জামিনে থাকা জঙ্গিদের খুঁজছে পুলিশ



শাহরিয়ায় হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে জঙ্গিদের অপতৎপরতা দেখা গেলেও বাংলাদেশ এই ঝুঁকিতে নেই বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে ঝুঁকি না থাকলেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জঙ্গি দমনে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট ইউনিট।

সতর্কতার অংশ হিসেবে জামিনে বেরিয়ে লাপাত্তা হওয়া জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করতে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

পাশাপাশি যেকোনো ধরণের ঝুঁকি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে র‍্যাব পুলিশের সদস্যরা।

র‍্যাব ও পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এ সময় তাদের হাতে গ্রেফতার হয় এক হাজারেরও বেশি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।

এই সদস্যদের মধ্যে এখন প্রায় চার শতাধিক জঙ্গি সদস্য জামিনে রয়েছে। জামিনে থাকা এমন অনেক জঙ্গির অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের কাছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/17/1558087176249.jpg

এদিকে এসব ঘটনায় পুলিশ সদরদফতর থেকে বলা হচ্ছে, জামিনে বের হওয়া জঙ্গিদের চিহ্নিত করে, নজরদারির আওতায় আনতে হবে। সম্প্রতি ডিআইজি ও পুলিশ সুপারদের এ সম্পর্কিত বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ও এলিট ফোর্স র‍্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, ‘জঙ্গিবাদ থেকে বর্তমান কোনো দেশই পুরোপুরিভাবে নিরাপদ নয়।’

র‍্যাব সদরদফতরের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ৫৮৪ জন জঙ্গি। এদের মধ্যে ১৬৭ জন জামিনে রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ১৫৯ জন, নারী আট জন।

সংস্থাটি বলছে, মূল ধারার জঙ্গি বাদ  বাইরে শুধু হিজবুত তাহরীরের জামিনে থাকা সদস্যদের সংখ্যা হবে প্রায় আট শতাধিক। তাই কোনো ধরণের ঝুঁকি না নিয়ে, জামিনে থাকা জঙ্গিদের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব জঙ্গি লাপাত্তা, তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সম্প্রতি আইএস-এর হয়ে যুদ্ধ করতে সিরিয়ায় যাওয়া এক জঙ্গিকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি। গ্রেফতারের পর বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে ৩৩ বছরের মুতাজ আবদুল মজিদ কফিল।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, মুতাজ তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের পক্ষে প্রায় পাঁচ মাস যুদ্ধ করেছেন। তারপর তিনি সেখান থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় নব্য জেএমবির কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পুলিশ বলছে, মুতাজের বাবা বাংলাদেশি, মা পাকিস্তানি, সৌদি আরবে জন্ম ও বেড়ে উঠা। দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাসপোর্ট বানায় মুতাজ। আরবি আর ইংরেজিতে দক্ষ থাকলেও বাংলা ভাষা জানেন না তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/17/1558087146066.jpg

মুতাজের বাংলাদেশে আসা ও উগ্রপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার তথ্য কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে জঙ্গি দমনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

আর এসবের প্রেক্ষিতেই, যেকোনো পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সার্বিক নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যদিও তারা বলছে, সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যেকোনো দেশেই, কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। এমন টার্গেট আমাদের দেশেও থাকতে পারে। তবে দেশের জঙ্গিদের সক্ষমতা নেই। তারা চাইলেও কোন ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারবে না।’

একই বিষয়ে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘সারা বছর এই জঙ্গিদের কোনো না কোনো গ্রুপ সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তাদের অনেকেই আবার ধরা পড়ে।’

   

দেশে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দেশে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে। 

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ সদস্যদেরকে ৭ পয়েন্ট ৬২/৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাসগান বা লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরকারি দলের মাহবুবউর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সীমান্তে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি এরইমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশে প্রথমবারের মতো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্তৃক ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সাতগ্রাম ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে।

