মানব পাচার বন্ধে একযোগে কাজ করার আহ্বান

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

অনেক বাংলাদেশিই উন্নত জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশায় বিদেশে পাড়ি জমাতে চান। এদের মধ্যে অনেকেই শিকার হন মানব পাচারকারীদের প্রতারণার। এতে উন্নত জীবনের বদলে তারা বাধ্য হন জোরপূর্বক শ্রমদানে বা ব্যবহৃত হন নির্যাতনমূলক কাজে। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সকলের এক যোগে কাজ করা উচিত।

সম্প্রতি কক্সবাজারে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এবং জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০১৮-২০২২ অভিযোজন’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম)-এর আয়োজনে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগ (ডিএফআইডি), স্থানীয় সরকারি ও এনজিও কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা এই কর্মশালায় অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

কর্মশালায় ২০১৮-২০২২ সালের জাতীয় কর্ম পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, নিরাপত্তাকর্মীদের ভালো প্রশিক্ষণ ও বিদ্যমান আইনের ভালো প্রয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মানব পাচার রোধের এই পদক্ষেপে বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে আইওএম।

কক্সবাজারের এই কর্মশালায় আইওএম’র কার্যক্রম পরিচালন বিষয়ক উপ-প্রধান ম্যানুয়েল পেরেইরা বলেন, ‘কক্সবাজারে তুলনামূলকভাবে পাচারের হার বেশি। এই হুমকি অঞ্চলটিতে সদা বিদ্যমান। বিশেষ করে সেখানে অবস্থিত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি। তাদের সহজেই প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করা যায়।’

বিজ্ঞাপন

পেরেইরা জানান, পাচারকাজ বন্ধ করতে প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও বিচারকাজের ভিত্তিতে আইওএম’র একটি বহুমুখী পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতি অনুসারে, মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনো সরকারকে জোরালো আইন ও এর প্রয়োগ এবং শিকারের সহায়তা নিশ্চিত করা হয়।

কর্মশালায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘মানব পাচার রোধে সরকার ও জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থাগুলোসহ এনজিওদের এগিয়ে আসতে হবে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে মানব পাচারকারী চক্রগুলো যেন কোন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সবার প্রচেষ্টা দরকার।’

আইওএম’র সুরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক ব্যবস্থাপক চিজে মুয়েলার বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এখন আইন প্রয়োগের দিকে বিশ্বে নজির স্থাপন করছে। সহায়তায় মানব পাচার রোধে বেশ কঠোর পরিশ্রম করছে।’