প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভক্ষণে বার্তা২৪.কম



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দীপ্ত-যৌবনের তুঙ্গ-তরঙ্গে দ্বিতীয় বছর স্পর্শ করলো বাঙালির সংবাদ সারথি, বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন-মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল, বার্তা২৪.কম। মাত্র এক বছরেই বাংলা ভাষায় প্রতি মুহূর্তের সংবাদসূত্র রূপে বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের মর্যাদায় অভিসিক্ত হয়েছে বার্তা২৪.কম। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভক্ষণে অর্জনের আলোকমালায় বার্তা২৪.কম প্রজ্জ্বলিত করছে প্রতিনিয়ত নিজেকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে চলার প্রতীতিতে পূর্ণ অনির্বাণ মশাল।


সর্বক্ষণের সংবাদ সরবরাহ, পেশাগত বিশুদ্ধতা, নৈব্যক্তিক দায়িত্বশীলতা এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপ্রবাহের প্রতি সত্যনিষ্ঠায় নিবেদিত বাংলাদেশের প্রধানতম ও একমাত্র মাল্টিমিডিয়া-নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম ঘটনাবহুল একটি বছর অতিক্রম করে অযুত সম্ভাবনাময় দ্বিতীয় বছরে পদার্পণের শুভদিনে বিশ্বব্যাপী অগণিত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, স্বজনদের জানাচ্ছে প্রীতি ও শুভেচ্ছা।


বিশ্বব্যাপী লক্ষ-কোটি পাঠকের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সিক্ত বার্তা২৪.কম-এর ত্যাগী ও আত্মনিবেদিত সংবাদকর্মীগণ উচ্চারণ করেছেন পেশাগত নৈপূণ্য ও দায়িত্বশীলতার দীপ্ত শপথ এবং চলমান সময়ের প্রতিটি স্পন্দনের ঘটমানতাকে পাঠকের সামনে তুলে ধরার চ্যালেঞ্জিং প্রত্যয়। প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের সঙ্গে তারুণ্য-যৌবনের লেলিহান জনশক্তির বার্তা২৪.কম আরেকটি নতুন বছরের শুরুতে পুনরুচ্চারণ করছে ‘বাঙালির সংবাদ সারথি’ মর্মে বিঘোষিত শপথের শাশ্বত প্রায়োগিক প্রত্যয়; ‘বাসি খবরের মৃত্যুঘণ্টা বাজানো’র নিনাদ; সময়ের ভগ্নাংশকে অঙ্কন করার পেশাগত উচ্চাশা এবং অক্ষরে ও সচল ছবিতে চলমান ঘটনাকে একনিষ্ঠ দ্রুততায় ধারণ ও পরিবেশনের সাহসিক চ্যালেঞ্জ।

পাঠক মাত্রই অবগত আছেন যে, বাংলাদেশে ও সমগ্র বিশ্বে চলমান সঙ্কুল আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রতিকূলতায় ভরা বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে সত্যান্বেষণের নিত্য লড়াইরত বার্তা২৪.কম জাতীয় স্বার্থ আর গণমানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের পক্ষে সোচ্চার রয়েছে অতিক্রান্ত বিগত বছরে। অচলাবস্থার অন্ধ-অন্ধকারের মধ্যেও পাঠকের কাঙ্ক্ষিত তথ্য ও সংবাদের অগ্রণী ও অনিবার্য সংযোগ সূত্র হিসাবে নিত্য-সচল থেকেছে ওয়েভ পেজের মলাটে।  বার্তা২৪.কমের পেরিয়ে আসা দিনগুলোতে চিন্তায়, চেতনায়, কর্মে পরিবর্তিত বিশ্ব ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা কিছু সত্য, সুন্দর, ভালো, মানবিক, গণতান্ত্রিক, মহৎ ও কল্যাণকর এবং  দেশ ও জনগণের জন্য ইতিবাচক, সেসবের সঙ্গে সামঞ্জস্য ও সমন্বয় বিধানের কঠিন কাজটিই সফলভাবে করেছে দ্বন্দ্ব-সংঘাতমুখর তীব্র বিরূপ পরিস্থিতিতেও। সত্যনিষ্ঠা ও দ্রুততার বিঘোষিত নীতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে শত চাপ ও বিরোধিতার মধ্যে সাদাকে সাদা আর কালো কালো বলার সত্য-সুন্দর ধ্বনি উচ্চকিত করেছে।

