চট্টগ্রামে কমেছে সবজি-ব্রয়লারের দাম

  • রাকিব কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের একটি কাঁচাবাজার, ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামের একটি কাঁচাবাজার, ছবি: বার্তা২৪.কম

অতিরিক্ত চাহিদার কারণে চট্টগ্রামে ঈদের এক সপ্তাহ আগে বেড়ে যায় মাছ, ব্রয়লার মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম। তবে ঈদের এক সপ্তাহ পর কমেছে ব্রয়লারের দাম। কিন্তু অপরিবর্তিত থাকছে মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দাম। এদিকে সবজির দাম সহনীয় বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (১৪ জুন) নগরীর অভিজাত কাজির দেউড়ি, রিয়াজউদ্দিন ও চকবাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগি দাম কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়, লেয়ার মুরগির ২১০ থেকে ২২০ টাকায়, সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম ৩০ টাকা মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৩০ টাকায়, ঝিঙে ২৫ টাকায়, শিম ৩৫ টাকায়, করলা ২৮ টাকায়, কাঁকরোল ৩৫ টাকায়, পটল ৩৫ টাকায়, বেগুন ৪০ টাকায়, শিম ৩৫ টাকায়, বরবটি ৩৫ টাকায়, পটল ২০ টাকায়, শসা ২৫ টাকায়, পাকা টমেটো ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সবজির দাম কমার বিষয়ে কাজির দেউড়ির ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ বার্তা২৪.কম-কে জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি সরবরাহ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টাটকা ও সতেজ সবজি আসছে। মূলত এসব কারণে দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

তবে রিয়াজউদ্দিন বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. রমিজ উদ্দীন জানালেন, এবার ঈদের আগে লম্বা ছুটিতে অধিকাংশ মানুষ পরিবার নিয়ে গ্রামে থেকে ফিরছেন। এ কারণে কেউ অতিরিক্ত সবজি কিনছে না। তাই সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংস দাম। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২৫ থেকে ৫৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়।

এদিকে কয়েক মাস ধরে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছের দাম। বাজারের অন্যান্য দ্রব্যাদি দামে হেরফের ঘটলেও কমছে না মাছের দাম। প্রতিবারের মতো প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়, পাঙ্গাস ১৮০ টাকায়, রুই ২৮০ টাকায়, পাবদা ৬০০ টাকায়, টেংরা ৪০০ টাকায়, শিং ৫০০ টাকায়, চিংড়ি আকারভেদে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানতে চাইলে কাজীর দেউড়ির এক মাছ ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বেশ কয়েকদিন ধরে সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। যাতে করে জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট মাছ ধরার জেলেরাও। চাহিদা না থাকায় বাজারে মাছের দাম কমছে না।'