরাস্তায় প্রায় সহস্রাধিক পথচারীদেরকে লেবু, বরফ, চিনি ও ট্যাং মিশ্রিত শরবত খাওয়াচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

এ সকল স্কাউটিংয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কখনো তাদের নিজেদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে কখনো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ওদের সামাজিক কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য সমাজের বিত্তবান, সমাজসেবী অথবা মানবিক মানুষগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করছি।

ওদের পাশে যদি আমরা দাঁড়াতে পারি তাহলে স্কাউটিং শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে আত্মমানবতার সেবায় নিয়োজিত রেখে তাদের পরিবার, সমাজ, দেশ তথা বিশ্বের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে । স্কাউটিংয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আসুন আমরা জাগ্রত করি আমাদের বিবেক, আরেকবার প্রমাণ হোক ‘মানুষ মানুষের জন্য’।

লেখক: পারমিস সুলতানা, পিএইচডি গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী

;