বাংলাদেশের প্রধান ও একমাত্র মাল্টিমিডিয়া-নিউজপোর্টাল হিসাবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই দায় ও দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠায় এই সংবাদক্ষেত্রের গতিময়-অকুতোভয় সংবাদকর্মীগণ ভয়হীনতায় দাঁড়িয়েছেন সত্যের সপক্ষে; নিজেকে বিছিয়ে দিয়েছে সাগর-মিথিলা-কিরিট-কুন্তলা-হাওর-বাওর-বন-বনানী আর গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগরের সম্মিলিত সমগ্র বাংলাদেশের মা-মাটি-মানুষের স্বার্থের মানসপটে। বার্তা২৪.কম নিজেকে সম্পূর্ণভাবে মেলে ধরেছে বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটি বাংলাভাষী মানুষের আন্তর্জাতিক তথ্যবলয়ে।  রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, নারী, প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ধর্ম, দর্শন, ফ্যাশন, শিল্প, সাহিত্য, আন্তর্জাতিক বিষয়সহ জীবনের সকল অঙ্গনকে স্পর্শ করেছে নিজস্ব বিশিষ্টতায় এবং অবশ্যই বাংলাদেশের সমসময়ের কঠিন সঙ্কুলতার প্রেক্ষাপটকে প্রাধান্য দিয়ে পাঠক আর সংবাদের মধ্যে আশাবাদী সংযোগসূত্র হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। প্রকৃত সংবাদ আর সংবাদের পেছনের অর্ন্তনিহিত সত্যই লেখায় আর ছবিতে পূর্ণ করেছে বার্তা২৪.কমের তিনশ পয়ষট্টি দিনের প্রতিটি দিন; দিনের চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিটি ক্ষণ ও মুহূর্ত।

বাংলাদেশের ব্যক্তিগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে মানুষের যাপিত জীবনের আশা ও দুঃখের কোনও বিষয়কেই উপেক্ষা করে নি বার্তা২৪.কম। এড়িয়ে যায় নি জাতীয় ও মানবিক স্বার্থে একটিও বিষয়।  বাংলাদেশের কেন্দ্র থেকে দূরপ্রান্তে বসবাসরত পাঠকের জানার অধিকারকে পরিপুষ্ট করার ব্রত থেকে এক মুহূর্তের জন্যেও বিচ্যুত হয় নি। বিশ্বায়নের ক্রম-পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটের এই বিশ্বে, এই দেশে ঘটমান সংবাদপ্রবাহের সঙ্গে বৃহত্তর পাঠকের প্রথম সংযোগ স্থাপনের কাজটি বার্তা২৪.কম প্রাযুক্তিক শ্রেষ্ঠত্ব, পেশাগত দায়বদ্ধতা, চৌকস দক্ষতা, নিষ্ঠা, কমিটমেন্ট ও প্রাগ্রসরতার সঙ্গে দায়িত্বরূপে গ্রহণ করেছে। বার্তা২৪.কম-এর খোলা চোখে পাঠক দেখেছে নিজস্ব ভূগোল, সমাজ, সুশাসন, সারা বাংলাদেশ ও পৃথিবীর প্রসারিত রূপ এবং সেখানকার আলো ও অন্ধকারকে, ভালো ও মন্দকে, আশা ও হতাশার দিকগুলোকে। সত্য যত কঠিনই হোক, সেই কঠিনেরে ভালোবেসে নিজেকে উপস্থাপিত করেছে  মানুষের চেতনা ও বিবেকের পাটাতনে। পাঠককে প্রণোদিত করেছেন বহুমুখী তথ্য ও সংবাদের ভিত্তিতে নিজের স্বাধীন ও স্বনির্ভর মতামত পরিগঠনের মাধ্যমে ব্যক্তিসত্তার বিকাশে। পাঠকের মুক্তচিন্তা-মুক্তমত-যুক্তিতর্ক ও বাধাহীন-বিবেচনার ক্ষমতায়নকে বার্তা২৪.কম সব সময় শ্রদ্ধা করেছে বলেই কোনও বিশেষ দল-মত-গোষ্ঠী নয়, বার্তা২৪.কম হয়েছে সর্বস্থরের পাঠকের নিজস্ব ও সাবক্ষণিক পোর্টাল: আস্থা, নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাসের সংবাদমাধ্যম; বাঙালির সংবাদ তথা চিন্তা ও বোধের নান্দনিক সারথি; তথ্যের নির্ভরশীল সঙ্গী এবং বৈশ্বিক বাংলাভাষী মানবম-লীর অপরিহার্য্য তথ্যবান্ধব।

