ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হত্যার প্রধান আসামি কারাগারে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল ও আসামি ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহমেদ, ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল ও আসামি ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহমেদ, ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় প্রকাশ্যে গণপিটুনিতে ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে হত্যার পরিকল্পনাকারী ও মামলার প্রধান আসামি ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহমেদকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি নগরীর পাহাড়তলী সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আকবার হোসেন মৃধা এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন থাকার পরও স্থায়ী জামিনের আবেদন করেছিলেন সাবের। কিন্তু আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।'

গত ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলী বাজারে খুন হন সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল। চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছে বলে প্রচার করা হলেও লাশ উদ্ধারের পর দেখা যায়, লাশের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন। পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হলে সেটি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। পুলিশ শুরু করে তদন্ত।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, পাহাড়তলী এলাকায় একটি জায়গা দখল করে দোকানপাট গড়ে তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সাবের- ওসমান গংদের সঙ্গে মহিউদ্দিন সোহেলের বিরোধ তৈরি হয়েছিল। সেই বিরোধ থেকেই প্রতিপক্ষরা মহিউদ্দিন সোহেলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এক পর্যায়ে এসে তাকে খুনের পরিকল্পনা করে গোপনে গঠন করা হয় কিলিং স্কোয়াড।

হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহমেদকে ওই মামলার প্রধান আসামি করা হয়। আর বাজার সাধারণ সম্পাদক ওসমান খানকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

সোহেলের ছোট ভাই শিশির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে আদালতে কয়েকজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।