কর্ণফুলীতে ডুবে যাওয়া জাহাজটি শিগগির উদ্ধার হচ্ছে না
কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজটি শিগগির উদ্ধার হচ্ছে না। জাহাজে ১ হাজার টন পাথর থাকায় খুব সহজে এ জাহাজকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোরে কর্ণফুলী নদীর চরপাথরঘাটা ঘাটের পশ্চিম পাশে সিডিএ খেলার মাঠ দখল করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সময় আবু তাহেরের মালিকানাধীন মমতা ট্রেডিং এজেন্সির সি ক্রাউন নামের জাহাজটি ডুবে যায়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ভোরে ডুবে যাওয়া জাহাজটি চরপাথরঘাটা সিডিএ খেলার মাঠে যেখানে অবৈধভাবে পাথর নামাচ্ছিল সেখানে লাইটারেজ জাহাজ বার্থিং করার কোনো অবকাঠামো নেই। জাহাজের এক পাশ থেকে পাথর খালাস করায় হঠাৎ জাহাজটি ওই পাশে হেলে পড়ে। অন্য একটি লাইটারেজ জাহাজ এসে জাহাজটিকে সোজা করার চেষ্টা করার সময় সেটি উল্টে কর্ণফুলীতে ডুবে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বার্তা২৪.কমকে বলেন, `পাথর ভর্তি লাইটার জাহাজটি নদীর এক পাশে ডুবায় নদীতে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু জাহাজটি উদ্ধার করা খুবই সময় সাপেক্ষ হবে। কারণ, ডুবে যাওয়া জাহাজে পাথর রয়েছে। যেটি জোয়ারের সময় পুরোটা ডুবে যায় আর ভাটার সময় সামান্য দেখা যায় বলে জানতে পেরেছি।’
কর্ণফুলী নদী রক্ষা কমিটির নেতা আলিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কর্ণফুলী উপজেলার একমাত্র মাঠ সিডিএ খেলার মাঠ যেখানে গত বার বছর ধরে সাম্পান খেলা ও চাটগাঁইয়া সংস্কৃতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গত তিন বছর ধরে মাঠটি অবৈধভাবে দখল করে সেখানে পাথর ও কয়লা উত্তোলন করে মাঠ দখল করা হয়েছে। প্রতিদিন অবৈধভাবে জাহাজ থেকে কয়লা পাথর উত্তোলনের বিষয়টি সিডিএ এবং বন্দর কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছ। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি। উল্টে যাওয়া জাহাজটি বন্দরের চ্যানেলে এসে ডুবেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধভাবে খেলার মাঠ দখল করে পাথর উত্তোলনের সময় নদীতে ডুবে চ্যানেল বন্ধ হওয়ার এই দায়ভার কার?’
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করীম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ডুবে যাওয়া জাহাজটি বন্দরের উন্নয়ন কাজে বিঘ্ন ঘটাবে। কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজে বাধার সৃষ্টি করবে তাই জাহাজটি দ্রুত সরানো জরুরি। কিন্তু জাহাজের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সরানো খুব সহজ হবে না। এরপরও আমাদের ব্যবস্থা করতে হবে।’