চলার পথের বাঁকে বাঁকে বার্তা২৪.কম চ্যালেঞ্জিং ও  গতিময় ঐতিহ্যকে সতত-মান্য করে স্থবিরতাকে কখনওই প্রশ্রয় দেয় নি। জগৎ ও জীবনে প্রতিমুহূর্তে যে পরিবর্তন ঘটছে, জন্মকাল থেকে আজ পর্যন্ত বার্তা২৪.কম সেটাকে ইতিবাচকভাবে আত্মস্থ করেছে আঞ্চলিক-জাতীয়-আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণের পৃথক পৃথক মাত্রা ও বিন্যাসে। বার্তা২৪.কম বিশ্বাস করেছে  গুণগত পরিবর্তনই প্রকৃতির অলঙ্ঘণীয় নিয়ম; অগ্রসরতাই জীবনের ধর্ম; চরৈবেতিই প্রকৃতির বিধান। তাই বিশ্বভুবনের পরিবর্তনধর্মী মূলস্রোতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বিনোদন, লাইফস্টাইল তথা সামগ্রিক মানবজীবনের লাইভিহুড বা সর্বব্যাপী জীবনচর্চার জন্য প্রয়োজনীয়-কাঙ্ক্ষিত রূপান্তর বার্তা২৪.কম-এর প্রতিটি অক্ষরে-ভিডিওতে আঁকা হয়েছে। বিনাশে, সঙ্কটে, সমস্যায় বাতা২৪.কম আশা-জাগানিয়া তথ্যপ্রবাহের নিত্যতা ও স্পন্দনে মানুষকে দিতে চেয়েছে পথের দিশা। প্রতিদিন প্রতিটি মুহূর্তে পাঠকের সামনে তথ্যের অধিকার নিয়ে চিন্তার সহযাত্রী হয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।

কুসংস্কার ও কূপমণ্ডূকতামুক্ত বহুত্ববাদী সমাজের ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-নৃতাত্ত্বিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক পরিচিতি, গণতান্ত্রিক সুশাসন ও স্বাতন্ত্র্যকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানিয়ে অকুতোভয়ে এগিয়ে এসেছে বার্তা২৪.কম। গণতান্ত্রিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা, শান্তি, সৌহার্দ্য, সংলাপ, সমঝোতা,  উন্নয়ন ও পারস্পরিক শ্রদ্ধায় সমাজের জন্য অতি জরুরি সুশাসন, অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার ভিত রচনা করতে একটি পরিপূর্ণ মিডিয়ার দায় ও দায়িত্ব থেকে নিরন্তর কাজ করে চলেছে বার্তা২৪.কম। 

মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনায় নির্মিত বাংলাদেশের অপার অর্থনৈতিক সুযোগ ও সম্ভাবনা, প্রাকৃতিক বৈচিত্র এবং জনজীবনের বিশালতাকে অনুঘটকের মতো প্রতিনিয়ত উৎসাহিত করেছে ইতিবাচকতার অভিমুখে। নিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়েছে বাংলাদেশের অবক্ষয়দগ্ধ রাজনৈতিক সংস্কৃতির কাঠামোকে সাংবিধানিক-গণতান্ত্রিক অবয়বে জনমানুষের সক্ষমতার আলোয় উদ্ভাসিত করতে এবং সে আলোয় আলোয় প্রিয় জনপদ বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদায় ঋদ্ধ ও আলোকিত করতে। এবং সংঘাতের রক্তাপ্লূত রণাঙ্গণকে শান্তির সহাবস্থানের সুমৃত্তিকায় রূপান্তরিত করতে। বাংলাদেশের সৎ, দায়িত্বশীল, জনবান্ধব ও প্রযুক্তির প্রাগ্রসরতাময় সাংবাদিকতায় সর্বাধুনিক জ্ঞান-প্রযুক্তির সামর্থ্যে বার্তা২৪.কম অঙ্কন করেছে নিজস্বতার অগ্রণী অবস্থান ও স্বাধীন অস্তিত্ব।