সরকার দলের আরেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়েরপূর্বক ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ সময়ে ৩১ হাজায়ে ৩১ হাজার ৬২২ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ দশমিক ৮২৮ কেজি হেরোইন, ১৮৬ দশমিক ৬৩২ কেজি আইস এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭১ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবেলট জব্দ করা হয়েছে।

;

দেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পেঁয়াজ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে কাজ করছি: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, দেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য পেঁয়াজ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে আমরা কাজ করছি, কৃষকদের উৎসাহিত করছি। বর্তমানে দেশে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কৃষক যেন স্বল্প মূল্যে বীজ পায়, চাষাবাদের উপকরণ পায়, সেটাই সরকারের লক্ষ্য।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ভরাডোবায় দেশের প্রথম বিশেষায়িত ‘জায়েন্ট এগ্রো পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে বছরব্যাপী দেশবাসীকে তা সরবরাহ করতে পারবে। এমন উদ্যোগের জন্য আমি নেদারল্যান্ডস সরকার ও দেশি-বিদেশি সকল অংশীদার প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বছরব্যাপী পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এছাড়াও ভোক্তারা যাতে সাধ্যের মধ্যে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

জায়েন্ট এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডিউরেন, ডেল্টাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের বাবস্থাপনা পরিচালক মি. মাটিন ভারব্রুগেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, অনিয়ন ইমপেক্ট ক্লাস্টার প্রকল্পের সমন্বয়কারী ইরমা ভারহুসেল, নেদারল্যান্ড এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির প্রতিনিধি নাদিয়া ভ্যান ডি উয়েম। সংরক্ষণাগার ও প্রসেসিং সেন্টার নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভেজিটেবল প্রসেসিং সেন্টার অলরাউন্টের মার্কেটিং প্রধান মোহাম্মদ ফারুক, তীর সীড প্রাইভেট লিমিটেড সিনিয়র ম্যানেজার মোহাম্মদ ইশতিয়াক আলম।

অনিয়ন ইমপেক্ট ক্লাস্টার প্রকল্প ২০২২-২৪ এর আওতায় পেঁয়াজ প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্রটি চালু করা হয়। নেদারল্যান্ডস সরকার ও বিভিন্ন বাংলাদেশি ও নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশি ভোক্তাদের জন্য ভালো মানের পেঁয়াজের ধারাবাহিক সরবরাহের পাশাপাশি চাষীদের কাছে মানসম্পন্ন পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করা, পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপশি প্রকল্পটি ভারতীয় পেঁয়াজের উপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশী পেঁয়াজে স্বনির্ভরতা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে অবদান রাখছে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পেঁয়াজের বীজ পরীক্ষার বিভিন্ন উপায়, বক্স-ভিত্তিক পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হয়। এখানে ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন বিএনপি নেতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

মোকাররম হোসেন সুজন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এছাড়া তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন,আলমবিদিতর ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর আমরা ওই ইউপির চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেছি। এখন থেকে ওই ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবেন।

মোকাররম হোসেন সুজন বলেন, জনগণ ভালোবেসেই আমাকে ইউপি চেয়ারম্যান বানিয়েছে। গঙ্গাচড়ার মানুষ আমাকে উপজেলা পরিষদে দেখতে চায়। তাই আমি তাদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান মাবু বলেন,আমাদের দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যদি কেউ নির্বাচনে অংশ নেন, দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়াও হচ্ছে।

জানা যায়, ১৭ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তৃতীয় ধাপে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোটগ্রহণ ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।

;

জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে। এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগি নেতা-কর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঝিনাইদাহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিলো যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারতো না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিলো। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন।

তিনি আরো বলেন, আব্দুল হাই অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পেরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারতো না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিলো ,আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশীর ভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করতো। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসেব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বার বার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এটাই সব চেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। এবারও তাকে এক সময় গ্রেফতারের করার চেষ্টা চালানো হয়েছিলো। আবার একজন রিট করলো, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে ফিরে পেয়েছিল। তারপর নির্বাচনে জয়ী হলেন। পরে অসুস্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন। নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।  

সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভুইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদক প্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।

;