কুমিল্লায় স্ত্রীকে ধর্ষণে বাঁধা দেওয়ায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
কুমিল্লার চান্দিনায় গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় বাঁধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে স্বামীকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা ব্যক্তিরা হলেন- চান্দিনা পৌরসভাধীন ছায়কোট গ্রামের রহমান ড্রাইভারের ছেলে জানে আলম (৩৫) ও তার ভাই মোর্সেদ (৩৭)।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে জেলার চান্দিনা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ছায়কোট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক হোসেন (২৬) ছায়কোট এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
নিহতের মা নাছিমা বেগম বাতা২৪.কম-কে জানান, গত ২৭ মে সোমবার দিনগত রাত ২টায় আমার পুত্রবধূ বিপুলী বেগম রান্না ঘরে সেহেরি তৈরি করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী জানে আলম রান্নাঘর থেকে তাকে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি জমিতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। চিৎকার শুনে তার দুই ছেলে ফারুক ও জালাল সহ বাড়ির লোকজন বের হয়।
তিনি জানান, এ সময় জানে আলম দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপর দুই ছেলে সহ অন্যান্যরা জানে আলমের বাড়িতে গেলে সে (জানে আলম) উল্টো তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি এলাকার কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়।
নিহতের মা বলেন, 'মঙ্গলবার ভোর থেকেই জানে আলম আত্মগোপন যায়। বৃহস্পতিবার ইফতারের পর প্রচণ্ড গরমে আমার ছেলে ফারুক হোসেন আমাদের বসত ঘর সংলগ্ন একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল। এ সময় জানে আলম ও তার ভাই মোরসেদ এসে বিষয়টি কেন এলাকায় জানাজানি হলো বলেই আমার ছেলের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।'
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল সালাম বাতা২৪.কম-কে জানান, দুইটি পরিবারই হতদরিদ্র। তবে জানে আলম মাদকাসক্ত এবং চরিত্রহীন। ভোর রাতের সেহেরি তৈরি করার উদ্দেশেই গৃহবধূ বিপুলী বেগম বাহিরের রান্না ঘরে রান্না করছিল। এ সময় গৃহবধূকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে জানে আলম। ঘটনার পর সে আত্মগোপন করে এবং হঠাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফারুককে হত্যার উদ্দেশেই ছুরিকাঘাত করে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল ফয়সল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাতা২৪.কম-কে জানান, ঘটনার মূল হোতা জানে আলম সহ তার বড় ভাই মোরসেদকে আটক করা হয়েছে।