ইতিহাসের আলোকে নবীন ও ভবিষ্যত পাঠকদের এ কথা জানা থাকা দরকার যে, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে, বিশেষত সঙ্ঘাত-সঙ্কুল-পালাবদলে আকীর্ণ একটি প্রকৃত সন্ধিক্ষণে বার্তা২৪.কম-এর আত্মপ্রকাশ এবং পথচলা। প্রথাগত ও পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ-প্রবাহের দুর্বলতা, নতজানু মনোভাব ও মনোপলি ভেঙে বার্তা২৪.কম স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রকৃত পথ-প্রদর্শকের মতো উপস্থিত হয়েছে।


একই সঙ্গে নিয়ে এসেছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও  প্রকাশভঙ্গি, লেখা ও ভিডিও কনটেন্ট, নিরপেক্ষ সংবাদ চয়নের নৈব্যক্তিক অভিলাষ এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থকে জাগরণের চিরন্তন-ধ্বনিপুঞ্জ। অভিজ্ঞ, সৎ, নির্লোভ, পেশাদার নেতৃত্বে এক ঝাঁক তরুণ-মেধাবী কর্মীকে নিয়ে স্বাপ্নিক-প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর হোসেনের উদ্যোগে গতানুগতিক, শ্লথ ও ধীরগতির মিডিয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক-জীবন্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিকল্প-মূলস্রোতের টোটাল সংবাদশক্তির উন্মেষের সেই রোমাঞ্চকর ঘটনা আজ ইতিহাসের অংশ। বার্তা২৪.কম নামের মিডিয়া জ্যোতিষ্কের উদ্ভাসনের পূর্বে বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ-পুরুষ আলমগীর হোসেন পেছনে ফেলে এসেছেন সাফল্য কাহিনির বহু আখ্যান এবং সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশের অনলাইন মিডিয়ার একাধিক পোর্টাল। বাস্তব ও প্রায়োগিক অভিজ্ঞতায় মহীরুহসম ব্যক্তিত্বের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক আলমগীর হোসেনের আদি ও অকৃত্রিম সহযাত্রী প্রাজ্ঞ-প্রবীণ ও নবীন-তুকী-তরুণেরা বার্তা২৪.কম-এর দীপ্ত প্রথম-প্রকাশের মাধ্যমে কাঁপিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের গতানুগতিক পাটাতন।

অভিজ্ঞতা ও অর্জনের স্বর্ণালী সংযোগ-সূত্রে অচীরেই আরও পরিশীলিত ও দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে প্রকাশ পায় বার্তা২৪.কম। চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে ও নিজেকে প্রতিনিয়ত উত্তরণ ঘটিয়ে দ্বিতীয় বর্ষের সম্ভাবনাময় পথে অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া পোর্টাল বার্তা২৪.কম চলমান ও লাইভ কনটেন্টে জাতীয় তো বটেই, আন্তর্জাতিক বাংলাভাষী পাঠক সমাজে অন্যতম জনপ্রিয়-শীর্ষ নিউজ পোর্টাল; প্রতিদিনের এবং প্রতিমূর্হুতের সংবাদ মাধ্যম। তথ্য, সংবাদ, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ফিচার, সরেজমিন রিপোর্ট, মতামত দিয়ে সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, বিনোদনসহ মানবজীবন ও মানবমনের সকল অনুসঙ্গকে বাংলাদেশ ও পৃথিবীর লক্ষ-কোটি বাংলাভাষীদের সামনে তুলে ধরছে বার্তা২৪.কম স্বকীয় যোগ্যতায়, দ্রুততায়, দক্ষতায়, নিরপেক্ষতায়, অগ্রগণ্যতায় ও প্রাযুক্তিক কৃতিত্বে।

একটি সংবাদ মাধ্যমের জন্য একটি বছর খুব বেশি সময় নয়। কিন্তু এই সময়ের নিরিখে পাঠকের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাটিতে পৌঁছে যাওয়া এবং বাংলাদেশের সমাজ প্রগতি ও জাতীয় উন্নয়নের নানা অঙ্গনে ইতিবাচক-প্রায়োগিক-ব্যবহারিকভাবে ভূমিকা রাখা  খুব সামান্য বিষয়ও নয়। মানুষের সিক্ত-ভালোবাসা তথা পাঠকের এই আস্থা ও বিশ্বাসের শক্তিই বার্তা২৪.কম-এর অন্তহীন কর্মপ্রচেষ্টাময়-পদযাত্রার সাহসিক প্রেরণা। মুক্তিযুদ্ধের অনির্বাণ চেতনা, স্বাধীনতার অবিরাম প্রেরণা এবং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির মহান স্তম্ভ একুশের অন্তঃহীন প্রেষণায় বার্তা২৪.কম এ যাবত অর্জিত স্বর্ণালী-অভিজ্ঞতায় সর্বদা গতি, সত্য ও সাহসের প্রতীক হয়ে ভবিষ্যতের পথে প্রত্যয়দীপ্ত আলোবাহী প্রগতিশীল অভিযাত্রীরূপে পুনরুচ্চারণ করছে মাটি ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকারের দীপ্ত শপথ: বাংলাদেশের সুমৃত্তিকার মুক্তইশতেহার রূপে বিশ্বব্যাপী বাংলাভাষার অপ্রতিরোধ্য মুক্তকণ্ঠী-তথ্য-সংযোগ-সেতু বিনির্মাণে প্রতীতি।


পেশাগত দায়িত্বের সঙ্গে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও মানবিক বিবেচনাবোধের রাখিবন্ধনে বাংলাদেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সংবাদপত্রের গৌরবময় ইতিহাসের মুকুটে বার্তা২৪.কম নিজেকে একটি স্বর্ণালী পালকের মতো প্রতিস্থাপন করেছে পাঠকের ভালোবাসা আর আত্মপ্রত্যয়ের মিলিত শক্তিতে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে বার্তা২৪.কম দুর্নিবার তথ্য ও প্রযুক্তির গানে গানে মানুষের জয়গান গাইতে চায় কাল-কালান্তরে, বর্তমান এবং অনাগত ভবিষ্যতের প্রতিটি ক্ষণে, সঙ্কটে, সমস্যায়, অচলাবস্থায়, আশাবাদে। বাংলাদেশের মানব-অস্তিত্বের ঐতিহাসিক পথচলায় বার্তা২৪.কম সর্বাবস্থায় মৃত্তিকা ও মানুষের প্রকৃত জয়যাত্রার দিশারী; তথ্যময় বিশ্বায়নের দুনিয়ায় বার্তা২৪.কম বাংলাভাষি বাঙালির প্রধানতম-দ্রুততম সংবাদ-সঙ্গী; জ্ঞান, তথ্যময়তা ও অগ্রসরতার বিশ্বস্ত সারথি।

   

প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার, ভাই-বোন আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সময় কানে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার দায়ে এক পরীক্ষার্থীসহ দুইজনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন- পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার ও তার ভাই আব্দুল জলিল। তারা জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার সন্তান।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের মত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী ছিলেন রিনা আক্তার। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় আধা ঘণ্টা পেরোলেও প্রশ্নের উত্তরপত্রে কোনো কিছু না লিখে বসে ছিলেন তিনি। তখন পরীক্ষাকেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে রিনার দেহ তল্লাশি চালায়। এতে কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ খবর দিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও তার ভাই আব্দুল আজিজকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার তার কানে ডিভাইস লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ সময়ের দশ মিনিট পূর্বে উত্তর লেখার চেষ্টা করতেন। এটি করতে তার ভাই সাহায্য করেছেন। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আর কেউ থাকলে সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।

;

রংপুরে বরাদ্দ নেই নতুন ট্রেন, ঈদ যাত্রার ভোগান্তির শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪,কম, রংপুর
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন ৮ জোড়া ট্রেন বরাদ্দ হলেও রংপুর বিভাগে নেই একটিও। এ নিয়ে রংপুরের ট্রেন যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের ১০ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ছে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে। ফলে ঈদযাত্রায় নতুন করে ভোগান্তির সঙ্গে বাড়বে শিডিউল বিপর্যয়।

পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের লালমনিরহাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট বিভাগ থেকে ১০ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকায় যাতায়াত করে। এগুলো হচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা, দ্রুতযান, দোলনচাঁপা, করতোয়া এক্সপ্রেস ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস। প্রতিদিন এসব ট্রেনে ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। প্রতিবছর ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রীর সংখ্যা দুই-তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। যাত্রীদের চাপ কমাতে বিশেষ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও বরাদ্দের বেলায় রংপুর বরাবরই উপেক্ষিত।

এদিকে ঈদের আগেই রংপুর বিভাগে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর শিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো প্রতিদিনই প্রায় ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে ছাড়ছে। ফলে ট্রেন যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছে।

রংপুর মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, রংপুর অঞ্চলের সঙ্গে সরকারের যে বিমাতাসুলভ মনোভাব ছিল তা এখনও যায়নি। ২৮২ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী রংপুর জেলা হলেও এখানে রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। রংপুর বিভাগ থেকে সারা দেশে ধান, আলু, কয়লা, কঠিন শিলা রপ্তানি হয়। লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করছে। কিন্তু তাদের যাতায়াতের জন্য কোনো বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ নেই।

এদিকে রংপুর রেলস্টেশনের সুপার শংকর গাঙ্গুলী বলেন, রংপুর এক্সপ্রেসসহ অন্য ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছাড়লেও শিডিউল বিপর্যয়ের শঙ্কা নেই।

;

ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের অপর নাম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদ-উল ফিতরে সারাদেশের সাথে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কে বড়ধরনের বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ নিয়ে শংকিত পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। ঘরমুখী এবং  ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখী মানুষের বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ নিয়ে শঙ্কায় সবাই। 

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালু হবার পর বরিশাল ও সন্নিহিত এলাকার সাথে রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটিতে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় চারগুণ বেড়ে গেছে। কিন্তু ঢাকা থেকে ছয় লেনের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পদ্মা সেতু পার হয়ে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গায় পৌঁছানোর পর বরিশাল পর্যন্ত ২৪ ফুট প্রশস্ত ৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে তীব্র যানজট ও দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

জানা গেছে, ১৯৬০ থেকে ’৬৬ সালের মধ্যে মাত্র পাঁচ টন বহনক্ষম এ মহাসড়কটি দুই যুগ আগে জাতীয় মহাসড়কের মর্যাদা লাভ করলেও ১২ ফুট থেকে ২৪ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত হয়েছে। কিন্তু বহন ক্ষমতা আর বাড়েনি। উপরন্তু দুই পাশের নানা অবৈধ স্থাপনা মহাসড়কটিকে গলা টিপে ধরেছে। পাশাপাশি বাড়তি ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে মহাসড়কের অবৈধ যানবাহনের আধিক্য। এতে করে বৃদ্ধি পেয়েছে দুর্ঘটনার সংখ্যা।

সড়ক অধিদপ্তর ও হাইওয়ে পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কে এখন প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করছে যা ছয় লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় সমান। এ অবস্থায় বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটি সিঙ্গেল লেনের হওয়ায় প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি করে দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ২০ মার্চ পূর্ববর্তী ছয় মাসে এ মহাসড়কে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো দুই শতাধিক। এসব দুর্ঘটনাজনিত কারণ ছাড়াও নিত্যদিনের যানজটে প্রতিদিন নাকাল হচ্ছেন এ মহাসড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রীরা। এসব দুর্ঘটনা ও যানজটে এ মহাসড়ক ব্যবহারকারী পণ্য পরিরবহনেও দীর্ঘসময় ব্যয় হচ্ছে। 

সূত্রমতে, ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর, টেকেরহাট, ভাঙ্গা, তালমামোড়, গৌরনদী, বাটাজোর, ভূরঘাটা, বরিশাল মহানগরীর নথুল্লাবাদ, নবগ্রাম রোড, চৌমুহনী, আমতলা মোড়, রূপাতলী ও বাকেরগঞ্জে যানজট এখন নিয়মিত ঘটনা। যেকারণে পদ্মা সেতু চালু হবার পর ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতেই এখন বিভিন্ন যানবাহনের প্রায় তিন ঘণ্টা সময় চলে যাচ্ছে। ফলে সেতু চালুর পরে দ্রুত সময়ে ঢাকা ও সন্নিহিত এলাকায় পৌঁছানোর যে আশা করা হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। 

বরিশালের গৌরনদী হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে মাদারীপুর সীমানার ভুরঘাটা পর্যন্ত মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৪২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩২ কিলোমিটারেই ২৭টি ব্ল্যাক স্পট বা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছেন। দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানগুলো হলো- ভুরঘাটা, ইল্লা, বার্থী, তারাকুপি, কটকস্থল, সাউদের খালপাড়, নীলখোলা, টরকী, গয়নাঘাটা, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড, আশোকাঠী, কাসেমাবাদ, বেজহার, মাহিলাড়া, বাটাজোর, বামরাইল, সানুহার, জয়শ্রী, সোনার বাংলা, ইচলাদী, শিকারপুর-দোয়ারিকা টোল প্লাজা, মেজর এমএ জলিল সেতুর ঢাল, নতুনহাট, রহমতপুর ব্রিজের ঢাল, রেইনট্রিতলা ও কাশিপুর ব্র্যাক অফিসের মোড়। এসব স্পটগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ, অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাধারণ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু জায়গায় সতর্কতামূলক চিহ্ন বসানো হচ্ছে।

ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে চলাচলরত সাউদিয়া পরিবহনের সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর বদৌলতে যানবাহন কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় অপ্রশস্ত মহাসড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করা এখন খুবই জরুরি।

সড়ক অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে ২০১৫ সাল থেকে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কটি সাগরকন্যা কুয়াকাটা পর্যন্ত ছয় লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে যা ২০১৮ সালে শেষ হয়। এমনকি সমীক্ষার পথনকশা অনুযায়ী প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণে ১৮শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে একটি আলাদা প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের তিন বছর পরেও ভূমি অধিগ্রহণ কাজের অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। তবে ওইসব জমির বর্তমান বাজার মূল্য দ্বিগুণেরও বেশী বৃদ্ধি, নতুন পথনকশা অনুযায়ী বাড়তি প্রায় দু‘শ হেক্টরসহ জমির মূল্য পরিশোধে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে।

বাস্তবতার আলোকে ইতিমধ্যে বরিশাল মহানগরীর পরিবর্তে প্রায় ১৬ কিলোমিটার বাইপাস নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পটুয়াখালীতেও পথনকশার কিছু পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ফলে এ দুটি স্থানে আরো অন্তত দু‘শ হেক্টর বাড়তি ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে। এজন্য ইতিমধ্যে সংশোধিত ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি’ তৈরীর কথাও জানিয়েছে সড়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল।

অপরদিকে মহাড়কটির বরিশাল বিমানবন্দর ও ফরিদপুরে একটি প্রতিববন্ধী স্কুলের কাছে এলাইনমেন্ট নিয়েও কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ দুটি স্থানের এলাইনমেন্ট নিয়ে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হতে পারে ।

সূত্রের দাবি, অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি চূড়ান্ত না হলে এডিবি ছাড়া আরো কয়েকটি দাতা সংস্থার সাথে প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে কথা চলছে। অপরদিকে ২০১৫ সাল থেকে ’১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা, সমীক্ষা ও পথনকশা অনুযায়ী ২১১ কিলোমিটার মহাসড়কটির জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ২১ হাজার কোটি টাকা ধরা হলেও ভূমি অধিগ্রহণেই অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন হতে পারে। যার পুরোটাই দিতে হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। 

বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, অনন্ত ঈদ-উল ফিতরের আগে ও পরে মহাসড়কে চলাচলরত পরিবহনগুলো যেন বেপরোয়াগতিতে এবং প্রতিযোগিতার মনোভাব পরিহার করে ওভারটেকিং করতে না পারে। স্ব-স্ব এলাকার হাইওয়ে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে সকল দুশ্চিন্তার অবসান ঘটবে। এতে করে ঈদ মৌসুমে সড়ক দূর্ঘটনা জিরোতে নামানো সম্ভব হবে। তবে হাইওয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বরিশাল অফিসের কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখাসহ সময়নুযায়ী প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ।

বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, এজন্য বরিশালে পুলিশ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। হাইওয়ে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে ভুরঘাটা থেকে বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার মহাসড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দূর্ঘটনা প্রবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং যানজটের সৃষ্টি হতে পারে এমন সব এলাকায় ট্রাফিক পরিদর্শকদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঈদে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ভাঙ্গা পর্যন্ত ছয়লেনের এক্সপ্রেসওয়ে পৌঁছলেও সেখান থেকে ৯১ কিলোমিটার দক্ষিণে বরিশাল, ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ফরিদপুর শহর এবং ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে পায়রা সমুদ্র বন্দর ও ২০৩ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পৌঁছানোর মহাসড়কের কোনটিই মানসম্মত নয়। এসব মহাসড়ক এখনো মাত্র ১৮ থেকে ২৪ ফুট প্রস্থ। ফলে  আসন্ন  ঈদ-উল ফিতরের আগে ও পরে দেশের ৮ নম্বর বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়কে সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ।

;

মাদক বিরোধী অভিযানে আটক ৪০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৬২ পিস ইয়াবা, ১৫১ গ্রাম হেরোইন, ১০৬ কেজি ৬৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩০ গ্রাম আইস ও ১১৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপি’র নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।

;